ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

আস্বাভাবিক হারে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম

  • আপডেট সময় : ১১:৫২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম। সাত-আট মাস ধরে এ দুটি পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। টিসিবির দেওয়া তথ্যমতে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ময়দার (প্যাকেট) দাম এখন ৭০ টাকার বেশি। আর খোলা আটার দাম ৪৬ টাকার বেশি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই আটা-ময়দার দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে। সম্প্রতি ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধের খবরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের আটা-ময়দার বাজারে। ময়দার দাম এখন চালকেও ছাড়িয়ে গেছে। যদিও এ সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে চালের দামও। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের ৪৪ টাকা কেজি দরের মোটা চাল এক টাকা বেড়ে এখন ৪৫ টাকায় এবং ৫৫ টাকা কেজি দরের মাঝারি মানের চালের দাম ৫৬ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসে ৩১ শতাংশ বেড়েছে খোলা আটার দাম। আর গত এক বছরে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। টিসিবি বলছে, এখনও ৪৫ টাকা কেজি দরে মোটা চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ৫৫ টাকার নিচে ময়দা পাওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি ক্রেতাদের প্রতিকেজি খোলা আটা কিনতে খরচ পড়ছে ৫০ টাকার বেশি। টিসিবির হিসাবে, সবচেয়ে কম দামি খোলা আটার দামও এখন ৪৬ টাকার বেশি। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরে যে ময়দা ৩৬ টাকা কেজিতে পাওয়া যেত, এখন সেই ময়দা ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। আর এক বছরে প্যাকেট ময়দার দাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের এই সময়ে ৪৫ টাকা কেজি প্যাকেট ময়দা এখন ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। টিসিবি বলছে, গত এক বছরে খোলা আটার দাম বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের এই সময়ে ৩২ টাকা কেজি খোলা আটা এখন ৫০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে দেখা গেছে, আটা ও ময়দায় মানভেদে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বাড়ছে। আর এক মাসের ব্যবধানে তা কেজিতে ১০ টাকা ছাড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে বছরে ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে ১১ লাখ টন গম দেশে উৎপাদিত হয়। বাকিটা আমদানি করা হয়। আমদানির বড় অংশ আসতো রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। বাকিটা ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়াসহ আটটি দেশ থেকে আমদানি করা হতো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে দেশে মোট গম আমদানির ৬৩ শতাংশ, কানাডা থেকে ১৮ শতাংশ ও বাকিটা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়। তবে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে গম আমদানি বেড়েছে। এই সময়ে মোট গম আমদানির ৪৫ শতাংশ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে, কানাডা থেকে ২৩ শতাংশ ও ভারত থেকে ১৭ শতাংশ আমদানি করা হয়। বাকিটা অন্য দেশগুলো থেকে আমদানি করা হয়। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে মোট ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টন গম আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে গত ১ মার্চ থেকে ১২ মে পর্যন্ত গম আমদানি হয়েছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার টন। বর্তমানে সরকারের কাছে মজুদ আছে ১ লাখ ১২ হাজার টন গম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আস্বাভাবিক হারে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম

আপডেট সময় : ১১:৫২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম। সাত-আট মাস ধরে এ দুটি পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। টিসিবির দেওয়া তথ্যমতে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ময়দার (প্যাকেট) দাম এখন ৭০ টাকার বেশি। আর খোলা আটার দাম ৪৬ টাকার বেশি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই আটা-ময়দার দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে। সম্প্রতি ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধের খবরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের আটা-ময়দার বাজারে। ময়দার দাম এখন চালকেও ছাড়িয়ে গেছে। যদিও এ সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে চালের দামও। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের ৪৪ টাকা কেজি দরের মোটা চাল এক টাকা বেড়ে এখন ৪৫ টাকায় এবং ৫৫ টাকা কেজি দরের মাঝারি মানের চালের দাম ৫৬ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসে ৩১ শতাংশ বেড়েছে খোলা আটার দাম। আর গত এক বছরে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। টিসিবি বলছে, এখনও ৪৫ টাকা কেজি দরে মোটা চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ৫৫ টাকার নিচে ময়দা পাওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি ক্রেতাদের প্রতিকেজি খোলা আটা কিনতে খরচ পড়ছে ৫০ টাকার বেশি। টিসিবির হিসাবে, সবচেয়ে কম দামি খোলা আটার দামও এখন ৪৬ টাকার বেশি। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরে যে ময়দা ৩৬ টাকা কেজিতে পাওয়া যেত, এখন সেই ময়দা ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। আর এক বছরে প্যাকেট ময়দার দাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের এই সময়ে ৪৫ টাকা কেজি প্যাকেট ময়দা এখন ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। টিসিবি বলছে, গত এক বছরে খোলা আটার দাম বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের এই সময়ে ৩২ টাকা কেজি খোলা আটা এখন ৫০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে দেখা গেছে, আটা ও ময়দায় মানভেদে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বাড়ছে। আর এক মাসের ব্যবধানে তা কেজিতে ১০ টাকা ছাড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে বছরে ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে ১১ লাখ টন গম দেশে উৎপাদিত হয়। বাকিটা আমদানি করা হয়। আমদানির বড় অংশ আসতো রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। বাকিটা ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়াসহ আটটি দেশ থেকে আমদানি করা হতো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে দেশে মোট গম আমদানির ৬৩ শতাংশ, কানাডা থেকে ১৮ শতাংশ ও বাকিটা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়। তবে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে গম আমদানি বেড়েছে। এই সময়ে মোট গম আমদানির ৪৫ শতাংশ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে, কানাডা থেকে ২৩ শতাংশ ও ভারত থেকে ১৭ শতাংশ আমদানি করা হয়। বাকিটা অন্য দেশগুলো থেকে আমদানি করা হয়। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে মোট ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টন গম আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে গত ১ মার্চ থেকে ১২ মে পর্যন্ত গম আমদানি হয়েছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার টন। বর্তমানে সরকারের কাছে মজুদ আছে ১ লাখ ১২ হাজার টন গম।