ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

ইউএসএআইডি’র বিপুল সংখ্যক নথি ধ্বংসের নির্দেশ

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির বিপুল নথিপত্র ধ্বংসের আদেশ দিয়েছেন সংস্থাটির এক কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগে এই দাবি তোলা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন সরকারি কর্মীদের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে বলা হয়েছে, সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা এরিকা কার কর্মীদের গোপনীয় নথি ধ্বংসের আদেশ দেন।

অভিযোগে কারের লেখা একটি মেইলকে আলামত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই মেইলে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক নথি আগে শ্রেড (কেটে কুটি কুটি করা) করুন। সেটি সম্ভব না হলে পুড়িয়ে ফেলুন।

অবশ্য ওই মেইলে এটা স্পষ্ট নয়, কোন নথি ধ্বংসের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগকারীরা বলেছেন, তড়িঘড়ি বিপুল সংখ্যক নথিপত্র ধ্বংস করা সরকারি নথি সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন। এছাড়া, এসব নথি ধ্বংস হলে ইউএসএআইডি বন্ধে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার প্রয়োজনীয় আলামত হারিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, অভিযোগকারীদের দাবিকে ভিত্তিহীন ও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সচিব অ্যানা কেলি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, কেবল পুরোনো এবং অন্য সংস্থার পাঠানো সাধারণ কাগজপত্র ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া, ডিজিটাল মাধ্যমে সব নথির কপি সংরক্ষিত আছে।

তিনি আরো বলেন, ইউএসএআইডি কার্যালয় খুব শিগগিরই মার্কিন শুল্ক ও সীমান্ত প্রতিরক্ষা দফতরের জন্য বরাদ্দ করা হবে।

মঙ্গলবারের অভিযোগে নথি ধ্বংস স্থগিতে আদালতে হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। তারা বলেছেন, যদি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা জিতে যান, তবে ভবিষ্যতে চাকুরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহাল জটিল হয়ে পড়বে।

অভিযোগে যাচাই করে বিচারক উভয় পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তারা বুধবার সকালে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে সংক্ষিপ্ত শুনানির সময়সূচি এবং তাদের মধ্যে মতপার্থক্য আদালতকে জানাবে।

গত মাসে এই বিচারকই ইউএসএআইডির দুহাজারের বেশি কর্মীকে ছাঁটাইয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংস্থাটির ৮০ শতাংশের বেশি প্রকল্প স্থগিত ও অধিকাংশ কর্মীর চাকরি চলে গেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইউএসএআইডি’র বিপুল সংখ্যক নথি ধ্বংসের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির বিপুল নথিপত্র ধ্বংসের আদেশ দিয়েছেন সংস্থাটির এক কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগে এই দাবি তোলা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন সরকারি কর্মীদের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে বলা হয়েছে, সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা এরিকা কার কর্মীদের গোপনীয় নথি ধ্বংসের আদেশ দেন।

অভিযোগে কারের লেখা একটি মেইলকে আলামত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই মেইলে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক নথি আগে শ্রেড (কেটে কুটি কুটি করা) করুন। সেটি সম্ভব না হলে পুড়িয়ে ফেলুন।

অবশ্য ওই মেইলে এটা স্পষ্ট নয়, কোন নথি ধ্বংসের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগকারীরা বলেছেন, তড়িঘড়ি বিপুল সংখ্যক নথিপত্র ধ্বংস করা সরকারি নথি সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন। এছাড়া, এসব নথি ধ্বংস হলে ইউএসএআইডি বন্ধে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার প্রয়োজনীয় আলামত হারিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, অভিযোগকারীদের দাবিকে ভিত্তিহীন ও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সচিব অ্যানা কেলি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, কেবল পুরোনো এবং অন্য সংস্থার পাঠানো সাধারণ কাগজপত্র ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া, ডিজিটাল মাধ্যমে সব নথির কপি সংরক্ষিত আছে।

তিনি আরো বলেন, ইউএসএআইডি কার্যালয় খুব শিগগিরই মার্কিন শুল্ক ও সীমান্ত প্রতিরক্ষা দফতরের জন্য বরাদ্দ করা হবে।

মঙ্গলবারের অভিযোগে নথি ধ্বংস স্থগিতে আদালতে হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। তারা বলেছেন, যদি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা জিতে যান, তবে ভবিষ্যতে চাকুরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহাল জটিল হয়ে পড়বে।

অভিযোগে যাচাই করে বিচারক উভয় পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তারা বুধবার সকালে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে সংক্ষিপ্ত শুনানির সময়সূচি এবং তাদের মধ্যে মতপার্থক্য আদালতকে জানাবে।

গত মাসে এই বিচারকই ইউএসএআইডির দুহাজারের বেশি কর্মীকে ছাঁটাইয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংস্থাটির ৮০ শতাংশের বেশি প্রকল্প স্থগিত ও অধিকাংশ কর্মীর চাকরি চলে গেছে।