ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ইউক্রেনীয় রকেট হামলায় রুশ সাংবাদিকসহ ছয়জন নিহত

  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

বিদেশেরখবর ডেস্ক : রুশ অধিকৃত পূর্ব ইউক্রেনের শহর লুহানস্কে ইউক্রেনীয় রকেট হামলায় ছয় জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ৩ সংবাদকর্মীও রয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যমের বরাতে আল জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবারের এই হামলায় রাশিয়ার ইজভেস্তিয়া সংবাদপত্রের সাংবাদিক আলেজান্ডার ফেদোরচাক, টেলিভিশন চ্যানেল জভেজদার ক্যামেরা অপারেটর আন্দ্রেই পানভ এবং এবং ওই চ্যানেলের গাড়িচালক আলেকজান্ডার সিরকেলি নিহত হন। ইজভেস্তিয়া জানায়, ফেদোরচাক লুহানস্কের পার্শ্ববর্তী খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ান এলাকায় রিপোর্ট করছিলেন।

লুহানস্ক অঞ্চলের মস্কো-নিযুক্ত গভর্নর লিওনিড পাসেচনিক জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৪ বছর বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চলা জভেজদা চ্যানেল বলছে, তাদের সংবাদদাতা নিকিতা গোল্ডিনও এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন সাংবাদিকদের লক্ষ্য করেই এই হামলা চালিয়েছে। তবে, এ দাবির বিপরীতে এখনো কোন মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। নিরাপত্তা সংস্থা সূত্রের বরাত দিয়ে রাশিয়ান সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, অত্যাধুনিক এইচআইএমএআরএস রকেট দ্বারা এই হামলাটি করা হয়েছে। এ ধরনের রকেট ইউক্রেনের কাছে নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এই রকেট সরবরাহ করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ আলেকজান্ডার মিরোশনিক বলেছেন, সাংবাদিকদের লক্ষ্য করেই এই আক্রমণ করা হয়েছে বলে প্রমাণ রয়েছে। মেসেজিং এ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, সাংবাদিকদের হত্যার বিষয়ে অনেক তথ্য উঠে আসছে যা হামলাটি যে পূর্বপরিকল্পিত তারই ইঙ্গিত দেয়। ইউক্রেনের জাতীয় সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ১৮ জন ইউক্রেনীয় এবং বিদেশি সাংবাদিক কর্মস্থলে নিহত হয়েছেন। এর বাইরে আরও ১০ জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকাকালীন নিহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি গণমাধ্যমকর্মী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ইউক্রেনীয় রকেট হামলায় রুশ সাংবাদিকসহ ছয়জন নিহত

আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

বিদেশেরখবর ডেস্ক : রুশ অধিকৃত পূর্ব ইউক্রেনের শহর লুহানস্কে ইউক্রেনীয় রকেট হামলায় ছয় জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ৩ সংবাদকর্মীও রয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যমের বরাতে আল জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবারের এই হামলায় রাশিয়ার ইজভেস্তিয়া সংবাদপত্রের সাংবাদিক আলেজান্ডার ফেদোরচাক, টেলিভিশন চ্যানেল জভেজদার ক্যামেরা অপারেটর আন্দ্রেই পানভ এবং এবং ওই চ্যানেলের গাড়িচালক আলেকজান্ডার সিরকেলি নিহত হন। ইজভেস্তিয়া জানায়, ফেদোরচাক লুহানস্কের পার্শ্ববর্তী খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ান এলাকায় রিপোর্ট করছিলেন।

লুহানস্ক অঞ্চলের মস্কো-নিযুক্ত গভর্নর লিওনিড পাসেচনিক জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৪ বছর বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চলা জভেজদা চ্যানেল বলছে, তাদের সংবাদদাতা নিকিতা গোল্ডিনও এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন সাংবাদিকদের লক্ষ্য করেই এই হামলা চালিয়েছে। তবে, এ দাবির বিপরীতে এখনো কোন মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। নিরাপত্তা সংস্থা সূত্রের বরাত দিয়ে রাশিয়ান সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, অত্যাধুনিক এইচআইএমএআরএস রকেট দ্বারা এই হামলাটি করা হয়েছে। এ ধরনের রকেট ইউক্রেনের কাছে নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এই রকেট সরবরাহ করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ আলেকজান্ডার মিরোশনিক বলেছেন, সাংবাদিকদের লক্ষ্য করেই এই আক্রমণ করা হয়েছে বলে প্রমাণ রয়েছে। মেসেজিং এ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, সাংবাদিকদের হত্যার বিষয়ে অনেক তথ্য উঠে আসছে যা হামলাটি যে পূর্বপরিকল্পিত তারই ইঙ্গিত দেয়। ইউক্রেনের জাতীয় সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ১৮ জন ইউক্রেনীয় এবং বিদেশি সাংবাদিক কর্মস্থলে নিহত হয়েছেন। এর বাইরে আরও ১০ জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকাকালীন নিহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি গণমাধ্যমকর্মী।