শহিদুল ইসলাম সাগর : পর্যটন শিল্প ইউরোপের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ; যা কর্মসংস্থান ও জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। তবে সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলো ইঙ্গিত করে যে, এই খাতে শ্রমিকের ঘাটতি ক্রমবর্ধমান; যা শেঞ্জেন এবং নন-শেঞ্জেন উভয় ধরনের দেশকে প্রভাবিত করছে। এই রিপোর্টে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পর্যটন খাতে চলমান শ্রমিকের ঘাটতির সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।
শেঞ্জেন দেশগুলোয় শ্রমিকের ঘাটতি: স্পেনের পর্যটন খাতে মোট শ্রমিক ঘাটতির সংখ্যা আনুমানিক ১,০০,০০০-১,২০,০০০; ইতালির ২,২০,০০০-২,৫০,০০০; ক্রোয়েশিয়ার ৫০,০০০-৫৫,০০০; জার্মানির এক লাখেরও বেশি; ফ্রান্সের ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি; পর্তুগালের প্রায় ৫০,০০০-৬০,০০০; গ্রিসের ৫০ হাজারেরও বেশি; নেদারল্যান্ডসের ৫২ হাজারেরও বেশি; বেলজিয়ামের ৫১ হাজারেরও বেশি; লুক্সেমবার্গের ৫০ হাজারেরও বেশি; অস্ট্রিয়ার ৫২ হাজারেরও বেশি; সেøাভেনিয়ার ৫০,০০০-৬০,০০০; সেøাভাকিয়া প্রায় ৫০,০০০; ফিনল্যান্ডের প্রায় ৫২,০০০-৫৫,০০০; ডেনমার্কের ৫৮,০০০-৬০,০০০; নরওয়ের ৫৮,০০০-৬০,০০০; সুইডেনের প্রায় ৫২,০০০-৫৫,০০০; আইসল্যান্ডের প্রায় ৫০,৫০০-৫৩,০০০; রোমানিয়ার প্রায় ৫৫,০০০-৬০,০০০; বুলগেরিয়া পর্যটন খাতে মোট শ্রমিক ঘাটতি প্রায় ৫৫,০০০-৫৮,০০০; সাইপ্রাসের প্রায় ৫৭,০০০-৫৮,০০০; মাল্টার প্রায় ৫৭,০০০-৫৮,০০০; সুইজারল্যান্ডের প্রায় ৫৫,০০০-৬০,০০০ এবং পোল্যান্ডের প্রায় ৫৩,০০০-৫৪,০০০ কর্মী।
নন-শেঞ্জেন দেশগুলোয় শ্রমিকের ঘাটতি: নর্থ মেসিডোনিয়ার মোট শ্রমিক ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১,০০,০০০-১,১০,০০০; সার্বিয়ার প্রায় ৫০,০০০-৫৫,০০০; মন্টেনেগ্রোর প্রায় ৫৫,৫০০; রাশিয়ার প্রায় ৮০,০০০-৯৫,০০০; আজারবাইজানের প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশি; বেলারুসের ৫৫,০০০-৫৯,০০০; তুরস্কের আনুমানিক ৮৩,০০০-৮৫,০০০; কসোভোর প্রায় ৫০,০০০-৫৬,০০০; আলবেনিয়ার আনুমানিক ৫১,০০০-৫৫,০০০; আর্মেনিয়ার প্রায় ৫০,০০০-৫৫,০০০ এবং যুক্তরাজ্যের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি কর্মী।
শেঞ্জেন এবং নন-শেঞ্জেন উভয় ইউরোপীয় দেশেই পর্যটন খাতে, বিশেষ করে পর্যটন পেশায় দক্ষ সেবামূলক কর্মীদের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য শ্রমিক সংকট দেখা যাচ্ছে। কোভিড ১৯-পরবর্তী আন্তর্জাতিক পর্যটনের দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং সেবার চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এই ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশি কর্মী নিয়োগের দিকে ঝুঁকছে। ইউরোপীয় বৈচিত্র্যময় এই দেশগুলোয় পৃথিবীর পর্যটক বেশিমাত্রায় আগ্রহ দেখাচ্ছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিশেষ সহকারী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিব, বিএমইটির ডিজি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিব, মেসিডোনিয়ার কুটনৈতিক দায়িত্বপ্রাপ্ত হাই কমিশনার, এম্বাসী লেবার উইং সবাইকে আন্তরিক হতে হবে ইউরোপীয় শেঞ্জেন নন-শেঞ্জেন দেশগুলোর স্কিল শ্রমবাজার ধরতে।
লেখক: চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশন