ঢাকা ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ইউরোপে পাঠানোর নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ

  • আপডেট সময় : ১২:২৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ইউরোপে পাঠানোর নামে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রটির সদস্যরা নিজেদের উপসচিবসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। এভাবে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর কথিত অফিস বন্ধ করে দিত।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এর আগে ভুয়া উপসচিবসহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো জহিরুল ইসলাম ওরফে রিপন ও মো. আবু ইয়ামিন ওরফে আশিকুর রহমান। এর মধ্যে জহিরুল ইসলাম ওরফে রিপন ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে। আর মো. আবু ইয়ামিন ওরফে আশিকুর রহমান ময়মনসিংহ জেলার কাওয়ালাটি ফকিরবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ ফকিরের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভুয়া ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নামে তিন থেকে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর কথিত অফিস বন্ধ করে দেয়। রাজধানীর গুলশানের ইউনিকর্ন প্লাজায় এই চক্রের অফিসের ঠিকানা থাকলেও বর্তমানে সেখানে তাদের কোনো শাখা বা অফিসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ১৫ থেকে ২০ জনের সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মধ্যে কেউ কেউ নিজেকে উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। তারা চলাফেরা করে দামি গাড়িতে। ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে সহজেই মানুষকে বোকা বানিয়ে আসছিল। তারা সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলেও বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। মিজানুর রহমান বলেন, এই প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরো প্রতারক মিলে ‘আল-আরাফাত ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর’ নামে ভুয়া ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নামে তিন থেকে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পিবিআই জানায়, এ ঘটনায় ২০২১ সালের ৩১ জুলাই রামপুরা থানায় একটি মামলা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনাটি পিবিআইয়ের নজরে এলে পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের নির্দেশনায় পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ টিম কাজ শুরু করে। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে আসামিদের প্রতারণার বিভিন্ন কৌশল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউরোপে পাঠানোর নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ

আপডেট সময় : ১২:২৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ইউরোপে পাঠানোর নামে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রটির সদস্যরা নিজেদের উপসচিবসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। এভাবে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর কথিত অফিস বন্ধ করে দিত।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এর আগে ভুয়া উপসচিবসহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো জহিরুল ইসলাম ওরফে রিপন ও মো. আবু ইয়ামিন ওরফে আশিকুর রহমান। এর মধ্যে জহিরুল ইসলাম ওরফে রিপন ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে। আর মো. আবু ইয়ামিন ওরফে আশিকুর রহমান ময়মনসিংহ জেলার কাওয়ালাটি ফকিরবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ ফকিরের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভুয়া ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নামে তিন থেকে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর কথিত অফিস বন্ধ করে দেয়। রাজধানীর গুলশানের ইউনিকর্ন প্লাজায় এই চক্রের অফিসের ঠিকানা থাকলেও বর্তমানে সেখানে তাদের কোনো শাখা বা অফিসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ১৫ থেকে ২০ জনের সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মধ্যে কেউ কেউ নিজেকে উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। তারা চলাফেরা করে দামি গাড়িতে। ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে সহজেই মানুষকে বোকা বানিয়ে আসছিল। তারা সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলেও বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। মিজানুর রহমান বলেন, এই প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরো প্রতারক মিলে ‘আল-আরাফাত ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর’ নামে ভুয়া ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নামে তিন থেকে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পিবিআই জানায়, এ ঘটনায় ২০২১ সালের ৩১ জুলাই রামপুরা থানায় একটি মামলা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনাটি পিবিআইয়ের নজরে এলে পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের নির্দেশনায় পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ টিম কাজ শুরু করে। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে আসামিদের প্রতারণার বিভিন্ন কৌশল।