ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

‘আসল আমেরিকানদের’ জন্য সোনার ফোন আনলেন ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ০৭:০১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: অ্যাপল ও স্যামসাংকে টেক্কা দিতে ‘আসল আমেরিকানদের’ জন্য নিজের ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ও মোবাইল পরিষেবা উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন-এর অধীনে পরিচালিত ট্রাম্প মোবাইল।
মার্কিন প্রেসিডেন্টর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও এরিক ট্রাম্প। সোমবার (১৬ জুন) কোম্পানিটি বলেছে , সোনালি রঙের ‘টি১’ নামের ফোনটি চারশ ৯৯ ডলারে আগস্ট মাস থেকে বাজারে পাওয়া যাবে, যেখানে ফোন প্ল্যানের জন্য গ্রাহকদের প্রতি মাসে খরচ হবে ৪৭.৪৫ ডলার। কোম্পানিটি আরো বলেছে, নতুন মোবাইল ফোনের বিভিন্ন কল সেন্টার যুক্তরাষ্ট্রেই থাকবে এবং এসব ফোন তৈরি হবে আমেরিকায়। ট্রাম্প জুনিয়র বলেছেন, মোবাইল বাজারের পুরো খেলা বদলে দেবে ‘ট্রাম্প মোবাইল’। আমরা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ আন্দোলনের ওপর কাজ করছি এবং সর্বোচ্চ মান ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের কোম্পানি এখানেই, যুক্তরাষ্ট্রেই হবে। কারণ আমরা জানি, আমাদের গ্রাহকরা এটিই চান ও তাদের পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য, বিলাসবহুল হোটেল ও গলফ রিসোর্টের জন্য পরিচিত ট্রাম্প পরিবার। গত কয়েক বছরে তারা ডিজিটাল মিডিয়া ও ক্রিপ্টোকারেন্সি’সহ নতুন নতুন ক্ষেত্রেও পদার্পণ করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধিকাংশ ব্যবসার প্রধান হোল্ডিং সত্তা ট্রাম্প অর্গানাইজেশন। শপথ নেওয়ার আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ তার সন্তানদের হাতে তুলে দেবেন তিনি। আগের মেয়াদেও একই রকম বলেছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্ব নিয়ে উদ্বেগ এখনও রয়েছে।

‘হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি’র আইন বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স লেসিগ বলেছেন, যারা খেয়াল করেছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, প্রেসিডেন্টের পদটিকে নিজের পরিবারের সম্পদ বাড়ানোর একটি মাধ্যম হিসেবে দেখছেন ট্রাম্প। হয়ত এ উদাহরণটি আরো অনেককে এই গুরুত্বপূর্ণ সত্যটা বুঝতে সাহায্য করবে। ট্রাম্প অর্গানাইজেশন নিজেদের ‘টি১’ স্মার্টফোনটিকে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মতো প্রতিষ্ঠিত বড় কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তৈরি করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট। ট্রাম্পের ফোনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই প্রেসিডেন্টের চাপানো উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে সমস্যার মুখে পড়েছে। ফলে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের তাদের নতুন ব্যবসায় এ নিয়ে সুবিধা পেতে পারে। এদিকে যারা এ বিষয়ে নিয়ম-কানুন ঠিক করছে তারা প্রেসিডেন্টেরই নিয়োগকৃত লোকজন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘আসল আমেরিকানদের’ জন্য সোনার ফোন আনলেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৭:০১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: অ্যাপল ও স্যামসাংকে টেক্কা দিতে ‘আসল আমেরিকানদের’ জন্য নিজের ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ও মোবাইল পরিষেবা উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন-এর অধীনে পরিচালিত ট্রাম্প মোবাইল।
মার্কিন প্রেসিডেন্টর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও এরিক ট্রাম্প। সোমবার (১৬ জুন) কোম্পানিটি বলেছে , সোনালি রঙের ‘টি১’ নামের ফোনটি চারশ ৯৯ ডলারে আগস্ট মাস থেকে বাজারে পাওয়া যাবে, যেখানে ফোন প্ল্যানের জন্য গ্রাহকদের প্রতি মাসে খরচ হবে ৪৭.৪৫ ডলার। কোম্পানিটি আরো বলেছে, নতুন মোবাইল ফোনের বিভিন্ন কল সেন্টার যুক্তরাষ্ট্রেই থাকবে এবং এসব ফোন তৈরি হবে আমেরিকায়। ট্রাম্প জুনিয়র বলেছেন, মোবাইল বাজারের পুরো খেলা বদলে দেবে ‘ট্রাম্প মোবাইল’। আমরা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ আন্দোলনের ওপর কাজ করছি এবং সর্বোচ্চ মান ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের কোম্পানি এখানেই, যুক্তরাষ্ট্রেই হবে। কারণ আমরা জানি, আমাদের গ্রাহকরা এটিই চান ও তাদের পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য, বিলাসবহুল হোটেল ও গলফ রিসোর্টের জন্য পরিচিত ট্রাম্প পরিবার। গত কয়েক বছরে তারা ডিজিটাল মিডিয়া ও ক্রিপ্টোকারেন্সি’সহ নতুন নতুন ক্ষেত্রেও পদার্পণ করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধিকাংশ ব্যবসার প্রধান হোল্ডিং সত্তা ট্রাম্প অর্গানাইজেশন। শপথ নেওয়ার আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ তার সন্তানদের হাতে তুলে দেবেন তিনি। আগের মেয়াদেও একই রকম বলেছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্ব নিয়ে উদ্বেগ এখনও রয়েছে।

‘হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি’র আইন বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স লেসিগ বলেছেন, যারা খেয়াল করেছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, প্রেসিডেন্টের পদটিকে নিজের পরিবারের সম্পদ বাড়ানোর একটি মাধ্যম হিসেবে দেখছেন ট্রাম্প। হয়ত এ উদাহরণটি আরো অনেককে এই গুরুত্বপূর্ণ সত্যটা বুঝতে সাহায্য করবে। ট্রাম্প অর্গানাইজেশন নিজেদের ‘টি১’ স্মার্টফোনটিকে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মতো প্রতিষ্ঠিত বড় কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তৈরি করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট। ট্রাম্পের ফোনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই প্রেসিডেন্টের চাপানো উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে সমস্যার মুখে পড়েছে। ফলে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের তাদের নতুন ব্যবসায় এ নিয়ে সুবিধা পেতে পারে। এদিকে যারা এ বিষয়ে নিয়ম-কানুন ঠিক করছে তারা প্রেসিডেন্টেরই নিয়োগকৃত লোকজন।