ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইউজিসির সতর্কতা ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট বিক্রি

  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামক একটি অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ওয়েবসাইটে (যঃঃঢ়ং://বধঁন.রহভড়/) উল্লিখিত ভুয়া তথ্য বিশ্বাস করে কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার না হতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি।

জানা গেছে, দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ শাখার দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইস্যু করা সনদের সঠিকতা যাচাইয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়।

সরকার অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পাওয়া না যাওয়ায় ওয়েবসাইটের (যঃঃঢ়ং://বধঁন.রহভড়/) মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান রাজধানীর ইস্ট মেরুল বাড্ডা হওয়ায় এর কার্যক্রম সরজমিনে পরিদর্শনের জন্য কমিশন দুই সদস্যের একটি পরিদর্শন টিম গঠন করে। গত ২০ জানুয়ারি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে টিমের সদস্যরা ইউজিসি কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।

রাজধানীর পূর্ব মেরুল বাড্ডায় ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটির কোনো ক্যাম্পাসের অস্তিত্ব নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে (যঃঃঢ়ং://বধঁন.রহভড়/) বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকার, ইউজিসি, ফার্মেসি কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত বলে উল্লেখ করেছে। বাস্তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোরর কোনো ধরনের অনুমোদন না নিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে ইউজিসি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম টাইপ করলে স্ক্রলবারে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর নামসহ লোগো প্রদর্শিত হয়।

কিন্তু ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামেই পেজটি ওপেন হয়। আরো আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটির নামের ওপর ক্লিক করলে ইবাইস ইউনিভার্সিটি (যঃঃঢ়ং://রনধরং.ধপ/) নামের পেইজটি ওপেন হয়। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সনদ বাণিজ্যের জন্যই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অননুমোদিত এ প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে প্রতারণা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (যঃঃঢ়ং://বধঁন.রহভড়/) ডোমেইনটি অতি দ্রুত বন্ধের বিষয়ে বিটিসিএল-এ পত্র প্রেরণের সুপারিশ করেছে।

এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকায় কাউন্টার থেকে চলবে ২১ কোম্পানির গোলাপী বাস

ইউজিসির সতর্কতা ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট বিক্রি

আপডেট সময় : ০৬:২৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামক একটি অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ওয়েবসাইটে (যঃঃঢ়ং://বধঁন.রহভড়/) উল্লিখিত ভুয়া তথ্য বিশ্বাস করে কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার না হতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি।

জানা গেছে, দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ শাখার দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইস্যু করা সনদের সঠিকতা যাচাইয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়।

সরকার অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পাওয়া না যাওয়ায় ওয়েবসাইটের (যঃঃঢ়ং://বধঁন.রহভড়/) মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান রাজধানীর ইস্ট মেরুল বাড্ডা হওয়ায় এর কার্যক্রম সরজমিনে পরিদর্শনের জন্য কমিশন দুই সদস্যের একটি পরিদর্শন টিম গঠন করে। গত ২০ জানুয়ারি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে টিমের সদস্যরা ইউজিসি কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।

রাজধানীর পূর্ব মেরুল বাড্ডায় ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটির কোনো ক্যাম্পাসের অস্তিত্ব নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে (যঃঃঢ়ং://বধঁন.রহভড়/) বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকার, ইউজিসি, ফার্মেসি কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত বলে উল্লেখ করেছে। বাস্তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোরর কোনো ধরনের অনুমোদন না নিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে ইউজিসি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম টাইপ করলে স্ক্রলবারে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর নামসহ লোগো প্রদর্শিত হয়।

কিন্তু ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামেই পেজটি ওপেন হয়। আরো আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটির নামের ওপর ক্লিক করলে ইবাইস ইউনিভার্সিটি (যঃঃঢ়ং://রনধরং.ধপ/) নামের পেইজটি ওপেন হয়। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সনদ বাণিজ্যের জন্যই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অননুমোদিত এ প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে প্রতারণা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (যঃঃঢ়ং://বধঁন.রহভড়/) ডোমেইনটি অতি দ্রুত বন্ধের বিষয়ে বিটিসিএল-এ পত্র প্রেরণের সুপারিশ করেছে।

এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে।