ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

আলাদা হতে যাচ্ছে নুহা-নাভা, দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মায়ের পেট থেকেই ওদের মেরুদ- জোড়া লাগানো। এভাবেই কেটে গেছে প্রায় ৮ মাস। এবার একে অপরের শরীর থেকে আলাদা হতে যাচ্ছে নুহা-নাভা নামের যমজ দুই বোন। ওদের খরচের সব দায়িত্ব নিয়েছেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অস্ত্রোপচার করবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার শিশু দুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু নুহা ও নাবার সার্বক্ষণিক খবর নিচ্ছেন। তিনি শিশু দুটির চিকিৎসার সব ধরনের খরচ বহন করছেন এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিশু দুটির চিকিৎসার জন্য যা যা করার তাই যেন আমরা করি।” কুড়িগ্রামের পরিবহন শ্রমিক আলমগীর ও নাসরিন দম্পতির কোল আলো করে আট মাস আগে জন্ম নেয় যমজ কন্যাসন্তান। ছেলে সন্তানের পর যমজ মেয়েদের পেয়ে খুশি হন আলমগীরের পরিবার। কিন্তু জন্মের পর দেখা যায়, জন্মগতভাবে তাদের মেরুদ- জোড়া লাগানো। নুহা ও নাভা নামের শিশুদের সুচিকিৎসা মেলেনি কোথাও। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে শেষতক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা দায়িত্ব নেন অপারেশনের। গেল আটমাস হাসপাতালে থাকা, খাওয়া মেয়েদের চিকিৎসার পেছনে দরিদ্র পরিবারটি খরচ হয়ে যায় অন্তত পাঁচ লাখ টাকা। শিশুদের চিকিৎসার পেছনে সময় দিতে গিয়ে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন তাদের বাবা আলমগীর হোসেন। যখন শুনলেন অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ ও সুন্দর জীবনে ফিরবে আদরের নুহা ও নোভা তখন আর মনে কষ্ট নেই পরিবারটির। মেরুদ- আলাদা করতে নিউরোসার্জারি বিভাগের ডীন ডা. মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, শিশু দুটির চিকিৎসা প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও সময় সাপেক্ষ। বেশ কয়েক ধাপে এর অপারেশন করা লাগবে। নিউরো সার্জন, ইউরোলজিস্টস, শিশু সার্জন, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন, এনেস্থিওলজিস্ট, শিশু পুষ্টিবিদসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকের প্রয়োজন হবে। অস্ত্রোপচার হবে দুটি ধাপে, প্রথমবারের মতো অস্ত্রোপচার হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। চিকিসা শেষ হতে লাগবে আরও ক’মাস। দেশে প্রথমবারের মতো সম্পন্ন্ হবে এমন স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন। তবে সফল হবে বলেই নিশ্চিত করেছেন গরিবের চিকিৎসক হিসেবে খ্যাত সামন্ত লাল সেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আলাদা হতে যাচ্ছে নুহা-নাভা, দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মায়ের পেট থেকেই ওদের মেরুদ- জোড়া লাগানো। এভাবেই কেটে গেছে প্রায় ৮ মাস। এবার একে অপরের শরীর থেকে আলাদা হতে যাচ্ছে নুহা-নাভা নামের যমজ দুই বোন। ওদের খরচের সব দায়িত্ব নিয়েছেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অস্ত্রোপচার করবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার শিশু দুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু নুহা ও নাবার সার্বক্ষণিক খবর নিচ্ছেন। তিনি শিশু দুটির চিকিৎসার সব ধরনের খরচ বহন করছেন এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিশু দুটির চিকিৎসার জন্য যা যা করার তাই যেন আমরা করি।” কুড়িগ্রামের পরিবহন শ্রমিক আলমগীর ও নাসরিন দম্পতির কোল আলো করে আট মাস আগে জন্ম নেয় যমজ কন্যাসন্তান। ছেলে সন্তানের পর যমজ মেয়েদের পেয়ে খুশি হন আলমগীরের পরিবার। কিন্তু জন্মের পর দেখা যায়, জন্মগতভাবে তাদের মেরুদ- জোড়া লাগানো। নুহা ও নাভা নামের শিশুদের সুচিকিৎসা মেলেনি কোথাও। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে শেষতক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা দায়িত্ব নেন অপারেশনের। গেল আটমাস হাসপাতালে থাকা, খাওয়া মেয়েদের চিকিৎসার পেছনে দরিদ্র পরিবারটি খরচ হয়ে যায় অন্তত পাঁচ লাখ টাকা। শিশুদের চিকিৎসার পেছনে সময় দিতে গিয়ে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন তাদের বাবা আলমগীর হোসেন। যখন শুনলেন অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ ও সুন্দর জীবনে ফিরবে আদরের নুহা ও নোভা তখন আর মনে কষ্ট নেই পরিবারটির। মেরুদ- আলাদা করতে নিউরোসার্জারি বিভাগের ডীন ডা. মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, শিশু দুটির চিকিৎসা প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও সময় সাপেক্ষ। বেশ কয়েক ধাপে এর অপারেশন করা লাগবে। নিউরো সার্জন, ইউরোলজিস্টস, শিশু সার্জন, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন, এনেস্থিওলজিস্ট, শিশু পুষ্টিবিদসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকের প্রয়োজন হবে। অস্ত্রোপচার হবে দুটি ধাপে, প্রথমবারের মতো অস্ত্রোপচার হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। চিকিসা শেষ হতে লাগবে আরও ক’মাস। দেশে প্রথমবারের মতো সম্পন্ন্ হবে এমন স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন। তবে সফল হবে বলেই নিশ্চিত করেছেন গরিবের চিকিৎসক হিসেবে খ্যাত সামন্ত লাল সেন।