বিদেশের খবর ডেস্ক :রুশ-ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ সের্গেই রাদচেঙ্কো তার নতুন বই “টু রান দ্য ওয়ার্ল্ড: দ্য ক্রেমলিন’স কোল্ড ওয়ার বিড ফর গ্লোবাল পাওয়ার”-এ রাশিয়ার বৈশ্বিক ক্ষমতা অর্জনের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি মূলত ‘মহাশক্তি’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা দ্বারা পরিচালিত।
রাদচেঙ্কোর মতে, সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বর্তমান রাশিয়া পর্যন্ত ক্রেমলিনের নীতিতে এই ধারাবাহিকতা পরিলক্ষিত হয়। তিনি বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ার অর্জিত সাফল্যগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি চান। পুতিনের দৃষ্টিতে, ইউক্রেনের ভাগ্য নির্ধারণে তিনি আমেরিকার সঙ্গে সমান মর্যাদায় আলোচনা করতে চান, ইউক্রেন বা ইউরোপীয়দের মতামতকে ততটা গুরুত্ব দেন না। রাদচেঙ্কো আরও বলেন, এই ‘মহাশক্তি’ মানসিকতা রাশিয়াকে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে প্ররোচিত করে। যখন কোনও প্রতিবেশী দেশ, যেমন ইউক্রেন, রাশিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যায়, তখন সেটিকে শাস্তি দেওয়া হয় অন্যদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে। এই দৃষ্টিভঙ্গি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ সামাজিক সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করে বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জনের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে। রাদচেঙ্কোর মতে, রাশিয়ার জনগণ প্রায়ই এই বৈশ্বিক মর্যাদাকে তাদের জীবনের মানোন্নয়নের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।