ঢাকা ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত টাঙ্গাইল শাড়ি

  • আপডেট সময় : ০৯:১১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

প্রত্যাশা ডেস্ক: ঢাকা থেকে কিছুটা দূরে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কারখানায় তাঁতের শব্দে এলাকা মুখরিত থাকে। কারিগররা রঙিন সিল্ক ও কটনের সুতা দিয়ে হাতের তালে তালে বিখ্যাত ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ বোনেন। এ হ্যান্ডলুম শাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে জেলার নামে।

শতাব্দীপ্রাচীন এ ঐতিহ্যবাহী শাড়ি বুননের শিল্পকে এ বছর ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে পরিচিত এবং বিভিন্ন উৎসব ও বিবাহ অনুষ্ঠানে সমগ্র ভারত উপমহাদেশে তা ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়।

প্রতিটি টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি হয় ঐতিহ্য ও কারুশিল্পের সমন্বয়ে। শাড়িতে স্থানীয় সংস্কৃতির প্রভাব ফুটে ওঠে নান্দনিক নকশা এবং জটিল মোটিফের মাধ্যমে। সাধারণত পুরুষরা সুতা রাঙানো, কাপড় বোনেন এবং নকশার কাজ করেন।

নারীরা তাঁতের চাকা ঘুরিয়ে সুতা তৈরি করতে সাহায্য করেন।

টাঙ্গাইল শাড়ি কেবল সাংস্কৃতিক প্রতীক নয়, এটি শত শত তাঁতি পরিবারের জীবিকাও জোগায়। তবে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং সস্তা ও মেশিন বোনা শাড়ির প্রতিযোগিতার কারণে নতুন প্রজন্মের মধ্যে পরিবারিক এই পেশা ধরে রাখার আগ্রহ কমছে। তাঁতিরা আশা করছেন, ইউনেসকো থেকে প্রাপ্ত স্বীকৃতি ও ঐতিহ্যগত মর্যাদা তাদের কারুশিল্পকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রক্ষা করতে সহায়ক হবে।

সূত্র : এপি

ওআ/আপ্র/০৭/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত টাঙ্গাইল শাড়ি

আপডেট সময় : ০৯:১১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ঢাকা থেকে কিছুটা দূরে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কারখানায় তাঁতের শব্দে এলাকা মুখরিত থাকে। কারিগররা রঙিন সিল্ক ও কটনের সুতা দিয়ে হাতের তালে তালে বিখ্যাত ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ বোনেন। এ হ্যান্ডলুম শাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে জেলার নামে।

শতাব্দীপ্রাচীন এ ঐতিহ্যবাহী শাড়ি বুননের শিল্পকে এ বছর ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে পরিচিত এবং বিভিন্ন উৎসব ও বিবাহ অনুষ্ঠানে সমগ্র ভারত উপমহাদেশে তা ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়।

প্রতিটি টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি হয় ঐতিহ্য ও কারুশিল্পের সমন্বয়ে। শাড়িতে স্থানীয় সংস্কৃতির প্রভাব ফুটে ওঠে নান্দনিক নকশা এবং জটিল মোটিফের মাধ্যমে। সাধারণত পুরুষরা সুতা রাঙানো, কাপড় বোনেন এবং নকশার কাজ করেন।

নারীরা তাঁতের চাকা ঘুরিয়ে সুতা তৈরি করতে সাহায্য করেন।

টাঙ্গাইল শাড়ি কেবল সাংস্কৃতিক প্রতীক নয়, এটি শত শত তাঁতি পরিবারের জীবিকাও জোগায়। তবে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং সস্তা ও মেশিন বোনা শাড়ির প্রতিযোগিতার কারণে নতুন প্রজন্মের মধ্যে পরিবারিক এই পেশা ধরে রাখার আগ্রহ কমছে। তাঁতিরা আশা করছেন, ইউনেসকো থেকে প্রাপ্ত স্বীকৃতি ও ঐতিহ্যগত মর্যাদা তাদের কারুশিল্পকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রক্ষা করতে সহায়ক হবে।

সূত্র : এপি

ওআ/আপ্র/০৭/১২/২০২৫