প্রত্যাশা ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করছে চীনের অন্তত ১৫৫ নাগরিক। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একথা জানিয়েছেন। এ সপ্তাহে দুই চীনা যোদ্ধা ধরা পড়ার পর জেলেনস্কি এমন কথা বললেন। ৩ বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেইন যুদ্ধে এই প্রথম কিইভ চীনের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় জনবল সরবরাহের অভিযোগ করল। গত বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনস্কি তার সরকারের সংগ্রহীত তথ্যের ভিত্তিতে যুদ্ধে ‘আরও অনেক’ চীনা নাগরিক জড়িত রয়েছে বলেও দাবি করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এর প্রতিক্রিয়ায় চীন সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, তিনি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে “দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করে সঠিক এবং শান্তভাবে চীনের ভূমিকা বোঝার পরামর্শ দিচ্ছেন।” চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “চীন ইউক্রেইন সংকটের হোতাও নয়, এর কোনও পক্ষও নয়। আমরা এই সংকট শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের সক্রিয় সংগঠক এবং সমর্থক।
” তিনি আরও বলেন, চীন সরকার সবসময় তার নাগরিকদের সশস্ত্র সংঘাতের এলাকা থেকে দূরে থাকতে এবং যে কোনও ধরনের সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত হওয়া এড়াতে,বিশেষ করে কোনও পক্ষের সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়া এড়াতে বলেছে।” বেইজিং এর আগেও রাশিয়ার হয়ে তার নাগরিকদের যুদ্ধে লড়ার কথা অস্বীকার করেছিল। চীনা নাগরিকদের যুদ্ধে লড়ার দাবি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিল তারা। তবে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার বাহিনী ইউক্রেইনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে ৬ চীনা যোদ্ধার সঙ্গে লড়েছে এবং দুইজন যোদ্ধাকে বন্দি করেছে।
রাশিয়া এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। জেলেনস্কি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “‘চীনের বিষয়টি গুরুতর। ইউক্রেইনের ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ১৫৫ জন, যাদের নাম এবং পাসপোর্টের তথ্য রয়েছে।” রাশিয়া সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে চীনা নাগরিকদের নিয়োগ করছে এবং চীনের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবগত বলে জানান জেলেনস্কি। তিনি আরও বলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত এই চীনারা মস্কোয় প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। এরপর তাদেরকে ইউক্রেইনের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হচ্ছে। তাদেরকে অভিবাসনের কাগজপত্র এবং মজুরিও দেওয়া হচ্ছে।