ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

ইএফডি নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধ চায় দোকান মালিক সমিতি

  • আপডেট সময় : ১২:২৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : দুই বছরে মাত্র তিন হাজার দোকানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোয় ব্যবসায়ীরা বৈষম্য ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। এ সমস্যা সমাধানে যেকোনো একটি ব্যবসায়িক খাতে ইএফডি যন্ত্র বসানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং জাতীয় দোকান ভিত্তিক সংগঠনের উদ্যোগে খুচরা পর্যায়ের ৫ শতাংশ ভ্যাট উৎসে আদায়ের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
দোকান মালিক সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এই নতুন ভ্যাট আইনে বলা ছিল- দোকান এবং প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে সাথে রাজস্ব বোর্ড ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন স্থাপন করবে। দুই বছরে তারা দেশে মাত্র তিন হাজার ইএফডি মেশিন স্থাপন করতে পেরেছে। এর ফলে যেসব দোকানে ইএফডি মেশিন আছে সেসব দোকানে ক্রেতা কমে গেছে।
তিনি বলেন, দুই বছরে ৮০-৯০ শতাংশ দোকানে ইএফডি স্থাপন করে একযোগে ভ্যাট নেয়ার দরকার ছিল। রাজস্ব বোর্ড দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি।তারা খেয়াল-খুশিমতো অপরিকল্পিতভাবে ইএফডি স্থাপন না করে তিন হাজার যন্ত্রকে যেকোনো একটা খাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ- সারাদেশের স্বর্ণের দোকান, টাইলসের দোকান বা হোটেল-রেস্তোরাঁ এমন একটি খাত নির্বাচন করবে রাজস্ব বোর্ড, যেখানকার সব দোকান ইএফডির আওতায় নিয়ে আসবে।
‘যতদিন পর্যন্ত ৮০-৯০ ভাগ দোকান ইএফডির আওতায় না আসবে ততদিন পর্যন্ত অন্য খাতে খুচরা পর্যায়ের ৫ শতাংশ ভ্যাট উৎসে করের ৩০ শতাংশের সঙ্গে যুক্ত করে ৩৫ শতাংশ কর আদায়ের প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীরা। হেলাল উদ্দিন বলেন, ৫ শতাংশ হারে যেটা ভোক্তার কাছ থেকে নেয়ার কথা সেটা উৎসে কর হিসাবে নিয়ে যাক। আমরা দেখছি, খুচরা পর্যায়ে তারা ৫০-৬০ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট আদায় করতে পারেনি। উৎস কর হিসাবে তারা ৩০ শতাংশ নিচ্ছে সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ নিলে তারা আরও বেশি ভ্যাট আদায় করতে পারবে। এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, রাজস্ব বোর্ডের সাড়াশি অভিযানে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দিশেহারা। ভ্যাট গোয়েন্দারা অতর্কিতভাবে বিভিন্ন মার্কেট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তল্লাশির নামে দোকানে রক্ষিত কাগজপত্র জব্দ করে নিয়ে যায়। অনেক সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত ব্যক্তিকেও তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সারাদেশে ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে আছে। এতে ব্যবসাবান্ধব সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন, মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইএফডি নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধ চায় দোকান মালিক সমিতি

আপডেট সময় : ১২:২৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : দুই বছরে মাত্র তিন হাজার দোকানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোয় ব্যবসায়ীরা বৈষম্য ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। এ সমস্যা সমাধানে যেকোনো একটি ব্যবসায়িক খাতে ইএফডি যন্ত্র বসানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং জাতীয় দোকান ভিত্তিক সংগঠনের উদ্যোগে খুচরা পর্যায়ের ৫ শতাংশ ভ্যাট উৎসে আদায়ের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
দোকান মালিক সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এই নতুন ভ্যাট আইনে বলা ছিল- দোকান এবং প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে সাথে রাজস্ব বোর্ড ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন স্থাপন করবে। দুই বছরে তারা দেশে মাত্র তিন হাজার ইএফডি মেশিন স্থাপন করতে পেরেছে। এর ফলে যেসব দোকানে ইএফডি মেশিন আছে সেসব দোকানে ক্রেতা কমে গেছে।
তিনি বলেন, দুই বছরে ৮০-৯০ শতাংশ দোকানে ইএফডি স্থাপন করে একযোগে ভ্যাট নেয়ার দরকার ছিল। রাজস্ব বোর্ড দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি।তারা খেয়াল-খুশিমতো অপরিকল্পিতভাবে ইএফডি স্থাপন না করে তিন হাজার যন্ত্রকে যেকোনো একটা খাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ- সারাদেশের স্বর্ণের দোকান, টাইলসের দোকান বা হোটেল-রেস্তোরাঁ এমন একটি খাত নির্বাচন করবে রাজস্ব বোর্ড, যেখানকার সব দোকান ইএফডির আওতায় নিয়ে আসবে।
‘যতদিন পর্যন্ত ৮০-৯০ ভাগ দোকান ইএফডির আওতায় না আসবে ততদিন পর্যন্ত অন্য খাতে খুচরা পর্যায়ের ৫ শতাংশ ভ্যাট উৎসে করের ৩০ শতাংশের সঙ্গে যুক্ত করে ৩৫ শতাংশ কর আদায়ের প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীরা। হেলাল উদ্দিন বলেন, ৫ শতাংশ হারে যেটা ভোক্তার কাছ থেকে নেয়ার কথা সেটা উৎসে কর হিসাবে নিয়ে যাক। আমরা দেখছি, খুচরা পর্যায়ে তারা ৫০-৬০ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট আদায় করতে পারেনি। উৎস কর হিসাবে তারা ৩০ শতাংশ নিচ্ছে সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ নিলে তারা আরও বেশি ভ্যাট আদায় করতে পারবে। এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, রাজস্ব বোর্ডের সাড়াশি অভিযানে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দিশেহারা। ভ্যাট গোয়েন্দারা অতর্কিতভাবে বিভিন্ন মার্কেট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তল্লাশির নামে দোকানে রক্ষিত কাগজপত্র জব্দ করে নিয়ে যায়। অনেক সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত ব্যক্তিকেও তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সারাদেশে ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে আছে। এতে ব্যবসাবান্ধব সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন, মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা প্রমুখ।