বিদেশের খবর ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তবে ইউক্রেন বা ইউরোপীয় পক্ষ কাউকে এই আলোচনায় দেখা যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বৈঠকটি শুরু হওয়ার আগে গণমাধ্যমকর্মীদের ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে কেবল দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ছাড়াও পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইয়োরি উশাকভ, ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ অংশ নিয়েছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বৈঠকের মানে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা শুরু নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় যুদ্ধের ইতি টানার বিষয়ে রাশিয়া কতটা আন্তরিক। এদিকে রাশিয়া বলছে, এই বৈঠক হলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি প্রক্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে এই আলোচনাকে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার এই বৈঠকের ঘোষণা আসার পরই ইউরোপীয় নেতারা প্যারিসে পৃথক এক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর দরকার হলে তিনি দেশটিতে সেনা পাঠাতে রাজি আছেন। তবে জার্মানি এই প্রস্তাবকে ‘অসঙ্গত’ বলে উল্লেখ করেছে। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সোমবার রিয়াদের আল-ইয়ামামাহ প্রাসাদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে স্বাগত জানান। এই সাক্ষাতে দুই নেতা তাদের দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেন। রুবিওর সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং হোয়াইট হাউজের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। উইটকফ একজন বিলিয়নিয়ার, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যিনি আন্তর্জাতিক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সুত্র: বিবিসি