আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২২ সালের শুরুর দিকের পর এই প্রথম মার্কিন ও রুশ দুই প্রেসিডেন্ট সরাসরি টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তিনি কীভাবে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন সেই বিষয়ে এখনও কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করেননি। তবে গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কেবলই রক্তপাত এবং তার দল এই বিষয়ে ‘‘কিছু খুব ভালো আলোচনা’’ করছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এয়ার ফোর্স ওয়ানের বিমানে নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনার বিষয়টি জানান। এসময় পুতিনের সঙ্গে কতবার আলোচনা করেছেন বলে জানতে চাওয়া হলে চ্রাম্প বলেন, ‘এটা না বলাই ভালো।’
নিউইয়র্ক পোস্টকে ট্রাম্প বলেন, মানুষের মৃত্যু থেমে যাক, তিনি (পুতিন) এটাই দেখতে চান। তবে ট্রাম্প-পুতিনের টেলিফোনে আলোচনার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।
এদিকে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাস নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, ভিন্ন ভিন্ন অনেক ধরনের যোগাযোগ হচ্ছে। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে পেসকভ বলেন, ‘এসব যোগাযোগ বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু জানি না এবং সম্ভবত কিছু বিষয়ে অবগতও নই। আমি এটিকে নিশ্চিত অথবা অস্বীকার করতে পারছি না।’
ইউক্রেনে রুশপন্থীদের রক্ষা এবং ন্যাটোতে ইউক্রেনের সম্ভাব্য সদস্যপদ পাওয়া ঘিরে ২০২২ সালে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করে রাশিয়া। ওই সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তখন থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেন-রাশিয়ার ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ চলছে।