ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

আসছে ঈদ, বসেছে পশুর হাট, বেড়েছে কামাড়পাড়ার ব্যস্ততা

  • আপডেট সময় : ১২:২২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
  • ১৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কয়েকদিন পরই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি হবে হাজার হাজার গরু, ছাগল, উট।
বাংলাদেশের সব জেলায় বসছে গরু-ছাগলের হাট। রাজধানীর হাটগুলোতেও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রলারে, ট্রাকে এবং ট্রেনে করে আসতে শুরু করেছে ছোট-বড় নানা রকমের, নানা রঙ্গের গরু-ছাগল।
আর এই কোরবানির পশুগুলোকে জবাই ও গোস্ত কাটতে সবচেয়ে বেশি দরকারি হলো ছুড়ি, চাপাতি, বটি।
রাজধানীর শ্যামপুর, গাবতলী, কারওয়ান বাজার, কামরাঙ্গীরচর এলাকার কামার পাড়াগুলো ঘুরে দেখা যায় তাদের ব্যস্ততা।

বছরের অন্যান্য সময় অবসরে কাটালেও কোরবানি ঈদের মাস কয়েক আগে থেকে শুরু হয় তাদের দা, বটি, ছুড়ি, রামদা বানানোর প্রস্তুতি। শ্যামপুর লোহার বাজার থেকে লোহার পাত কিনে এনে সাইজ করে কাটা হয়। সাইজ করা কাটা পাতগুলো আগুনের লেলিহান শিখায় গরম করে তা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ছুড়ি, চাপাতি, বটি, দা বানানো হচ্ছে।
দা, ছুরি, রামদা, বটিগুলো বানিয়ে দোকানগুলোতে বিক্রির জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
সানারপাড় থেকে ছুড়ি, চাপাতি কিনতে আসা সেলিম বলেন, প্রতি বছরই আমাদের নতুন করে এসব কিনতে হয়। কারণ আমরা নিজেদের গরু নিজেরাই কোরবানি করি। এটা একটা আলাদা আনন্দ।
কামারপট্টির মালিক শ্রমিকরা জানান, সারাবছর আমাদের টুকটাক বেচাকেনা করে চলতে হয়। আমরা এই কোরবানির ঈদের অপোয় থাকি। আর এটার ওপর ভরসা করেই সারাবছর খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে চলতে হয়। এই করোনাকালে আমরা না পেলাম সরকারি সহায়তা, না নিলো আমাদের খোঁজ খবর। আমরা কারও কাছে হাত পাততেও জানি না।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আসছে ঈদ, বসেছে পশুর হাট, বেড়েছে কামাড়পাড়ার ব্যস্ততা

আপডেট সময় : ১২:২২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : কয়েকদিন পরই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি হবে হাজার হাজার গরু, ছাগল, উট।
বাংলাদেশের সব জেলায় বসছে গরু-ছাগলের হাট। রাজধানীর হাটগুলোতেও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রলারে, ট্রাকে এবং ট্রেনে করে আসতে শুরু করেছে ছোট-বড় নানা রকমের, নানা রঙ্গের গরু-ছাগল।
আর এই কোরবানির পশুগুলোকে জবাই ও গোস্ত কাটতে সবচেয়ে বেশি দরকারি হলো ছুড়ি, চাপাতি, বটি।
রাজধানীর শ্যামপুর, গাবতলী, কারওয়ান বাজার, কামরাঙ্গীরচর এলাকার কামার পাড়াগুলো ঘুরে দেখা যায় তাদের ব্যস্ততা।

বছরের অন্যান্য সময় অবসরে কাটালেও কোরবানি ঈদের মাস কয়েক আগে থেকে শুরু হয় তাদের দা, বটি, ছুড়ি, রামদা বানানোর প্রস্তুতি। শ্যামপুর লোহার বাজার থেকে লোহার পাত কিনে এনে সাইজ করে কাটা হয়। সাইজ করা কাটা পাতগুলো আগুনের লেলিহান শিখায় গরম করে তা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ছুড়ি, চাপাতি, বটি, দা বানানো হচ্ছে।
দা, ছুরি, রামদা, বটিগুলো বানিয়ে দোকানগুলোতে বিক্রির জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
সানারপাড় থেকে ছুড়ি, চাপাতি কিনতে আসা সেলিম বলেন, প্রতি বছরই আমাদের নতুন করে এসব কিনতে হয়। কারণ আমরা নিজেদের গরু নিজেরাই কোরবানি করি। এটা একটা আলাদা আনন্দ।
কামারপট্টির মালিক শ্রমিকরা জানান, সারাবছর আমাদের টুকটাক বেচাকেনা করে চলতে হয়। আমরা এই কোরবানির ঈদের অপোয় থাকি। আর এটার ওপর ভরসা করেই সারাবছর খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে চলতে হয়। এই করোনাকালে আমরা না পেলাম সরকারি সহায়তা, না নিলো আমাদের খোঁজ খবর। আমরা কারও কাছে হাত পাততেও জানি না।