ঢাকা ০২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

ইউএফও’ তদন্তে নতুন দলের ঘোষণা নাসার

  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিভিন্ন সময়ে জনসাধারণ আর সামরিক পাইলটদের নজরে আসা অচেনা-অজানা উড়ুক্কু যান তদন্তে নতুন দল গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা; সম্প্রতি দলটির সদস্যদের নামও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। নিজস্ব বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, স্বাধীনভাবে ‘আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা (ইউএপি)’ তদন্ত করবে নতুন দলটি। কার্যত, ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট’ বা ইউএফ তদন্তেই নতুন এ দল গঠন করেছে মার্কিন এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় কথিত ‘ভিনগ্রহবাসী বা এলিয়েনদের যান’ বা ইউএফও নজরে এলেও এ বিষয়ে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের জ্ঞানের পরিধি এখনও সীমিত। যুক্তরাষ্ট্র গেল কয়েক বছর ধরে ‘ইউএফও দর্শনে’র ঘটনাগুলোকে ‘ইউএপি’ বলে আখ্যা দিয়ে আসছে। যানের আকার এবং ওড়ার ধরন পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়– গত কয়েক দশকে আকাশে এমন উড়ুক্কু যান দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে জনসমক্ষে মুখ খুলেছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা। নতুন দলটি ২৪ অক্টোবর থেকে গবেষণা কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে নাসা, কাজ চলবে নয় মাস। গবেষণার জন্য অসামরিক নাগরিক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থার সংগৃহিত ডেটা বিবেচনায় নেবে দলটি। ইউএপি নিয়ে ভবিষ্যৎ গবেষণার অবকাঠামো তৈরি করবে এ দলটি। দলটি গবেষণায় কেবল ‘আনক্লাসিফায়েড ডেটা’ ব্যবহারের কথা বলেছে নাসা। অর্থাৎ, এ বিষয়ে মার্কিন সরকারের কোনো সংস্থার কাছে গোপন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত থাকলেও তা গবেষণার অন্তর্ভূক্ত হবে না।

এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনে অবস্থিত নাসার সদর দপ্তরের সহযোগী ব্যবস্থাপক থমাস জারবাখেন বলেন, “মহাকাশ এবং বায়ুম-লের অজানা বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধানই নাসার কার্যক্রমের কেন্দ্র রয়েছে। আমাদের আকাশে কী ঘটছে সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক উপসংহার টানার জন্য আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত বোঝা আমাদের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ।”
নাসা বলছে, এ বিষয়ে তদন্ত কেবল নাসার লক্ষ্যের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ। নাসার পক্ষ থেকে গবেষক দলটি সমন্বয়ের দায়িত্বে আছেন নাসার ‘সায়েন্স মিশন ডিরেক্টরেট’-এর সহযোগী ব্যবস্থাপক ড্যানিয়েল ইভানস। আর গবেষক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সায়মনস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ডেভিড স্পিগেল। নাসার গবেষক দলে আরও আছেন প্রথম সারির কম্পিউটার বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, গণিতবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, অধ্যাপক, জীববিজ্ঞানী ও সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যাংক কর্মকর্তাদের তারুণ্যের উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ

ইউএফও’ তদন্তে নতুন দলের ঘোষণা নাসার

আপডেট সময় : ০৯:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিভিন্ন সময়ে জনসাধারণ আর সামরিক পাইলটদের নজরে আসা অচেনা-অজানা উড়ুক্কু যান তদন্তে নতুন দল গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা; সম্প্রতি দলটির সদস্যদের নামও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। নিজস্ব বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, স্বাধীনভাবে ‘আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা (ইউএপি)’ তদন্ত করবে নতুন দলটি। কার্যত, ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট’ বা ইউএফ তদন্তেই নতুন এ দল গঠন করেছে মার্কিন এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় কথিত ‘ভিনগ্রহবাসী বা এলিয়েনদের যান’ বা ইউএফও নজরে এলেও এ বিষয়ে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের জ্ঞানের পরিধি এখনও সীমিত। যুক্তরাষ্ট্র গেল কয়েক বছর ধরে ‘ইউএফও দর্শনে’র ঘটনাগুলোকে ‘ইউএপি’ বলে আখ্যা দিয়ে আসছে। যানের আকার এবং ওড়ার ধরন পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়– গত কয়েক দশকে আকাশে এমন উড়ুক্কু যান দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে জনসমক্ষে মুখ খুলেছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা। নতুন দলটি ২৪ অক্টোবর থেকে গবেষণা কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে নাসা, কাজ চলবে নয় মাস। গবেষণার জন্য অসামরিক নাগরিক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থার সংগৃহিত ডেটা বিবেচনায় নেবে দলটি। ইউএপি নিয়ে ভবিষ্যৎ গবেষণার অবকাঠামো তৈরি করবে এ দলটি। দলটি গবেষণায় কেবল ‘আনক্লাসিফায়েড ডেটা’ ব্যবহারের কথা বলেছে নাসা। অর্থাৎ, এ বিষয়ে মার্কিন সরকারের কোনো সংস্থার কাছে গোপন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত থাকলেও তা গবেষণার অন্তর্ভূক্ত হবে না।

এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনে অবস্থিত নাসার সদর দপ্তরের সহযোগী ব্যবস্থাপক থমাস জারবাখেন বলেন, “মহাকাশ এবং বায়ুম-লের অজানা বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধানই নাসার কার্যক্রমের কেন্দ্র রয়েছে। আমাদের আকাশে কী ঘটছে সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক উপসংহার টানার জন্য আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত বোঝা আমাদের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ।”
নাসা বলছে, এ বিষয়ে তদন্ত কেবল নাসার লক্ষ্যের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ। নাসার পক্ষ থেকে গবেষক দলটি সমন্বয়ের দায়িত্বে আছেন নাসার ‘সায়েন্স মিশন ডিরেক্টরেট’-এর সহযোগী ব্যবস্থাপক ড্যানিয়েল ইভানস। আর গবেষক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সায়মনস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ডেভিড স্পিগেল। নাসার গবেষক দলে আরও আছেন প্রথম সারির কম্পিউটার বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, গণিতবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, অধ্যাপক, জীববিজ্ঞানী ও সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।