আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার অর্থনৈতিক সংকট ইউক্রেনের জন্য সুযোগ এনে দিয়েছে। এখনই সময় ইউক্রেনের নিজের দখলকৃত সব ভূমি পুনরুদ্ধার করার। এই বক্তব্যকে ‘বড় ধরনের পরিবর্তন’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, পুতিন ও রাশিয়া বড় অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়েছে। এখনই ইউক্রেনের কাজ করার সময়। তিনি রাশিয়াকে কাগুজে বাঘ বলেও উল্লেখ করেন।
ট্রাম্প আরো বলেন, রাশিয়ার অর্থনীতি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাতে আমি মনে করি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ইউক্রেন তার সব ভূখণ্ড ফিরিয়ে আনতে পারবে।
তবে ট্রাম্পের বক্তব্য মার্কিন নীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন আনবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ পর্যন্ত তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেননি। এর আগে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড ছাড় দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে, জেলেনস্কি বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার চাপ বাড়াতে। জাতিসংঘ অধিবেশনের ভাষণেও তিনি এই দাবি তোলেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জেলেনস্কি বলেন, আলোচনা ছিল ‘ভালো ও গঠনমূলক’, তবে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জানান, রাশিয়ার দুর্বল অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং যুদ্ধ শেষ হলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে একটি ‘বোঝাপড়া’ তৈরি হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, ট্রাম্প এই যুদ্ধে গেমচেঞ্জার-এর ভূমিকা নিতে সক্ষম। রাশিয়ার ওপর চীন এখনো প্রভাব ধরে রেখেছে।
ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাবে, যাতে ন্যাটো সদস্য দেশগুলো তা ইউক্রেনের জন্য ব্যবহার করতে পারে।
এদিকে, জাতিসংঘে রাশিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি ট্রাম্পের বার্তাকে গুরুত্ব না দেওয়ার আহ্বান জানান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রতিটি টুইটে এত উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই।
এসি/আপ্র/২৪/০৯/২০২৫