ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

ইংল্যান্ডকে ‘চ্যালেঞ্জ জানাতে’ উন্মুখ আয়ারল্যান্ড

  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের দেখা হয়েছে স্রেফ একবার। তাও সেটা এক যুগ আগে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সংস্করণে আবারও মুখোমুখি হওয়ার আগে রোমাঞ্চ কাজ করছে আয়ারল্যান্ড দলে। কোচ হাইনরিখ মালানের মতে, ইংলিশদের চ্যালেঞ্জ জানাতে মুখিয়ে আছে তার দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে সুপার টুয়েলভে ‘১’ নম্বর গ্রুপে জায়গা করে নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বুধবার মেলবোর্নে মাঠের লড়াইয়ে নামবে দল দুটি। ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু করেছে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় হার সঙ্গী আইরিশদের, আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইংলিশরা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে দ্বৈরথের অতীত অভিজ্ঞতা খারাপ নয় আয়ারল্যান্ডের। দারুণ কিছু পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে তারা। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে কেভিন ও’ব্রায়েনের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে ইংলিশদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল দলটি। দুই দলের সবশেষ দেখায়ও জয়ের স্বাদ পেয়েছে আইরিশরা। ২০২০ সালের অগাস্টে ওয়ানডেতে ৩২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। তবে দুই দলের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অবশ্য বৃষ্টির বাগড়ায় আসেনি কোনো ফল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া ২০১০ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১২০ রানে আটকে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়ায় ৩.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৪ রান করেছিল তারা। আরেকটি লড়াইয়ের আগে যেন তর সইছে না আয়ারল্যান্ডের। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মালান বলেন, দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চান তারা। “দেখুন, আমাদের জন্য এটা দারুণ চ্যালেঞ্জ এবং আমরা সত্যিই রোমাঞ্চিত। সকালে একটি পরিসংখ্যান দেখেছিলাম, তাদের সঙ্গে লম্বা একটা সময় ধরে আমরা সাদা বলের ক্রিকেট খেলিনি। তাই চমৎকার একটি চ্যালেঞ্জ হবে।” “আমরা জানি, তাদের দক্ষ অনেক ক্রিকেটার আছে, যে কারণে ম্যাচটা হবে চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি এটাও মনে করি, আমরা অনেক সময় ধরে খেলছি। যেখানে আমরা দেখিয়েছি যে, আমাদের কিছু ক্রিকেটার আছে যারা পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছে। আমরা এই সুযোগটি চাচ্ছি। আশা করি আগামীকাল রাতে আগুনে পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারব।”
প্রাথমিক পর্বে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে এসেছে আয়ারল্যান্ড। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করায় ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে জয় ধরা দিয়েছে বলে জানান মালান। তার মতে, ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে থামাতেও দলের সবাই মিলে কাজ করছে। “আমরা অনেকদিন ধরে দেখিয়েছি, বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে, আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি। সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে ম্যাচের পেছনে আমরা দারুণ কিছু কাজ করেছি এবং এটা নিশ্চিত করেছি যে, আমাদের পরিষ্কার ধারণা আছে প্রতিপক্ষের শক্তি কী এবং আমরা কোথায় আঘাত করতে পারি।” “আশা করি আমাদের বোলাররা মাঠে গিয়ে নিজেদের প্রস্তুতিতে স্বচ্ছ থাকবে। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব শক্তির জায়গা আছে। তারা যদি সে অনুযায়ী খেলতে পারে এবং নিজেদের ভাবনায় পরিষ্কার থাকে, আশা করি তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে। তাহলে আমরা ম্যাচ শেষে ভালো অবস্থায় থাকব।” ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে যেকোনো খেলায়ই দেখা যায় জাতিগত দ্বৈরথ। দুই দলের ম্যাচকে ঘিরে শোনা যায় মাঠের বাইরের নানান বিরোধের ঘটনা। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার সেসবে মনোযোগ দিতে চান না। তবে মালান বললেন, তাদের ভাবনায় কাজ করছে দারুণ দ্বৈরথের বিষয়টি। “হ্যাঁ, দলের মধ্যে কিছু কথা হয় দুই জাতির দারুণ দ্বৈরথ নিয়ে। আগামীকাল দুই দলের জন্য মাঠে প্রচুর সমর্থন থাকবে। আমাদের আলোচনার মধ্যে একটি বিষয় ছিল এটা নিশ্চিত করা যে, এমসিজিতে খেলা যখন আরও অনেক দর্শক থাকবে। আমি জানি, এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য ছেলেরা মুখিয়ে আছে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইংল্যান্ডকে ‘চ্যালেঞ্জ জানাতে’ উন্মুখ আয়ারল্যান্ড

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের দেখা হয়েছে স্রেফ একবার। তাও সেটা এক যুগ আগে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সংস্করণে আবারও মুখোমুখি হওয়ার আগে রোমাঞ্চ কাজ করছে আয়ারল্যান্ড দলে। কোচ হাইনরিখ মালানের মতে, ইংলিশদের চ্যালেঞ্জ জানাতে মুখিয়ে আছে তার দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে সুপার টুয়েলভে ‘১’ নম্বর গ্রুপে জায়গা করে নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বুধবার মেলবোর্নে মাঠের লড়াইয়ে নামবে দল দুটি। ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু করেছে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় হার সঙ্গী আইরিশদের, আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইংলিশরা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে দ্বৈরথের অতীত অভিজ্ঞতা খারাপ নয় আয়ারল্যান্ডের। দারুণ কিছু পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে তারা। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে কেভিন ও’ব্রায়েনের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে ইংলিশদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল দলটি। দুই দলের সবশেষ দেখায়ও জয়ের স্বাদ পেয়েছে আইরিশরা। ২০২০ সালের অগাস্টে ওয়ানডেতে ৩২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। তবে দুই দলের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অবশ্য বৃষ্টির বাগড়ায় আসেনি কোনো ফল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া ২০১০ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১২০ রানে আটকে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়ায় ৩.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৪ রান করেছিল তারা। আরেকটি লড়াইয়ের আগে যেন তর সইছে না আয়ারল্যান্ডের। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মালান বলেন, দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চান তারা। “দেখুন, আমাদের জন্য এটা দারুণ চ্যালেঞ্জ এবং আমরা সত্যিই রোমাঞ্চিত। সকালে একটি পরিসংখ্যান দেখেছিলাম, তাদের সঙ্গে লম্বা একটা সময় ধরে আমরা সাদা বলের ক্রিকেট খেলিনি। তাই চমৎকার একটি চ্যালেঞ্জ হবে।” “আমরা জানি, তাদের দক্ষ অনেক ক্রিকেটার আছে, যে কারণে ম্যাচটা হবে চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি এটাও মনে করি, আমরা অনেক সময় ধরে খেলছি। যেখানে আমরা দেখিয়েছি যে, আমাদের কিছু ক্রিকেটার আছে যারা পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছে। আমরা এই সুযোগটি চাচ্ছি। আশা করি আগামীকাল রাতে আগুনে পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারব।”
প্রাথমিক পর্বে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে এসেছে আয়ারল্যান্ড। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করায় ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে জয় ধরা দিয়েছে বলে জানান মালান। তার মতে, ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে থামাতেও দলের সবাই মিলে কাজ করছে। “আমরা অনেকদিন ধরে দেখিয়েছি, বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে, আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি। সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে ম্যাচের পেছনে আমরা দারুণ কিছু কাজ করেছি এবং এটা নিশ্চিত করেছি যে, আমাদের পরিষ্কার ধারণা আছে প্রতিপক্ষের শক্তি কী এবং আমরা কোথায় আঘাত করতে পারি।” “আশা করি আমাদের বোলাররা মাঠে গিয়ে নিজেদের প্রস্তুতিতে স্বচ্ছ থাকবে। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব শক্তির জায়গা আছে। তারা যদি সে অনুযায়ী খেলতে পারে এবং নিজেদের ভাবনায় পরিষ্কার থাকে, আশা করি তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে। তাহলে আমরা ম্যাচ শেষে ভালো অবস্থায় থাকব।” ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে যেকোনো খেলায়ই দেখা যায় জাতিগত দ্বৈরথ। দুই দলের ম্যাচকে ঘিরে শোনা যায় মাঠের বাইরের নানান বিরোধের ঘটনা। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার সেসবে মনোযোগ দিতে চান না। তবে মালান বললেন, তাদের ভাবনায় কাজ করছে দারুণ দ্বৈরথের বিষয়টি। “হ্যাঁ, দলের মধ্যে কিছু কথা হয় দুই জাতির দারুণ দ্বৈরথ নিয়ে। আগামীকাল দুই দলের জন্য মাঠে প্রচুর সমর্থন থাকবে। আমাদের আলোচনার মধ্যে একটি বিষয় ছিল এটা নিশ্চিত করা যে, এমসিজিতে খেলা যখন আরও অনেক দর্শক থাকবে। আমি জানি, এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য ছেলেরা মুখিয়ে আছে।”