ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে জমি বন্দোবস্ত দেওয়া অবৈধ

  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিল শ্রেণিভুক্ত ভূমি বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনুকূলে বন্দোবস্ত দেওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো.ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। রায়ে ভূমিটির পূর্বের রেকর্ড ফিরিয়ে আনা ও সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারী বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলী। তাকে সহযোগিতা করেন বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। ইউনিভার্সিটি অব ব্রাক্ষণবাড়িয়ার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ বাকীর উদ্দিন ভুঁইয়া।
গত বছরের ১১ নভেম্বর রিট করে বেলা। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রুলসহ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
রুলে ওই ‘বিল’ শ্রেণিভুক্ত ভূমিকে ‘পতিত’ হিসেবে পরিবর্তন এবং ‘বিল’ শ্রেণির ভূমি ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনুকূলে বন্দোবস্ত দেওয়ার কার্যক্রম কেন সংবিধানবিরোধী, বেআইনি এবং অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বৃহত্তর জনস্বার্থে ভূমিটির পূর্বের রেকর্ড ফিরিয়ে আনা ও সংরক্ষণ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পরে বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ৭৬ নং চর রাজাবাড়ি মৌজায় ৪.২৩০০ একর ভূমি ‘বিল’ হিসেবে সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। কিন্তু বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উল্লেখিত ‘বিল’ শ্রেণিভুক্ত ভূমি অকৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালার আলোকে শ্রেণি পরিবর্তন করে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনুকূলে বন্দোবস্ত দিতে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রস্তাব পাঠান। পরে শ্রেণি পরিবর্তন সংক্রান্ত বিবিধ মোকাদ্দমা (১৫২০২০-২০২১) মূলে উল্লেখিত ভূমির শ্রেণি ‘বিল’ হতে ‘পতিত’ হিসেবে পরিবর্তন করে রেকর্ড সংশোধন করা হয়। শ্রেণি পরিবর্তন করা ওই ভূমি নামমাত্র মূল্যে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনুকূলে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত দিতে জেলা প্রশাসক ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর প্রস্তাব পাঠান। ’ বেলার দাবি, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিল জলাধারের অন্তর্ভুক্ত, যার শ্রেণি পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। এ অবস্থায় বিলটি রক্ষার জন্য বেলা রিট করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও পরিবারের ৫৭৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে জমি বন্দোবস্ত দেওয়া অবৈধ

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিল শ্রেণিভুক্ত ভূমি বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনুকূলে বন্দোবস্ত দেওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো.ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। রায়ে ভূমিটির পূর্বের রেকর্ড ফিরিয়ে আনা ও সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারী বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলী। তাকে সহযোগিতা করেন বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। ইউনিভার্সিটি অব ব্রাক্ষণবাড়িয়ার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ বাকীর উদ্দিন ভুঁইয়া।
গত বছরের ১১ নভেম্বর রিট করে বেলা। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রুলসহ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
রুলে ওই ‘বিল’ শ্রেণিভুক্ত ভূমিকে ‘পতিত’ হিসেবে পরিবর্তন এবং ‘বিল’ শ্রেণির ভূমি ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনুকূলে বন্দোবস্ত দেওয়ার কার্যক্রম কেন সংবিধানবিরোধী, বেআইনি এবং অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বৃহত্তর জনস্বার্থে ভূমিটির পূর্বের রেকর্ড ফিরিয়ে আনা ও সংরক্ষণ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পরে বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ৭৬ নং চর রাজাবাড়ি মৌজায় ৪.২৩০০ একর ভূমি ‘বিল’ হিসেবে সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। কিন্তু বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উল্লেখিত ‘বিল’ শ্রেণিভুক্ত ভূমি অকৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালার আলোকে শ্রেণি পরিবর্তন করে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনুকূলে বন্দোবস্ত দিতে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রস্তাব পাঠান। পরে শ্রেণি পরিবর্তন সংক্রান্ত বিবিধ মোকাদ্দমা (১৫২০২০-২০২১) মূলে উল্লেখিত ভূমির শ্রেণি ‘বিল’ হতে ‘পতিত’ হিসেবে পরিবর্তন করে রেকর্ড সংশোধন করা হয়। শ্রেণি পরিবর্তন করা ওই ভূমি নামমাত্র মূল্যে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনুকূলে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত দিতে জেলা প্রশাসক ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর প্রস্তাব পাঠান। ’ বেলার দাবি, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিল জলাধারের অন্তর্ভুক্ত, যার শ্রেণি পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। এ অবস্থায় বিলটি রক্ষার জন্য বেলা রিট করে।