ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে ম্যাক্রোঁ-পুতিন বাকযুদ্ধ

  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

ব্লুমবার্গ : ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে এবার মুখোমুখি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) এ ব্যাপারে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ সময় দুজনের মধ্যেই বাকযুদ্ধ হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গের।
খবরে বলা হয়েছে, রোববার ম্যাক্রোঁ-পুতিনের মধ্যে ‘ফ্রাঙ্ক এক্সচেঞ্জ’ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ইউক্রেনের ঝাপোরিজঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে কথা তোলেন ম্যাক্রোঁ। তিনি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশ থেকে হালকা ও ভারী ধরনের অস্ত্র প্রত্যাহার করতে রাশিয়াকে আহ্বান জানান।
কিন্তু পুতিন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ঝাপোরিজঝিয়া সংকটের জন্য দায়ী করেন। কিন্তু ম্যাক্রোঁ মনে করেন জাপোরিঝিয়া ঘিরে রুশ দখলদারিত্ব ঝুঁকির কারণ। তাই প্ল্যান্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ম্যাক্রোঁর কথা উপেক্ষা করে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়মিত আক্রমণের প্রতি মনোযোগের কথা বলেন পুতিন। তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থা বিপর্যয়কর পরিণতিতে পরিপূর্ণ। এ নিয়েই মূলত দুজনের মধ্যে বাকযুদ্ধ হয়। ঝাপোরিজঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশে বোমা হামলার ব্যাপারে একে অপরকে দোষারোপ করছে রাশিয়া-ইউক্রেন। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ম্যাক্রোঁ-পুতিনের আলোচনার পর দুজনের কার্যালয় থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিগুলোর কথা দুরকম।
ক্রেমলিন বলছে, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সংরক্ষণাগারসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন স্থাপনায় ইউক্রেনের নিয়মিত হামলায় আরও বিপর্যয় ঘটতে পারে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার অংশগ্রহণে একটি অরাজনৈতিক মত বিনিময়ের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।
অন্যদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, রুশ সৈন্যরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণে থাকায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। হালকা-ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাশিয়াকে ঝাপোরিজঝিয়া থেকে সরে যাওয়া ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয় এতে।
ম্যাক্রোঁর দপ্তর আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আগামীতে পুতিনের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসতে চান। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধান রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির সঙ্গে ঝাপোরিজঝিয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে একটি চুক্তি নিয়েও আলোচনা করবেন। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা ঝাপোরিজঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে ম্যাক্রোঁ-পুতিন বাকযুদ্ধ

আপডেট সময় : ০২:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ব্লুমবার্গ : ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে এবার মুখোমুখি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) এ ব্যাপারে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ সময় দুজনের মধ্যেই বাকযুদ্ধ হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গের।
খবরে বলা হয়েছে, রোববার ম্যাক্রোঁ-পুতিনের মধ্যে ‘ফ্রাঙ্ক এক্সচেঞ্জ’ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ইউক্রেনের ঝাপোরিজঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে কথা তোলেন ম্যাক্রোঁ। তিনি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশ থেকে হালকা ও ভারী ধরনের অস্ত্র প্রত্যাহার করতে রাশিয়াকে আহ্বান জানান।
কিন্তু পুতিন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ঝাপোরিজঝিয়া সংকটের জন্য দায়ী করেন। কিন্তু ম্যাক্রোঁ মনে করেন জাপোরিঝিয়া ঘিরে রুশ দখলদারিত্ব ঝুঁকির কারণ। তাই প্ল্যান্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ম্যাক্রোঁর কথা উপেক্ষা করে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়মিত আক্রমণের প্রতি মনোযোগের কথা বলেন পুতিন। তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থা বিপর্যয়কর পরিণতিতে পরিপূর্ণ। এ নিয়েই মূলত দুজনের মধ্যে বাকযুদ্ধ হয়। ঝাপোরিজঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশে বোমা হামলার ব্যাপারে একে অপরকে দোষারোপ করছে রাশিয়া-ইউক্রেন। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ম্যাক্রোঁ-পুতিনের আলোচনার পর দুজনের কার্যালয় থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিগুলোর কথা দুরকম।
ক্রেমলিন বলছে, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সংরক্ষণাগারসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন স্থাপনায় ইউক্রেনের নিয়মিত হামলায় আরও বিপর্যয় ঘটতে পারে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার অংশগ্রহণে একটি অরাজনৈতিক মত বিনিময়ের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।
অন্যদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, রুশ সৈন্যরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণে থাকায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। হালকা-ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাশিয়াকে ঝাপোরিজঝিয়া থেকে সরে যাওয়া ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয় এতে।
ম্যাক্রোঁর দপ্তর আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আগামীতে পুতিনের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসতে চান। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধান রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির সঙ্গে ঝাপোরিজঝিয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে একটি চুক্তি নিয়েও আলোচনা করবেন। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা ঝাপোরিজঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।