বিদেশের খবর ডেস্ক : কিয়েভের জন্য শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে নতুনভাবে ছয় কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা করবে লন্ডন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন সফরকালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ল্যামি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থন অটুট রয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধসহ অন্য যে কোনও ক্ষেত্রে, ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউক্রেনে দ্বিতীয়বারের মতো সফরে যাচ্ছে ল্যামি। এই সফরে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য মুখ্য সরকারি কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ইউক্রেনকে সমর্থন দিতে ব্রিটেন ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিশ্চিতের চেষ্টা করছে কিয়েভ। এমন সময়ই ইউক্রেন সফরে গেলেন ল্যামি। হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই ট্রাম্প বলে আসছেন, প্রায় তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ খুবই দ্রুত থামিয়ে দিতে পারবেন তিনি। ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের শস্য এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী সিরিয়ায় পাঠানোর জন্য ৩০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড সহায়তা দেওয়া হবে। রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে চায় কিয়েভ। ডিসেম্বর মাসে সিরিয়ায় প্রথম খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছিল তারা। নতুন আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে, উদ্ভাবনী শক্তি প্রকল্পে এক কোটি ৭০ লাখ, ইউক্রেনের ব্যবসা পুনরুদ্ধারে এক কোটি এবং পরিবার ও সামাজিক পরিষেবায় সহায়তার জন্য আড়াই কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড দেওয়া হবে। প্রায় তিন বছর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকে ৯৭ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড সহায়তার অঙ্গীকার করেছে ব্রিটেন। পাশাপাশি, যতদিন প্রয়োজন কিয়েভকে বার্ষিক তিনশ কোটি পাউন্ড সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।