ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

আসছে মন পড়তে পারা হেলমেট

  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকরা হাতে পেতে যাচ্ছেন কারনেল নামের এক কোম্পানির বানানো হেলমেট। ৫০ হাজার ডলার বা ৪২ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি টাকা মূল্যের এই হেলমেটটি কঠোরভাবে কথা বলতে পারে, মানুষের মন পড়তেও পারে। এতে এমনসব সেন্সর ও ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে যেগুলো মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রিক্যাল আবেগ, চিন্তার রক্ত প্রবাহের গতি পরিমাপ এবং বিশ্লেষণ করতে পারে। এসব প্রযুক্তি এখনই দুনিয়ায় আছে। কিন্তু তা দেখতে লাখ লাখ ডলারের যন্ত্রপাতি এবং রোগীকে একটি ক্লিনিক্যাল সেট আপে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু কোম্পানিটি এইসব প্রযুক্তি এবার একটি হেলমেটের মধ্যেই নিয়ে আসছে সবকিছু।
যে কেউ এই হেলমেট পরে ঘুরে বেড়াতে পারবে। গবেষকরা আশা করছেন এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের পক্কতা, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোকের মতো বিষয়গুলো আরও নিবিড় করে অনুসন্ধান করা যাবে। হেলমেটটি তৈরি করতে পাঁচ বছর সময় লাগিয়েছেন ব্রায়ান জনসন। ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি ডলার। যার অর্ধেকই নিজের টাকা আর বাকিটা তহবিল আকারে সংগ্রহ করেছেন তিনি। স্টার্টআপ কোম্পানি কারনেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনসন। কারনেলের প্রাথমিক হেলমেটগুলো মস্তিষ্ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে বানানো হয়েছে। মানুষ কিভাবে পণ্য নিয়ে চিন্তা করে তা যেসব কোম্পানি দেখতে চান তারাই মূলত এসব হেলমেট ব্যবহার করবেন। জনসন বলছেন ২০৩০ সাল নাগাদ তারা এই হেলমেটের দাম একটা স্মার্টফোনের দামে নামিয়ে আনতে চান। ব্রায়ান জনসন জানান এই হেলমেট ব্যবহারকারীরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে পারবে, এমনকি আমেরিকারন রাজনৈতিক মেরুকরণের মূল কারণও জানতে পারবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আসছে মন পড়তে পারা হেলমেট

আপডেট সময় : ০৯:২৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকরা হাতে পেতে যাচ্ছেন কারনেল নামের এক কোম্পানির বানানো হেলমেট। ৫০ হাজার ডলার বা ৪২ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি টাকা মূল্যের এই হেলমেটটি কঠোরভাবে কথা বলতে পারে, মানুষের মন পড়তেও পারে। এতে এমনসব সেন্সর ও ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে যেগুলো মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রিক্যাল আবেগ, চিন্তার রক্ত প্রবাহের গতি পরিমাপ এবং বিশ্লেষণ করতে পারে। এসব প্রযুক্তি এখনই দুনিয়ায় আছে। কিন্তু তা দেখতে লাখ লাখ ডলারের যন্ত্রপাতি এবং রোগীকে একটি ক্লিনিক্যাল সেট আপে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু কোম্পানিটি এইসব প্রযুক্তি এবার একটি হেলমেটের মধ্যেই নিয়ে আসছে সবকিছু।
যে কেউ এই হেলমেট পরে ঘুরে বেড়াতে পারবে। গবেষকরা আশা করছেন এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের পক্কতা, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোকের মতো বিষয়গুলো আরও নিবিড় করে অনুসন্ধান করা যাবে। হেলমেটটি তৈরি করতে পাঁচ বছর সময় লাগিয়েছেন ব্রায়ান জনসন। ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি ডলার। যার অর্ধেকই নিজের টাকা আর বাকিটা তহবিল আকারে সংগ্রহ করেছেন তিনি। স্টার্টআপ কোম্পানি কারনেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনসন। কারনেলের প্রাথমিক হেলমেটগুলো মস্তিষ্ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে বানানো হয়েছে। মানুষ কিভাবে পণ্য নিয়ে চিন্তা করে তা যেসব কোম্পানি দেখতে চান তারাই মূলত এসব হেলমেট ব্যবহার করবেন। জনসন বলছেন ২০৩০ সাল নাগাদ তারা এই হেলমেটের দাম একটা স্মার্টফোনের দামে নামিয়ে আনতে চান। ব্রায়ান জনসন জানান এই হেলমেট ব্যবহারকারীরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে পারবে, এমনকি আমেরিকারন রাজনৈতিক মেরুকরণের মূল কারণও জানতে পারবে।