ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গুলি, আহত ১০

  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যমুনা সারকারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা ও লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত যমুনা সারকারখানা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, যমুনা সারকারখানায় আধিপত্য বিস্তার ও আমদানিকৃত সারের পরিবহন চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার রাত ৯টার দিকে রফিকুল ইসলাম সমর্থিত রায়হান কান্দারপাড়া বাজারে হামলার শিকার হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রফিকুল ইসলামের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার গেটপাড় এলাকায় এলে আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মিনহাজ, রায়হান, রফিক, মজিদ, রশিদ, লালন, লাল চানসহ উভয়পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। গুরুতর আহত মিনহাজ ও রফিককে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক জানান, রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রফিকুল ইসলাম সমর্থিত রায়হানকে কান্দারপাড়ার কিছু লোক মারধর করে। বিষয়টি আমার লোকজনের উপর দায় চাপিয়ে তারা উত্তেজিত ও সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। এসময় রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সরকার কাফকো থেকে যমুনা সারকারখানায় গ্রামসিকো লিমিটেডের মাধ্যমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করছে। সারগুলো আনলোডের জন্য মেসার্স মাজেদা ট্রেডার্স দায়িত্ব পেয়ে এর সত্ত্বাধিকারী আশরাফুল আলম মানিক প্রতি ট্রাক থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় মানিকের লোকজন সম্প্রতি চড়াও হয়। এর জের ধরে রবিবার রাতে উভয়পক্ষে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে তিনি জানান। তবে গুলিবর্ষণের কথা তিনি অস্বীকার করেন। এদিকে সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের জের ধরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ উপস্থিতিতে স্থানীয় ক্যাডার মুর্শেদের নির্দেশে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুট করা হয়।
স্থানীয় বুশরা বাণিজ্যিক সংস্থার ম্যানেজার মো. শাহ আলম জানান, সংঘর্ষের সময় উত্তেজিত লোকজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গুলি, আহত ১০

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যমুনা সারকারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা ও লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত যমুনা সারকারখানা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, যমুনা সারকারখানায় আধিপত্য বিস্তার ও আমদানিকৃত সারের পরিবহন চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার রাত ৯টার দিকে রফিকুল ইসলাম সমর্থিত রায়হান কান্দারপাড়া বাজারে হামলার শিকার হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রফিকুল ইসলামের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার গেটপাড় এলাকায় এলে আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মিনহাজ, রায়হান, রফিক, মজিদ, রশিদ, লালন, লাল চানসহ উভয়পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। গুরুতর আহত মিনহাজ ও রফিককে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক জানান, রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রফিকুল ইসলাম সমর্থিত রায়হানকে কান্দারপাড়ার কিছু লোক মারধর করে। বিষয়টি আমার লোকজনের উপর দায় চাপিয়ে তারা উত্তেজিত ও সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। এসময় রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সরকার কাফকো থেকে যমুনা সারকারখানায় গ্রামসিকো লিমিটেডের মাধ্যমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করছে। সারগুলো আনলোডের জন্য মেসার্স মাজেদা ট্রেডার্স দায়িত্ব পেয়ে এর সত্ত্বাধিকারী আশরাফুল আলম মানিক প্রতি ট্রাক থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় মানিকের লোকজন সম্প্রতি চড়াও হয়। এর জের ধরে রবিবার রাতে উভয়পক্ষে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে তিনি জানান। তবে গুলিবর্ষণের কথা তিনি অস্বীকার করেন। এদিকে সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের জের ধরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ উপস্থিতিতে স্থানীয় ক্যাডার মুর্শেদের নির্দেশে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুট করা হয়।
স্থানীয় বুশরা বাণিজ্যিক সংস্থার ম্যানেজার মো. শাহ আলম জানান, সংঘর্ষের সময় উত্তেজিত লোকজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।