ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

আসক্তি না বাড়ুক গেইমসে

  • আপডেট সময় : ১১:২৪:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

রাগীব লীল মুবাররাত : মোবাইল গেইমসের আসক্তিকে আমি মহামারির সঙ্গে তুলনা করতে চাই। এটা যেন বাড়ছেই। বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার মানুষের জীবনকে সহজ করছে। মোবাইল বিজ্ঞানের এক বিষ্ময় আবিষ্কার। একটি ফোন হাতে থাকলে এখন গোটা পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলে আসে। সুতরাং এই প্রযুক্তিকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কিন্তু প্রযুক্তিকে যখন আমরা নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করি সেখানে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আমাদের আশেপাশে শিশু-কিশোরদের মধ্যে কেউ বাবা-মায়ের ফোন ব্যবহার করছে, কেউবা নিজের ফোনই ব্যবহার করছে। ব্যবহার বললে ভুল হবে। আমরা আসলে এর অপব্যবহার করি। প্রযুক্তিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করব, কিন্তু আমরা যখন প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে যাব তখন বুঝতে হবে এটা আসক্তি। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে এমনটাই দেখা যাচ্ছে। শিশু-কিশোররা স্কুল ফাঁকি দিয়ে সহিংস গেইমগুলো খেলছে। কখনো দেখি তারা অভিভাবকের সঙ্গে আপত্তিকর ব্যবহারও করছে, কেন তাকে এসব গেইমস খেলতে বাধা দিয়েছেন তারা। খেলাটা যেন এই ছোট পর্দাতেই আটকে গেছে। শিশু-কিশোরদের এখন তেমন একটা মাঠে খেলতে দেখা যায় না, কখনো দেখি মাঠের কোণায় বসেই তারা ফোনে নানা খেলা খেলছে। শারীরিক বিকাশের জন্য মাঠে খেলাধুলা বা কায়িক শ্রমের গুরুত্ব রয়েছে। এতে মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশও হয়ে থাকে। কিন্তু এখন কায়িক শ্রম বলতে হাতের দুই আঙুলেরই হয়। এটা যেমন আমাদের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে ঠিক তেমনি গেইমসের প্রতি আসক্তি বিপর‌্যস্ত ও প্রভাবিত করছে মানসিক স্বাস্থ্যকেও।-সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকদের বিভাগ ‘হ্যালো’।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আসক্তি না বাড়ুক গেইমসে

আপডেট সময় : ১১:২৪:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২

রাগীব লীল মুবাররাত : মোবাইল গেইমসের আসক্তিকে আমি মহামারির সঙ্গে তুলনা করতে চাই। এটা যেন বাড়ছেই। বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার মানুষের জীবনকে সহজ করছে। মোবাইল বিজ্ঞানের এক বিষ্ময় আবিষ্কার। একটি ফোন হাতে থাকলে এখন গোটা পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলে আসে। সুতরাং এই প্রযুক্তিকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কিন্তু প্রযুক্তিকে যখন আমরা নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করি সেখানে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আমাদের আশেপাশে শিশু-কিশোরদের মধ্যে কেউ বাবা-মায়ের ফোন ব্যবহার করছে, কেউবা নিজের ফোনই ব্যবহার করছে। ব্যবহার বললে ভুল হবে। আমরা আসলে এর অপব্যবহার করি। প্রযুক্তিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করব, কিন্তু আমরা যখন প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে যাব তখন বুঝতে হবে এটা আসক্তি। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে এমনটাই দেখা যাচ্ছে। শিশু-কিশোররা স্কুল ফাঁকি দিয়ে সহিংস গেইমগুলো খেলছে। কখনো দেখি তারা অভিভাবকের সঙ্গে আপত্তিকর ব্যবহারও করছে, কেন তাকে এসব গেইমস খেলতে বাধা দিয়েছেন তারা। খেলাটা যেন এই ছোট পর্দাতেই আটকে গেছে। শিশু-কিশোরদের এখন তেমন একটা মাঠে খেলতে দেখা যায় না, কখনো দেখি মাঠের কোণায় বসেই তারা ফোনে নানা খেলা খেলছে। শারীরিক বিকাশের জন্য মাঠে খেলাধুলা বা কায়িক শ্রমের গুরুত্ব রয়েছে। এতে মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশও হয়ে থাকে। কিন্তু এখন কায়িক শ্রম বলতে হাতের দুই আঙুলেরই হয়। এটা যেমন আমাদের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে ঠিক তেমনি গেইমসের প্রতি আসক্তি বিপর‌্যস্ত ও প্রভাবিত করছে মানসিক স্বাস্থ্যকেও।-সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকদের বিভাগ ‘হ্যালো’।