নিজস্ব প্রতিবেদক: শারদীয় দুর্গাপূজা একেবারে দোরগোড়ায়। আগামীকাল রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠী থেকে শুরু আর ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই উৎসব। এরই মধ্যে সাগরে একটি লঘুচাপ এখন নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পথে। লঘুচাপ হওয়ার পর এর প্রভাবে সাধারণত বৃষ্টি হয়। পূজার মধ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে, সে সম্পর্কে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা।
ইতিমধ্যে মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষের শুরু হয়ে যায়। পূজার একধরনের আনুষ্ঠানিকতা তখনই শুরু হয়েছে। আগামী রোববার মহাষষ্ঠী। পরদিন সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মহাসপ্তমীতে মূল উৎসব শুরু।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়া অফিস লঘুচাপের কারণে দেশের চার বন্দরে সতর্কসংকেত জারি করেছে। এ লঘুচাপ নিম্নচাপ হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা। তিনি শুক্রবার বলেন, লঘুচাপটি মূলত অবস্থান নিয়েছে ভারতের ওডিশা উপকূলে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হলে এর প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে কিছুটা পড়তে পারে। তবে দেশের বেশির ভাগ স্থানে এর প্রভাব ততটা না–ও পড়তে পারে।
ওডিশা উপকূলে চলতি মাস এবং গত আগস্ট মাসেও কয়েকটি লঘুচাপ হয়েছে। তবে সেগুলোর প্রভাব তেমন বাংলাদেশের উপকূলে পড়েনি। তবে এবার বিশেষ করে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে লঘুচাপের প্রভাব ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আগামীকাল শনিবার দেশে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) অর্থাৎ দুর্গাপূজার ষষ্ঠী থেকে পরের দুই দিন আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে দেশের কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ১ অক্টোবর বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। তবে দশমীর দিন অর্থাৎ ২ এবং পরদিন ৩ অক্টোবর বৃষ্টি অনেকটাই বাড়তে পারে। ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিভাগ বাদ দিয়ে দেশের প্রায় সব বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। কারণ ২ তারিখ থেকে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগামী বৃহস্পতিবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
সানা/কেএমএএ/আপ্র/২৬/০৯/২০২৫