প্রত্যাশা ডেস্ক: ইউরোপে গত বছরের গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। স্পেনের গবেষকদের এ-সংক্রান্ত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাব নিয়ে মহাদেশটির জন্য এটি সর্বশেষ সতর্কবার্তা।
গবেষণায় বলা হয়, বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে ইউরোপ। স্পেনভিত্তিক গবেষকেরা প্রস্তাব করেছেন, জরুরি সতর্কবার্তা ব্যবস্থা চালু করা হলে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ, বিশেষ করে প্রবীণদের প্রাণঘাতী তাপপ্রবাহের আগে সতর্ক করা সম্ভব হবে।
গবেষণা-সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে নেচার মেডিসিন সাময়িকীতে। নিবন্ধে বলা হয়, ২০২৪ সালে ইউরোপ একটি ব্যতিক্রমী প্রাণঘাতী গ্রীষ্ম পার করেছে। গত তিন গ্রীষ্মে গরমে মোট মৃত্যুসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজারের বেশি। বার্সেলোনাভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের (আইএস গ্লোবাল) গবেষকেরা ইউরোপের ৩২টি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন। এসব অঞ্চলে মোট ৫৩ কোটি ৯০ লাখ মানুষের বসবাস। এ সময় গত বছরের গ্রীষ্মে মৃত্যুর সংখ্যা অনুমান করা হয়েছে ৬২ হাজার ৭৭৫।
গবেষণার হালনাগাদ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের গ্রীষ্মের ৫০ হাজার ৭৯৮ জন গরমে মারা যান। সে তুলনায় গত বছর ২৫ শতাংশ বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি ২০২২ সালের ৬৭ হাজার ৮৭৩ জনের মৃত্যুর তুলনায় কম। গবেষণা অনুযায়ী, গত গ্রীষ্মে সবচেয়ে বেশি মানুষ গরমে মারা গেছেন ইতালিতে, আনুমানিক ১৯ হাজার। এর পরের অবস্থানে রয়েছে স্পেন ও জার্মানি, যেখানে প্রতিটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। দেশের জনসংখ্যা বিবেচনায় নিলে সর্বোচ্চ হারে মৃত্যু হয়েছে গ্রিসে-প্রতি ১০ লাখে ৫৭৪ জন। এরপরই রয়েছে বুলগেরিয়া ও সার্বিয়া।
সানা/আপ্র/২৪/০৯/২০২৫

























