বিদেশের খবর ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন। যদিও ঐতিহ্যগতভাবে ইউরোপের ২৭টি দেশের এই জোট মার্কিন মিত্র।
সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ইউরোপকে মার্কিন তেল ও গ্যাস বিশাল পরিমাণে কিনতে করতে হবে। অন্যথায় ‘পুরোপুরি ট্যারিফ আরোপ হবে’ বলে সতর্ক করেন তিনি।
ট্রাম্পের নিজের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মের নাম ট্রুথ সোশ্যাল। সেখানে তিনি এক পোস্টে লিখেছেন, আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলেছি, আমাদের তেল ও গ্যাস বৃহৎ পরিসরে কিনে তাদের বিশাল ঘাটতি পূরণ করতে হবে। অন্যথায়, পুরোপুরি ট্যারিফ!
ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে ১৬ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় পণ্যের ওপর অধিক হারে ট্যাক্স আরোপের হুমকি দেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের আমদানি করা নির্দিষ্ট কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের জবাবে এই হুমকি দেন তিনি।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তেল ও গ্যাসের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক ইউরোপ। দেশটির মোট তেল রফতানির ৫০ শতাংশেরও বেশি যায় ইউরোপে; যা প্রতিদিন ২ মিলিয়ন ব্যারেলেরও বেশি।
২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে জ্বালানি আমদানি বাড়ায় ইউরোপের দেশগুলো। পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রফতানির ৬৬ শতাংশই যায় ইউরোপে।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ইইউয়ের এলএনজি আমদানির ৪৭ শতাংশ এবং তেল আমদানির ১৭ শতাংশ সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ইউরোপীয় কমিশন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে নিজেদের জ্বালানি শক্তির উৎস বৈচিত্র্যময় করা ও রাশিয়ার তেল-গ্যাস আমদানি ধীরে ধীরে বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। তবে বেশির ভাগ ইউরোপীয় জ্বালানি শক্তি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়ায় এক্ষেত্রে সীমিত হস্তক্ষেপ থাকে সরকারের।