ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

আয়ুর্বেদ ওষুধে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা

  • আপডেট সময় : ১২:০৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ইউনানি আয়ুর্বেদিক ওষুধ সারা বিশ্বে সরবরাহ করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এই কথা জানান। আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মানুষ। মানুষের জন্য ওষুধ তৈরিতে আপনাদের প্রশিক্ষিত ম্যান পাওয়ার থাকতে হবে। প্রশিক্ষিত জনবল না থাকলে যত চেষ্টাই করেন না কেন আপনারা এই সেক্টরে উন্নয়ন করতে পারবেন না। সেজন্য আমাদেরকে আরও বেশি ইউনানি আয়ুর্বেদিক কলেজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে হবে। আমরা বাংলাদেশে ইউনানি আয়ুর্বেদিক তৈরি করে সারাবিশ্বে সরবরাহ করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এখানে যারা চিকিৎসা দেবেন তারা আরও উন্নত হবেন। কবিরাজের যে চিকিৎসা হাজার বছর যাবত চলে আসছে, সেটিকে বিশেষায়িত করতে হবে। আমাদের বসে থাকলে হবে না। এজন্য এ বিষয়ে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিখতে হবে। ট্রাডিশনাল শিক্ষার যে একটি ব্র্যান্ডিং থাকে তার একটি শিক্ষা থাকতে হবে। তাহলে আমরা ভালো কিছু পাব। ভালো কিছু উৎপাদন করতে পারবো। এই সেক্টরে যারা আছেন। শুধু মানি মেকিং জাতীয় প্রতিষ্ঠান না করে, ভালো গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করতে হবে। ওষুধ কিন্তু মানুষ খায়। আমাদের মনে রাখতে হবে, মানুষ অসুস্থ হয়ে অথবা কোনো অসুস্থতা প্রতিরোধের জন্য ওষুধ কিনে। মাহবুবুর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবার জন্য গরু বিক্রি করে, ধান বিক্রি করে অথবা জমিজমা বিক্রি করে। সেই ওষুধ যদি কাজে না লাগে, নকল ওষুধ হয় তাহলে গুরুতর অন্যায় হবে। এরকম বিষয় আমরা কয়েক জায়গায় পেয়েছি। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, গত এক বছরে আমি ৬৮টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি। এসব প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি ছিল না। ন্যূনতম যোগ্যতাও ছিল না এদের। সেমিনারে হামদর্দ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউসুফ হারুন ভুঁইয়া বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে ইউনানি আয়ুর্বেদিক খাত সাধারণ মানুষের কল্যাণে শতভাগ সেবা দিতে পারবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসনের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন, আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহসভাপতি শিবব্রত রায়, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আয়ুর্বেদ ওষুধে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ১২:০৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ইউনানি আয়ুর্বেদিক ওষুধ সারা বিশ্বে সরবরাহ করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এই কথা জানান। আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মানুষ। মানুষের জন্য ওষুধ তৈরিতে আপনাদের প্রশিক্ষিত ম্যান পাওয়ার থাকতে হবে। প্রশিক্ষিত জনবল না থাকলে যত চেষ্টাই করেন না কেন আপনারা এই সেক্টরে উন্নয়ন করতে পারবেন না। সেজন্য আমাদেরকে আরও বেশি ইউনানি আয়ুর্বেদিক কলেজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে হবে। আমরা বাংলাদেশে ইউনানি আয়ুর্বেদিক তৈরি করে সারাবিশ্বে সরবরাহ করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এখানে যারা চিকিৎসা দেবেন তারা আরও উন্নত হবেন। কবিরাজের যে চিকিৎসা হাজার বছর যাবত চলে আসছে, সেটিকে বিশেষায়িত করতে হবে। আমাদের বসে থাকলে হবে না। এজন্য এ বিষয়ে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিখতে হবে। ট্রাডিশনাল শিক্ষার যে একটি ব্র্যান্ডিং থাকে তার একটি শিক্ষা থাকতে হবে। তাহলে আমরা ভালো কিছু পাব। ভালো কিছু উৎপাদন করতে পারবো। এই সেক্টরে যারা আছেন। শুধু মানি মেকিং জাতীয় প্রতিষ্ঠান না করে, ভালো গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করতে হবে। ওষুধ কিন্তু মানুষ খায়। আমাদের মনে রাখতে হবে, মানুষ অসুস্থ হয়ে অথবা কোনো অসুস্থতা প্রতিরোধের জন্য ওষুধ কিনে। মাহবুবুর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবার জন্য গরু বিক্রি করে, ধান বিক্রি করে অথবা জমিজমা বিক্রি করে। সেই ওষুধ যদি কাজে না লাগে, নকল ওষুধ হয় তাহলে গুরুতর অন্যায় হবে। এরকম বিষয় আমরা কয়েক জায়গায় পেয়েছি। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, গত এক বছরে আমি ৬৮টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি। এসব প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি ছিল না। ন্যূনতম যোগ্যতাও ছিল না এদের। সেমিনারে হামদর্দ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউসুফ হারুন ভুঁইয়া বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে ইউনানি আয়ুর্বেদিক খাত সাধারণ মানুষের কল্যাণে শতভাগ সেবা দিতে পারবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসনের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন, আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহসভাপতি শিবব্রত রায়, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।