ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

ইগো নিয়ন্ত্রণের ৫ উপায়

  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ইগো নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তখন সব সময় নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা, সব সময় সবার আলোচনায় থাকতে চাওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে। আপনার কথায় তখন অন্যদের তুচ্ছ করার মতো অপ্রত্যাশিত বিষয়ও উঠে আসতে পারে। তাই নিজেকে বিনয়ী, নম্র ও নির্ভরযোগ্য একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে আপনাকে ইগো বাদ দিয়ে এগোতে হবে। জেনে নিন, ইগো নিয়ন্ত্রণের উপায়-

ইগো বাড়িয়ে দেয় যে বিষয়গুলো সেদিকে খেয়াল করুন

ইগো নিয়ন্ত্রণ করার আগে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে এটি কখন বেড়ে যায়। ইগো বেশিরভাগ সময়েই তুলনা, প্রতিরক্ষামূলকতা বা নিজেকে সঠিক প্রমাণের জন্য তৈরি হয়। এই মুহূর্তগুলোতে মনোযোগ দিন। আপনি কোনো মন্তব্যে বিরক্ত হন বা কোনো অর্জনের জন্য অতিরিক্ত গর্বিত হন, আত্মনিয়ন্ত্রণ জরুরি। নিজের সীমাবদ্ধতাগুলো উপলব্ধি করতে পারলে ইগো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।

শেখার মানসিকতা

যখন আমরা মনে করি আমাদের শেখার জন্য কিছুই অবশিষ্ট নেই, তখন ইগো তৈরি হয়। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিজেকে একজন শিক্ষানবিস মনে করুন। কৌতূহলী হোন, উন্মুক্ত চিন্তাভাবনা করুন এবং ভুল স্বীকার করার মানসিকতা রাখুন। এই চর্চা আপনাকে নিজের সমৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে। যখন সবকিছু থেকে শেখার মানসিকতা থাকবে, তখন ইগো তৈরি হওয়ার ভয় থাকবে না।

অন্যদের সেবা করুন

শুধু নিজের জন্য না ভেবে অপরের জন্য ভাবুন। আপনার চারপাশের পরিচিতজন, আত্মীয়-বন্ধু-পরিবার, সবার জন্য নিজেকে নিরাপদ করে তুলুন। যদি আর কিছু করার সামর্থ্য না-ও থাকে, অন্তত মুখে সব সময় ভালো ও ইতিবাচক কথা বলুন। আপনার বলা সামান্য কথাও অপরের জীবনে অনেক বড় প্রভাব রাখতে পারে। তাই সাধ্য অনুযায়ী অন্যদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখুন।

উদ্দেশ্যের ওপর প্রতিফলন করুন

নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন – আপনি কী উদ্দেশ্য বা কর্মক্ষমতার জায়গা থেকে কাজ করছেন? আপনি কি স্বীকৃতি বা প্রশংসা খুঁজছেন? যখন নিজের সেরা কাজটি করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকবেন, তখন অন্যরা কী বললো তা আপনার কাজে প্রভাব ফেলবে না। ইগো ঝেড়ে ফেলে হৃদয়ে প্রশান্তি নিয়ে আসাও সহজ হবে।

মননশীলতা বজায় রাখুন

এটি আপনাকে চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং সংবেদনশীলতা নিয়ে ভাবতে সময় দেবে। ‌‘আমি তার চেয়ে ভালো’, ‘আমি তার চেয়ে কম,’ বা ‘আমার দিকে তাকাও’ এ জাতীয় অভ্যাস আপনার স্বভাব থেকে দূরে সরে যাবে যদি মননশীলতার চর্চা বজায় রাখতে পারেন। আপনি তখন জোরে বলার চেয়ে মৃদু শব্দে কথা বলতে বেশি পছন্দ করবেন।

এসি/আপ্র/২৯/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ইগো নিয়ন্ত্রণের ৫ উপায়

আপডেট সময় : ০৫:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ইগো নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তখন সব সময় নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা, সব সময় সবার আলোচনায় থাকতে চাওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে। আপনার কথায় তখন অন্যদের তুচ্ছ করার মতো অপ্রত্যাশিত বিষয়ও উঠে আসতে পারে। তাই নিজেকে বিনয়ী, নম্র ও নির্ভরযোগ্য একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে আপনাকে ইগো বাদ দিয়ে এগোতে হবে। জেনে নিন, ইগো নিয়ন্ত্রণের উপায়-

ইগো বাড়িয়ে দেয় যে বিষয়গুলো সেদিকে খেয়াল করুন

ইগো নিয়ন্ত্রণ করার আগে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে এটি কখন বেড়ে যায়। ইগো বেশিরভাগ সময়েই তুলনা, প্রতিরক্ষামূলকতা বা নিজেকে সঠিক প্রমাণের জন্য তৈরি হয়। এই মুহূর্তগুলোতে মনোযোগ দিন। আপনি কোনো মন্তব্যে বিরক্ত হন বা কোনো অর্জনের জন্য অতিরিক্ত গর্বিত হন, আত্মনিয়ন্ত্রণ জরুরি। নিজের সীমাবদ্ধতাগুলো উপলব্ধি করতে পারলে ইগো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।

শেখার মানসিকতা

যখন আমরা মনে করি আমাদের শেখার জন্য কিছুই অবশিষ্ট নেই, তখন ইগো তৈরি হয়। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিজেকে একজন শিক্ষানবিস মনে করুন। কৌতূহলী হোন, উন্মুক্ত চিন্তাভাবনা করুন এবং ভুল স্বীকার করার মানসিকতা রাখুন। এই চর্চা আপনাকে নিজের সমৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে। যখন সবকিছু থেকে শেখার মানসিকতা থাকবে, তখন ইগো তৈরি হওয়ার ভয় থাকবে না।

অন্যদের সেবা করুন

শুধু নিজের জন্য না ভেবে অপরের জন্য ভাবুন। আপনার চারপাশের পরিচিতজন, আত্মীয়-বন্ধু-পরিবার, সবার জন্য নিজেকে নিরাপদ করে তুলুন। যদি আর কিছু করার সামর্থ্য না-ও থাকে, অন্তত মুখে সব সময় ভালো ও ইতিবাচক কথা বলুন। আপনার বলা সামান্য কথাও অপরের জীবনে অনেক বড় প্রভাব রাখতে পারে। তাই সাধ্য অনুযায়ী অন্যদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখুন।

উদ্দেশ্যের ওপর প্রতিফলন করুন

নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন – আপনি কী উদ্দেশ্য বা কর্মক্ষমতার জায়গা থেকে কাজ করছেন? আপনি কি স্বীকৃতি বা প্রশংসা খুঁজছেন? যখন নিজের সেরা কাজটি করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকবেন, তখন অন্যরা কী বললো তা আপনার কাজে প্রভাব ফেলবে না। ইগো ঝেড়ে ফেলে হৃদয়ে প্রশান্তি নিয়ে আসাও সহজ হবে।

মননশীলতা বজায় রাখুন

এটি আপনাকে চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং সংবেদনশীলতা নিয়ে ভাবতে সময় দেবে। ‌‘আমি তার চেয়ে ভালো’, ‘আমি তার চেয়ে কম,’ বা ‘আমার দিকে তাকাও’ এ জাতীয় অভ্যাস আপনার স্বভাব থেকে দূরে সরে যাবে যদি মননশীলতার চর্চা বজায় রাখতে পারেন। আপনি তখন জোরে বলার চেয়ে মৃদু শব্দে কথা বলতে বেশি পছন্দ করবেন।

এসি/আপ্র/২৯/১০/২০২৫