ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

আ.লীগের জাতীয় সম্মেলন হতে পারে ডিসেম্বরে

  • আপডেট সময় : ১২:৩২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনের মাধ্যমে আসা নতুন নেতৃত্ব আরও বেশি সুসংগঠিত, সুশ্ঙ্খৃল, আধুনিক ও স্মার্টার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠানে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্মেলন আগামী ডিসেম্বর মাসে হওয়ার কথা। তিন বছর পর পর আমাদের সম্মেলন হয়, সেই হিসেবে আগামী ডিসেম্বরে আমাদের নির্ধারিত সময়। সেই সম্মেলনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। সেই সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম। এছাড়া আগামী ২০২৩-২৪ ডিসেম্বর জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই জাতীয় সংসদ এবং আমাদের পার্টির জাতীয় সম্মেলন এই দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।’
জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সারা দেশে জেলা উপজেলা, ইউনিয়নের সব পর্যায়ে সাংগঠনিক শাখা সমূহের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং নতুন কাউন্সিল করার জন্য বিভিন্ন জেলা শাখায় আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকরা বর্ধিত সভা করেছে। অনেক জেলা উপজেলার ইতোমধ্যে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত আছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সময়মতো এই সম্মেলনগুলো সম্পন্ন করবেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। কারণ, আমরা এটা সবসময় করে আসছি। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের অংশ।’

গণতন্ত্র চর্চা আওয়ামী লীগেই হয় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি দাবি করতে পারি, আওয়ামী লীগই এই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যেই প্রতিষ্ঠান তার অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা সব সময়ই করে আসছে। যত প্রকার বাধা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও আওয়ামী লীগ ঘরোয়া কার্যক্রম, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। করোনাভাইরাসেরর মতো ক্রাইসিস থাকার কারণে কিছু কার্যক্রম স্থগিত ছিল। করোনাভাইরাস কিছুটা কমার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আবারও আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি।”
“আমাদের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই সময়ে আমাদের সারা বাংলাদেশে সদস্য সংগ্রহ শুরু করতে হবে এবং সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমকে আমি জোরদার কারার জন্য সকল শাখাকে অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম, একই সঙ্গে বিভাগ মহানগর জেলার নেতৃবৃন্দকে মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”
নতুন নেতৃত্ব আরও স্মার্ট হবে বলে আশা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন অনেক শক্তিশালী সুসংগঠিত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজ উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এক অপ্রতিরুদ্ধ উন্নয়নের অহঙ্কার নিয়ে। আগামী জাতীয় সংসদ এবং জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ আরও সুসংগঠিত সুশ্ঙ্খৃল, আরও আধুনিক, আরও স্মার্টার হবে। এবং আগামী নির্বাচনে আমরা আরও স্মার্টার আরও আধুনিক দল, সুসংগঠিত একটা দল নিয়ে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশ নেবে।”
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ ও তাঁতী লীগের সম্মেলন হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতীয় সম্মেলনের আগে আমাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ, শুধু আমাদের মূল সংগঠন নয়। আমাদের সহযোগী সংগঠন যাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে তাদেরও সম্মেলন অনুষ্ঠান করতে হবে এবং তাদেরকেও এ ব্যপারে নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে। অনতিবিলম্বে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে, তাদেরকেও নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আ.লীগের জাতীয় সম্মেলন হতে পারে ডিসেম্বরে

আপডেট সময় : ১২:৩২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনের মাধ্যমে আসা নতুন নেতৃত্ব আরও বেশি সুসংগঠিত, সুশ্ঙ্খৃল, আধুনিক ও স্মার্টার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠানে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্মেলন আগামী ডিসেম্বর মাসে হওয়ার কথা। তিন বছর পর পর আমাদের সম্মেলন হয়, সেই হিসেবে আগামী ডিসেম্বরে আমাদের নির্ধারিত সময়। সেই সম্মেলনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। সেই সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম। এছাড়া আগামী ২০২৩-২৪ ডিসেম্বর জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই জাতীয় সংসদ এবং আমাদের পার্টির জাতীয় সম্মেলন এই দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।’
জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সারা দেশে জেলা উপজেলা, ইউনিয়নের সব পর্যায়ে সাংগঠনিক শাখা সমূহের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং নতুন কাউন্সিল করার জন্য বিভিন্ন জেলা শাখায় আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকরা বর্ধিত সভা করেছে। অনেক জেলা উপজেলার ইতোমধ্যে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত আছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সময়মতো এই সম্মেলনগুলো সম্পন্ন করবেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। কারণ, আমরা এটা সবসময় করে আসছি। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের অংশ।’

গণতন্ত্র চর্চা আওয়ামী লীগেই হয় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি দাবি করতে পারি, আওয়ামী লীগই এই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যেই প্রতিষ্ঠান তার অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা সব সময়ই করে আসছে। যত প্রকার বাধা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও আওয়ামী লীগ ঘরোয়া কার্যক্রম, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। করোনাভাইরাসেরর মতো ক্রাইসিস থাকার কারণে কিছু কার্যক্রম স্থগিত ছিল। করোনাভাইরাস কিছুটা কমার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আবারও আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি।”
“আমাদের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই সময়ে আমাদের সারা বাংলাদেশে সদস্য সংগ্রহ শুরু করতে হবে এবং সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমকে আমি জোরদার কারার জন্য সকল শাখাকে অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম, একই সঙ্গে বিভাগ মহানগর জেলার নেতৃবৃন্দকে মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”
নতুন নেতৃত্ব আরও স্মার্ট হবে বলে আশা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন অনেক শক্তিশালী সুসংগঠিত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজ উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এক অপ্রতিরুদ্ধ উন্নয়নের অহঙ্কার নিয়ে। আগামী জাতীয় সংসদ এবং জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ আরও সুসংগঠিত সুশ্ঙ্খৃল, আরও আধুনিক, আরও স্মার্টার হবে। এবং আগামী নির্বাচনে আমরা আরও স্মার্টার আরও আধুনিক দল, সুসংগঠিত একটা দল নিয়ে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশ নেবে।”
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ ও তাঁতী লীগের সম্মেলন হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতীয় সম্মেলনের আগে আমাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ, শুধু আমাদের মূল সংগঠন নয়। আমাদের সহযোগী সংগঠন যাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে তাদেরও সম্মেলন অনুষ্ঠান করতে হবে এবং তাদেরকেও এ ব্যপারে নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে। অনতিবিলম্বে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে, তাদেরকেও নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।’