ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দিল সিটি

  • আপডেট সময় : ১০:১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচের শুরু থেকে দাপুটে ফুটবলের পসরা মেলল ম্যানচেস্টার সিটি। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টেনে লড়াইয়ের আভাস দেওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পরে যেন খুঁজেই পাওয়া গেল না। দারুণ জয়ে লিগ টেবিলে লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধান বাড়াল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমার্ধে তাদের প্রথম দুই গোল করেন কেভিন ডে ব্রুইনে, দ্বিতীয়ার্ধে পরের দুটি রিয়াদ মাহরেজ। ইউনাইটেডের একমাত্র গোলটি করেন জ্যাডন স্যানচো। গত নভেম্বরে লিগে প্রথম দেখায় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২-০ গোলে জিতেছিল সিটি। গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এক আসরে দুবার ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতল তারা। আগেরটি ছিল ২০১৮-১৯ মৌসুমে। নিতম্বের চোটে এই ম্যাচে ছিলেন না ইউনাইটেডের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। স্যানচোর গোলটি ছাড়া তাদের পারফরম্যান্স ছিল একদম বিবর্ণ। পুরো ম্যাচে বল দখলে আধিপত্যের পাশাপাশি গোলের জন্য ২৪টি শট নিয়ে ১০টি লক্ষ্যে রাখে সিটি। বিপরীতে ইউনাইটেডের পাঁচ শটের দুটি লক্ষ্যে ছিল।
সিটির শুরুটা হয় স্বপ্নের মতো। পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে জ্যাক গ্রিলিশের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বের্নার্দো সিলভা পাস দেন বক্সে। ছুটে গিয়ে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ডে ব্রুইনে। অষ্টম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ইউনাইটেড। ব্রুনো ফের্নান্দেস ডি-বক্সে খুঁজে নেন ফ্রেদকে। ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার এগিয়ে যান দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে। তবে দ্রুত এগিয়ে এসে তাকে রুখে দেন তারই স্বদেশী গোলরক্ষক এদেরসন। পাল্টা আক্রমণ থেকে ২২তম মিনিটে স্যানচোর দারুণ গোলে সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। মাঝমাঠ থেকে পল পগবার বাড়ানো বল ধরে জায়গা বানিয়ে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। ২৬তম মিনিটে ফিল ফোডেনের প্রচেষ্টা ক্রসবারের ওপরের দিকে লাগে। এর এক মিনিট পরই লিড পুনরুদ্ধার করে তারা। ইউনাইটেডের ভুলে বল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সে ঢুকে ফোডেনের শট শুরুতে ঠেকান দাভিদ দে হেয়া। ফিরতি বলে সিলভার শট রুখে দেন হ্যারি ম্যাগুইয়ার। আলেক্স তেলেস পারেননি ক্লিয়ার করতে। ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডে ব্রুইনে। বিরতির আগে বাড়তে পারত ব্যবধান। মাহরেজের নিচু শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ফিরিয়ে দেন স্প্যানিশ গোরক্ষক দে হেয়া।
৬২তম মিনিটে গোলরক্ষক বরাবর শট মারেন ডে ব্রুইনে। পাঁচ মিনিট পর দলের তৃতীয় গোলেও অবদান আছে তার। বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের কর্নারে মাহরেজের বাঁ পায়ের দারুণ হাফ ভলিতে বল ম্যাগুইয়ারের পা ছুঁয়ে জালে জড়ায়। ৮২তম মিনিটে দে হেয়ার নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়েনি। জোয়াও কানসেলোর অ্যাক্রোবেটিক শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি। ৮৮তম মিনিটে কাছ থেকে বল বাইরে মারেন অরক্ষিত ইলকাই গিনদোয়ান। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মাহরেজ। গিনদোয়ানের বাড়ানো বল ধরে দে হেয়াকে পরাস্ত করেন তিনি। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। বড় জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। ২৮ ম্যাচে ২২ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল। ২৬ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে চেলসি। আরেক ম্যাচে ওয়াটফোর্ডকে ৩-২ গোলে হারানো আর্সেনাল ২৫ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে। সপ্তম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দিল সিটি

আপডেট সময় : ১০:১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচের শুরু থেকে দাপুটে ফুটবলের পসরা মেলল ম্যানচেস্টার সিটি। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টেনে লড়াইয়ের আভাস দেওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পরে যেন খুঁজেই পাওয়া গেল না। দারুণ জয়ে লিগ টেবিলে লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধান বাড়াল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমার্ধে তাদের প্রথম দুই গোল করেন কেভিন ডে ব্রুইনে, দ্বিতীয়ার্ধে পরের দুটি রিয়াদ মাহরেজ। ইউনাইটেডের একমাত্র গোলটি করেন জ্যাডন স্যানচো। গত নভেম্বরে লিগে প্রথম দেখায় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২-০ গোলে জিতেছিল সিটি। গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এক আসরে দুবার ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতল তারা। আগেরটি ছিল ২০১৮-১৯ মৌসুমে। নিতম্বের চোটে এই ম্যাচে ছিলেন না ইউনাইটেডের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। স্যানচোর গোলটি ছাড়া তাদের পারফরম্যান্স ছিল একদম বিবর্ণ। পুরো ম্যাচে বল দখলে আধিপত্যের পাশাপাশি গোলের জন্য ২৪টি শট নিয়ে ১০টি লক্ষ্যে রাখে সিটি। বিপরীতে ইউনাইটেডের পাঁচ শটের দুটি লক্ষ্যে ছিল।
সিটির শুরুটা হয় স্বপ্নের মতো। পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে জ্যাক গ্রিলিশের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বের্নার্দো সিলভা পাস দেন বক্সে। ছুটে গিয়ে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ডে ব্রুইনে। অষ্টম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ইউনাইটেড। ব্রুনো ফের্নান্দেস ডি-বক্সে খুঁজে নেন ফ্রেদকে। ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার এগিয়ে যান দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে। তবে দ্রুত এগিয়ে এসে তাকে রুখে দেন তারই স্বদেশী গোলরক্ষক এদেরসন। পাল্টা আক্রমণ থেকে ২২তম মিনিটে স্যানচোর দারুণ গোলে সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। মাঝমাঠ থেকে পল পগবার বাড়ানো বল ধরে জায়গা বানিয়ে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। ২৬তম মিনিটে ফিল ফোডেনের প্রচেষ্টা ক্রসবারের ওপরের দিকে লাগে। এর এক মিনিট পরই লিড পুনরুদ্ধার করে তারা। ইউনাইটেডের ভুলে বল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সে ঢুকে ফোডেনের শট শুরুতে ঠেকান দাভিদ দে হেয়া। ফিরতি বলে সিলভার শট রুখে দেন হ্যারি ম্যাগুইয়ার। আলেক্স তেলেস পারেননি ক্লিয়ার করতে। ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডে ব্রুইনে। বিরতির আগে বাড়তে পারত ব্যবধান। মাহরেজের নিচু শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ফিরিয়ে দেন স্প্যানিশ গোরক্ষক দে হেয়া।
৬২তম মিনিটে গোলরক্ষক বরাবর শট মারেন ডে ব্রুইনে। পাঁচ মিনিট পর দলের তৃতীয় গোলেও অবদান আছে তার। বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের কর্নারে মাহরেজের বাঁ পায়ের দারুণ হাফ ভলিতে বল ম্যাগুইয়ারের পা ছুঁয়ে জালে জড়ায়। ৮২তম মিনিটে দে হেয়ার নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়েনি। জোয়াও কানসেলোর অ্যাক্রোবেটিক শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি। ৮৮তম মিনিটে কাছ থেকে বল বাইরে মারেন অরক্ষিত ইলকাই গিনদোয়ান। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মাহরেজ। গিনদোয়ানের বাড়ানো বল ধরে দে হেয়াকে পরাস্ত করেন তিনি। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। বড় জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। ২৮ ম্যাচে ২২ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল। ২৬ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে চেলসি। আরেক ম্যাচে ওয়াটফোর্ডকে ৩-২ গোলে হারানো আর্সেনাল ২৫ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে। সপ্তম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে।