ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

আশানুরূপ কাজে লাগছে না পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল

  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : আশানুরূপ কাজে লাগছে না ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে নির্মিত পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল। সময় বেশি লাগার পাশাপাশি ব্যয় সাশ্রয় না হওয়ায় আমদানিকাররা নদীপথে কন্টেইনার পরিবহনে আগ্রহী হচ্ছে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বন্দর সংশ্লিষ্টরা পানগাঁও টার্মিনাল ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে ট্যারিফ ব্যবস্থায় পরিবর্তন এবং কন্টেইনার জাহাজীকরণে দীর্ঘসূত্রতা কমানোর পাশাপাশি কিছু প্রণোদনা থাকা উচিত বলে মনে করছেন। মূলত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর চাপ কমাতে বুড়িগঙ্গার তীরে পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনালটি গড়ে তোলা হয়। ধারণা করা হয়েছিল কম খরচের জন্য ব্যবসায়ীরা নদীপথে আমদানি-রফতানির কন্টেইনার পরিবহন করবে। কিন্তু টার্মিনালটি চালু হওয়ার প্রায় ৮ বছরেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে তেমন আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে টার্মিনালটির সক্ষমতার ১০ শতাংশও ব্যবহৃত হচ্ছে না। বরং এখনো ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনের জন্য সড়ক পথকেই সুবিধাজনক মনে করছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনালের বার্ষিক কন্টেনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ১ লাখ ১৬ হাজার টিইইউএস। কিন্তু বছরে গড়ে হ্যান্ডলিং হচ্ছে সর্বোচ্চ ২০ হাজার কন্টেনার। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার টেক্সটাইল খাতের ৪০ শতাংশ কন্টেইনার নদীপথে পরিবহনের পরিকল্পনায় কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে টার্মিনালটিতে আশানুরূপ কর্মব্যস্ততা নেই। পানগাঁও টার্মিনালে চলাচলকারী বিভিন্ন সাইজের জাহাজগুলোর কন্টেইনার ধারণক্ষমতা ১২০ থেকে ১৮০। কিন্তু ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক না হওয়ার কারণে যতোগুলো জাহাজ চলার কথা ততোগুলো চলছে না। আর টার্মিনালে পণ্য প্রবাহ কম থাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সিএ্যান্ডএফ এজেন্টও নেই। তবে সেখান থেকে সাভারের হেমায়েতপুর পর্যন্ত সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে পানগাঁওয়ের ব্যস্ততা বাড়বে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।
সূত্র জানায়, আমদানি-রফতানিকারকদের নদীপথে কন্টেইনার পরিবহনে আগ্রহী করতে ট্যারিফ ৭০ ভাগ কমানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে জলপথে কন্টেইনার পরিবহনে বেশি সময় লাগা। তাছাড়া কমলাপুর আইসিডি থেকে আরো কম সময়ে এবং কম খরচে কন্টেনার নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকার কারণেও পানগাঁওয়ের প্রতি ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছে। তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় ট্যারিফ ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন আনার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়, ট্যারিফ ৭০ ভাগ কমানোর পরও পানগাঁও টার্মিনাল ব্যবহারে ব্যয় বেশি পড়ে। বিদেশ থেকে আসা কন্টেইনারগুলো বড় জাহাজ থেকে নামিয়ে ছোট জাহাজে তোলা এবং সেখান থেকে নদীপথে পানগাঁও পর্যন্ত নিয়ে আসতে বেশ কয়েকদিন লেগে যায়। অথচ সড়কপথে দিনে দিনেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় কন্টেনার নিয়ে আসা যায়। তাছাড়া নদীপথে কন্টেইনার পরিবহনে ঘাটে ঘাটে ব্যয়ের ঝক্কি ও ঝামেলা রয়েছে। এক জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে তুলে পানগাঁওয়ে আনার পর সেখান থেকে গন্তব্যে নিয়ে যেতে আবারো ট্রাক-কাভার্ডভ্যান বা লরি ভাড়া করতে হয়। আর এভাবে কন্টেনার পরিবহনে ব্যয় তো কমছেই না, বরং বাড়ছে। পানগাঁও ব্যবহারে একটি চল্লিশ ফুট কন্টেইনার পরিবহনে ব্যয় হয় ১০ হাজার টাকারও বেশি। অথচ কমলাপুর আইসিডিতে তাতে খরচ সাড়ে ৪ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পানগাঁও অভিমুখে নিয়মিত জাহাজ থাকে না। ফলে আমদানির পণ্য কবে নাগাদ এসে পৌঁছাবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা থাকে।
এদিকে নদীপথে নিয়মিত জাহাজ না থাকা প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোঃ ওমর ফারুক জানান, নদীপথে নিয়মিত পণ্য পরিবাহিত হলে নিয়মিত জাহাজও থাকতো। কিন্তু কমসংখ্যক আমদানিকারকই কন্টেইনার পানগাঁওয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। ফলে যে পরিমাণ কন্টেনার পাওয়া যায় তা দিয়ে প্রতিদিনই জাহাজ চালানো সম্ভব হয় না। একটি জাহাজের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক কন্টেনার জমা হতে হয়। ফলে সপ্তাহের প্রতিদিন নির্দিষ্ট সিডিউলে জাহাজ চালাতে আগ্রহ পাচ্ছে না ওই রুটের জাহাজ পরিচালকরা। তাছাড়া ঢাকার দিক থেকে সমপরিমাণ রফতানির কন্টেইনার থাকাও প্রয়োজন।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোঃ জাফর আলম পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহের কথা স্বীকার করে জানান, এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সময় বেশি লাগা, পানগাঁও থেকে ঢাকার দিকে কন্টেনার পরিবহনে টোলপ্লাজা এবং কিছু বাড়তি ব্যয়। কর্তৃপক্ষ আমদানি-রফতানিকারকদের বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। সে অনুযায়ী যদি বিদ্যমান ট্যারিফ ব্যবস্থাপনায় কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজন পড়ে তা বিবেচনায় রয়েছে। পাশাপাশি পানগাঁও টার্মিনালের পরিকল্পনা যখন করা হয়েছিল তখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সরু ও দুই লেনের ছিল। এখন তা চার লেনে উন্নীত হওয়ায় যানজটে সময় নষ্ট হওয়ার আগের মতো পরিস্থিতি আর নেই। তবে নদীপথ ব্যবহারের জন্যই মূলত পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল করা হয়েছিল। কারণ পণ্য পরিবহনে বিশ^ব্যাপী নদীপথই বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। নদীপথ সড়কের তুলনায় পরিবেশবান্ধবও। সড়ক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে জলপথে কিছু প্রণোদনা দেয়া যায় কিনা তাও ভাবা যেতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আশানুরূপ কাজে লাগছে না পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল

আপডেট সময় : ০১:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : আশানুরূপ কাজে লাগছে না ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে নির্মিত পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল। সময় বেশি লাগার পাশাপাশি ব্যয় সাশ্রয় না হওয়ায় আমদানিকাররা নদীপথে কন্টেইনার পরিবহনে আগ্রহী হচ্ছে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বন্দর সংশ্লিষ্টরা পানগাঁও টার্মিনাল ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে ট্যারিফ ব্যবস্থায় পরিবর্তন এবং কন্টেইনার জাহাজীকরণে দীর্ঘসূত্রতা কমানোর পাশাপাশি কিছু প্রণোদনা থাকা উচিত বলে মনে করছেন। মূলত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর চাপ কমাতে বুড়িগঙ্গার তীরে পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনালটি গড়ে তোলা হয়। ধারণা করা হয়েছিল কম খরচের জন্য ব্যবসায়ীরা নদীপথে আমদানি-রফতানির কন্টেইনার পরিবহন করবে। কিন্তু টার্মিনালটি চালু হওয়ার প্রায় ৮ বছরেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে তেমন আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে টার্মিনালটির সক্ষমতার ১০ শতাংশও ব্যবহৃত হচ্ছে না। বরং এখনো ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনের জন্য সড়ক পথকেই সুবিধাজনক মনে করছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনালের বার্ষিক কন্টেনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ১ লাখ ১৬ হাজার টিইইউএস। কিন্তু বছরে গড়ে হ্যান্ডলিং হচ্ছে সর্বোচ্চ ২০ হাজার কন্টেনার। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার টেক্সটাইল খাতের ৪০ শতাংশ কন্টেইনার নদীপথে পরিবহনের পরিকল্পনায় কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে টার্মিনালটিতে আশানুরূপ কর্মব্যস্ততা নেই। পানগাঁও টার্মিনালে চলাচলকারী বিভিন্ন সাইজের জাহাজগুলোর কন্টেইনার ধারণক্ষমতা ১২০ থেকে ১৮০। কিন্তু ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক না হওয়ার কারণে যতোগুলো জাহাজ চলার কথা ততোগুলো চলছে না। আর টার্মিনালে পণ্য প্রবাহ কম থাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সিএ্যান্ডএফ এজেন্টও নেই। তবে সেখান থেকে সাভারের হেমায়েতপুর পর্যন্ত সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে পানগাঁওয়ের ব্যস্ততা বাড়বে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।
সূত্র জানায়, আমদানি-রফতানিকারকদের নদীপথে কন্টেইনার পরিবহনে আগ্রহী করতে ট্যারিফ ৭০ ভাগ কমানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে জলপথে কন্টেইনার পরিবহনে বেশি সময় লাগা। তাছাড়া কমলাপুর আইসিডি থেকে আরো কম সময়ে এবং কম খরচে কন্টেনার নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকার কারণেও পানগাঁওয়ের প্রতি ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছে। তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় ট্যারিফ ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন আনার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়, ট্যারিফ ৭০ ভাগ কমানোর পরও পানগাঁও টার্মিনাল ব্যবহারে ব্যয় বেশি পড়ে। বিদেশ থেকে আসা কন্টেইনারগুলো বড় জাহাজ থেকে নামিয়ে ছোট জাহাজে তোলা এবং সেখান থেকে নদীপথে পানগাঁও পর্যন্ত নিয়ে আসতে বেশ কয়েকদিন লেগে যায়। অথচ সড়কপথে দিনে দিনেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় কন্টেনার নিয়ে আসা যায়। তাছাড়া নদীপথে কন্টেইনার পরিবহনে ঘাটে ঘাটে ব্যয়ের ঝক্কি ও ঝামেলা রয়েছে। এক জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে তুলে পানগাঁওয়ে আনার পর সেখান থেকে গন্তব্যে নিয়ে যেতে আবারো ট্রাক-কাভার্ডভ্যান বা লরি ভাড়া করতে হয়। আর এভাবে কন্টেনার পরিবহনে ব্যয় তো কমছেই না, বরং বাড়ছে। পানগাঁও ব্যবহারে একটি চল্লিশ ফুট কন্টেইনার পরিবহনে ব্যয় হয় ১০ হাজার টাকারও বেশি। অথচ কমলাপুর আইসিডিতে তাতে খরচ সাড়ে ৪ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পানগাঁও অভিমুখে নিয়মিত জাহাজ থাকে না। ফলে আমদানির পণ্য কবে নাগাদ এসে পৌঁছাবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা থাকে।
এদিকে নদীপথে নিয়মিত জাহাজ না থাকা প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোঃ ওমর ফারুক জানান, নদীপথে নিয়মিত পণ্য পরিবাহিত হলে নিয়মিত জাহাজও থাকতো। কিন্তু কমসংখ্যক আমদানিকারকই কন্টেইনার পানগাঁওয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। ফলে যে পরিমাণ কন্টেনার পাওয়া যায় তা দিয়ে প্রতিদিনই জাহাজ চালানো সম্ভব হয় না। একটি জাহাজের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক কন্টেনার জমা হতে হয়। ফলে সপ্তাহের প্রতিদিন নির্দিষ্ট সিডিউলে জাহাজ চালাতে আগ্রহ পাচ্ছে না ওই রুটের জাহাজ পরিচালকরা। তাছাড়া ঢাকার দিক থেকে সমপরিমাণ রফতানির কন্টেইনার থাকাও প্রয়োজন।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোঃ জাফর আলম পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহের কথা স্বীকার করে জানান, এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সময় বেশি লাগা, পানগাঁও থেকে ঢাকার দিকে কন্টেনার পরিবহনে টোলপ্লাজা এবং কিছু বাড়তি ব্যয়। কর্তৃপক্ষ আমদানি-রফতানিকারকদের বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। সে অনুযায়ী যদি বিদ্যমান ট্যারিফ ব্যবস্থাপনায় কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজন পড়ে তা বিবেচনায় রয়েছে। পাশাপাশি পানগাঁও টার্মিনালের পরিকল্পনা যখন করা হয়েছিল তখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সরু ও দুই লেনের ছিল। এখন তা চার লেনে উন্নীত হওয়ায় যানজটে সময় নষ্ট হওয়ার আগের মতো পরিস্থিতি আর নেই। তবে নদীপথ ব্যবহারের জন্যই মূলত পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল করা হয়েছিল। কারণ পণ্য পরিবহনে বিশ^ব্যাপী নদীপথই বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। নদীপথ সড়কের তুলনায় পরিবেশবান্ধবও। সড়ক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে জলপথে কিছু প্রণোদনা দেয়া যায় কিনা তাও ভাবা যেতে পারে।