ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধীদের মারামারি

আহত শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন আইনি প্রক্রিয়ায়

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আহত শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাংলামোটরে গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারিতে এক নারী শিক্ষার্থীসহ ৭ জন আহত হন। এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জুলাই আন্দোলনে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) সহ-সমন্বয়ক তানযীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা।
সোহরাব রেজা বলেন, ‘গতকাল সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার হামলা করা হয়। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রেতাত্মা ভর করেছে। তারা তাদের বাইরে কোনও ভিন্ন মত নিতে পারছে না। আওয়ামী লীগের জায়গায় তারা তাদের রিপ্লেস করতে চায় কিনা সেটা তাদের পরিষ্কার করতে হবে। মনে রাখতে হবে বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম কারও বাপের না। যদি সেটি মনে করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনারাও টিকতে পারবেন না।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের পেছনে দাঁড়িয়ে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমাদের ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদের ট্যাগ লাগানো হচ্ছে। আমরা নাকি সেখানে (কেন্দ্রীয় কার্যালয়) হামলা করতে গিয়েছি। গতকাল (মঙ্গলবার) আমরা হাসপাতালে প্রেস ব্রিফিং করার পর আমাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেকে অনেকভাবে যোগাযোগ করে। আমাদের বলা হয় যাতে মামলা না করি।’
তানযীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা বলেন, ‘আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিটিংয়ের জন্য বসতে বলা হয়। আমরা বোরহানউদ্দিন কলেজে বসতে চেয়েছি। তারা জানায়, রাত ১১টার সময় বোরহানউদ্দিন কলেজে আসবে। পরে তারা রাত ১২টার দিকে আসে। ওই বৈঠকে আসার কথা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের। কিন্তু এসেছিলেন আন্দোলনের সেল সম্পাদক জাহিদ, স্বাস্থ্য কমিটির তরিকুল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী কমিটির মুন্না। পরে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ হই এবং সেই বৈঠক হয়নি। আমরা এখন আইনিভাবে লড়াই করে যাবো।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ও বৈষমবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা অর্ণব হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিচার চাইবো না। থানায় গিয়ে মামলা করবো। থানা যদি মামলা না নেয় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।’
ঘটনায় আহত মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গতকাল তারা আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে আমার দাঁড়িতে আঘাত করেছে এবং জঙ্গি বলে অভিহিত করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গতকালকের ঘটনায় আহত আন্তা মীম, হাসিব মল্লিক, আল-আমীন তালুকদার প্রমুখ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধীদের মারামারি

আহত শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন আইনি প্রক্রিয়ায়

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাংলামোটরে গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারিতে এক নারী শিক্ষার্থীসহ ৭ জন আহত হন। এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জুলাই আন্দোলনে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) সহ-সমন্বয়ক তানযীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা।
সোহরাব রেজা বলেন, ‘গতকাল সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার হামলা করা হয়। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রেতাত্মা ভর করেছে। তারা তাদের বাইরে কোনও ভিন্ন মত নিতে পারছে না। আওয়ামী লীগের জায়গায় তারা তাদের রিপ্লেস করতে চায় কিনা সেটা তাদের পরিষ্কার করতে হবে। মনে রাখতে হবে বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম কারও বাপের না। যদি সেটি মনে করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনারাও টিকতে পারবেন না।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের পেছনে দাঁড়িয়ে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমাদের ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদের ট্যাগ লাগানো হচ্ছে। আমরা নাকি সেখানে (কেন্দ্রীয় কার্যালয়) হামলা করতে গিয়েছি। গতকাল (মঙ্গলবার) আমরা হাসপাতালে প্রেস ব্রিফিং করার পর আমাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেকে অনেকভাবে যোগাযোগ করে। আমাদের বলা হয় যাতে মামলা না করি।’
তানযীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা বলেন, ‘আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিটিংয়ের জন্য বসতে বলা হয়। আমরা বোরহানউদ্দিন কলেজে বসতে চেয়েছি। তারা জানায়, রাত ১১টার সময় বোরহানউদ্দিন কলেজে আসবে। পরে তারা রাত ১২টার দিকে আসে। ওই বৈঠকে আসার কথা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের। কিন্তু এসেছিলেন আন্দোলনের সেল সম্পাদক জাহিদ, স্বাস্থ্য কমিটির তরিকুল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী কমিটির মুন্না। পরে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ হই এবং সেই বৈঠক হয়নি। আমরা এখন আইনিভাবে লড়াই করে যাবো।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ও বৈষমবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা অর্ণব হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিচার চাইবো না। থানায় গিয়ে মামলা করবো। থানা যদি মামলা না নেয় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।’
ঘটনায় আহত মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গতকাল তারা আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে আমার দাঁড়িতে আঘাত করেছে এবং জঙ্গি বলে অভিহিত করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গতকালকের ঘটনায় আহত আন্তা মীম, হাসিব মল্লিক, আল-আমীন তালুকদার প্রমুখ।