নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে ইভিএমসহ নির্বাচন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের আগ বাড়িয়ে কথা বলা বন্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ইভিএমকে কেন্দ্র করে যদি নির্বাচনই অনুষ্ঠিত না হয় সেটি হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’ নির্বাচনে প্রতি সংসদীয় আসনের পাঁচটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হতে পারে বলেও কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর প্রধান নির্বাচন কমিশন আগারগাওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে ড. জাফরুল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে চলছে। যে করেই হোক একটা গিভ অ্যান্ড টেকের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন করা দরকার। নির্বাচন করতে হলে সরকারি দলের আগ বাড়িয়ে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। যেমন আজকেও হানিফ (আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) বলেছেন আমরা ১৫০ না ৩০০ আসনে ইভিএম চাই। তাদের উচিত হবে একদম চুপ করে থাকা। এখন ইভিএমের কারণে যদি আমাদের নির্বাচনটা বন্ধ হয়ে যায়, যদি নির্বাচনটা বয়কট হয় তাহলে এটা জাতির জন্য খুব দুর্ভাগ্যজনক হবে।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে এই নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো সবাইকে নির্বাচনে নিয়ে আসা। নির্বাচন কমিশন ১৫০টা আসনে ইভিএম করার কথা ভাবছে, এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত। এই জিনিসটা আসলে আস্থার ব্যাপার। ইভিএমে মানুষের আস্থা নাই। এজন্য আমি নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে নির্বাচনই না হয়।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, ‘এখন যদি এই ইভিএমের প্রশ্ন নিয়ে সব পলিটিক্যাল পার্টি নির্বাচন না করে তাহলে দেশ কঠিন সংকটের দিকে যাবে। সেজন্য আমার একটা সাজেশন হলো তারা ১৫০টা আসনে ইভিএম না করে ৩০০টা আসনেই ইভিএম করতে পারে, কিন্তু প্রতি আসনে শ’ খানেক কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র পাঁচটা কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে পারে। তাহলে হবে কি আমরা দেখতে পাবো, প্রশ্ন করতে পারবো, যুক্তি তর্ক দিতে পারব।’
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার ইভিএম নিয়ে আমার পরামর্শকে যুক্তিসংগত মনে করেছেন। তিনি বলেছেন আমরা ভেবে দেখি কী করা যায়। তাছাড়া বলেছি এমন কিছু না করতে যাতে নির্বাচনে অন্যরা না আসে।… তৃতীয় একটা কথা বলেছি “না ভোটের” একটা প্রবর্তন করতে, বলেছি যে আমার কোন কেন্দ্র পছন্দ না।’
এছাড়াও ইসির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক ঈসমাইল হোসেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদের আহ্বায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদ ও সদস্য সচিব আবদুল মোনেম।
আ.লীগ নেতারা আগ বাড়িয়ে কথা বলা বন্ধ করুন: ডা. জাফরুল্লাহ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ