ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আয়কর থেকে অব্যাহতি চায় সেনা কল্যাণ সংস্থা

  • আপডেট সময় : ০১:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সেবামূলক কর্মকা-ের কথা তুলে ধরে স্থায়ীভাবে কর মওকুফের জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সেনা কল্যাণ সংস্থা।
সংস্থাটির অধীনে সব প্রতিষ্ঠানের জন্য স্থায়ী কর মওকুফ চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ বিভাগের কাছে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে কর মওকুফের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে সেনা কল্যাণ সংস্থার অধীনে ট্রাভেল এজেন্সি, ইলেকট্রনিক পণ্য, সিমেন্ট কারখানা এবং আইসক্রিম ফ্যাক্টরিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। ট্রাস্টের অধীনে এ সংস্থার ‘রেডিসন ব্লু’ নামে একটি ফাইভ স্টার হোটেলও পরিচালিত হচ্ছে। এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘স্থায়ী কর মওকুফের জন্য সেনা কল্যাণ সংস্থার প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এনবিআর থেকে সেনা কল্যাণ সংস্থার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়ের পরিমাণ খতিয়ে দেখছে।’ সেনা কল্যাণ সংস্থ্যার চিঠিতে বলা হয়েছে, এই সংস্থার আয় সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও তাদের নির্ভরশীলদের কল্যাণে ব্যবহার করা হয়, তাদের নির্ভরশীলদের চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য ব্যয় বহন করা হয়, সদস্যদের বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়। সেনা কল্যাণ সংস্থার এসব কল্যাণমূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এর আওতাধীন সব প্রকল্পে আয়কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। দেশে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আয়কর ছাড়ের সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। চিঠিতে বলা হয়েছে যে, ২০০৩ সালের জুলাইয়ের বিভিন্ন এসআরও-এর মাধ্যমে, তৎকালীন সরকার ঢাকা ও খুলনায় সেনা কল্যাণ সংস্থা ভবন ছাড়া এর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আয়কর অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে সেনা কল্যাণ সংস্থার পক্ষে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এবং করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর, সংস্থাটির সব শিল্প কারখানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়া, আর্থিক সংকটের কারণে ব্যাংক ঋণ ক্রমাগত বাড়ছে এবং এর কল্যাণমুখী কার্যক্রম কমিয়ে আনা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আয়কর থেকে অব্যাহতি চায় সেনা কল্যাণ সংস্থা

আপডেট সময় : ০১:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সেবামূলক কর্মকা-ের কথা তুলে ধরে স্থায়ীভাবে কর মওকুফের জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সেনা কল্যাণ সংস্থা।
সংস্থাটির অধীনে সব প্রতিষ্ঠানের জন্য স্থায়ী কর মওকুফ চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ বিভাগের কাছে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে কর মওকুফের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে সেনা কল্যাণ সংস্থার অধীনে ট্রাভেল এজেন্সি, ইলেকট্রনিক পণ্য, সিমেন্ট কারখানা এবং আইসক্রিম ফ্যাক্টরিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। ট্রাস্টের অধীনে এ সংস্থার ‘রেডিসন ব্লু’ নামে একটি ফাইভ স্টার হোটেলও পরিচালিত হচ্ছে। এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘স্থায়ী কর মওকুফের জন্য সেনা কল্যাণ সংস্থার প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এনবিআর থেকে সেনা কল্যাণ সংস্থার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়ের পরিমাণ খতিয়ে দেখছে।’ সেনা কল্যাণ সংস্থ্যার চিঠিতে বলা হয়েছে, এই সংস্থার আয় সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও তাদের নির্ভরশীলদের কল্যাণে ব্যবহার করা হয়, তাদের নির্ভরশীলদের চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য ব্যয় বহন করা হয়, সদস্যদের বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়। সেনা কল্যাণ সংস্থার এসব কল্যাণমূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এর আওতাধীন সব প্রকল্পে আয়কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। দেশে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আয়কর ছাড়ের সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। চিঠিতে বলা হয়েছে যে, ২০০৩ সালের জুলাইয়ের বিভিন্ন এসআরও-এর মাধ্যমে, তৎকালীন সরকার ঢাকা ও খুলনায় সেনা কল্যাণ সংস্থা ভবন ছাড়া এর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আয়কর অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে সেনা কল্যাণ সংস্থার পক্ষে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এবং করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর, সংস্থাটির সব শিল্প কারখানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়া, আর্থিক সংকটের কারণে ব্যাংক ঋণ ক্রমাগত বাড়ছে এবং এর কল্যাণমুখী কার্যক্রম কমিয়ে আনা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।