ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

আর্থ্রাইটিস থেকে বাঁচাতে যে অভ্যাস থাকতেই হবে

  • আপডেট সময় : ১১:১১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করলে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। হাড়ের জোড়ের যদি ব্যথা হয়, জায়গাটা নড়াচড়ায় শক্ত হয়ে যায় তবে আপনিও যোগ দিয়েছেন গেঁটেবাত-রোগীদের দলে। বয়সের সঙ্গে এই রোগের তীব্রতা বাড়ে। আর এর কোনো চিকিৎসা নেই। তবে হ্যাঁ, যন্ত্রণা ও রোগের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণের উপায় আছে। সেই উপায়গুলোর অধিকাংশই হল দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় নানান স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনা। যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ সিডনি গ্রিন ‘ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “কিছু নির্দিষ্ট খাবার বাতের ব্যথা ও অস্বস্তি কমায়। এই খাবারগুলোতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলো প্রধান উপকারটা করে। এছাড়াও সার্বিক খাদ্যাভ্যাসও স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি।” খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর হলেই খাবার থেকে পরিপূর্ণ পুষ্টি গ্রহণ করা যায়। গেঁটেবাত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে অভ্যাসটি রপ্ত না করে কোনো উপায় নেই সেটি হল প্রচুর সবুজ সবজি খাওয়া। সবুজ পত্রল শাকসবজি যেমন- ব্রকলি, সবুজ শাক, ‘ব্রাসেলস স্প্রাউট’, অ্যাসপারাগাস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ ও ‘ফাইটোকেমিকাল থাকে, যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন’ জানায়, “পালংশাকসহ সবুজ পত্রল শাকসবজি শরীরের প্রতিটি কোষ মুক্তমৌলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচায়। কারণ এগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’, ভিটামিন এ, সি এবং কে।
‘দ্য আমেরিকান জার্নাল অফ লাইফস্টাইল মেডিসিন’য়ে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, “গাঢ় সবুজ রংয়ের পাতাবহুল সবজি শরীরে ‘বেটা-ক্যারোটিন’ নামক একটি ‘পিগমেন্ট’য়ের মাত্রা বাড়ায় যা পরে পরিণত হয় ভিটামিন এ’তে। ‘সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন (সিআরপি)’ নামক এক ধরনের প্রোটিন শরীর বেশি থাকলে শরীরের দূরারোগ্য প্রদাহ দেখা দেয়। এই উপাদানটির মাত্রা কমাতে পারে গাঢ় সবুজ রংয়ের সবজি। অর্থাৎ কমে গেল প্রদাহ থেকে সৃষ্টি হতে পারে এমন রোগের আশঙ্কা। গবেষকরা এই খাদ্যাভ্যাসকে নাম দিয়েছেন ‘লো ইনফ্লামাটরি ফুড এভ্রিডে’ বা ‘লাইফ ডায়েট’। এই খাদ্যাভ্যাসে আছে পালংশাক, কেল, কলার্ড গ্রিন্স, সুইড চার্ড, বক চয় ইত্যাদি। তবে মোদ্দাকথা হল- গেঁটেবাত থেকে দূরে থাকতে হলে কিংবা তার তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাকসবজি খেতেই হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আর্থ্রাইটিস থেকে বাঁচাতে যে অভ্যাস থাকতেই হবে

আপডেট সময় : ১১:১১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করলে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। হাড়ের জোড়ের যদি ব্যথা হয়, জায়গাটা নড়াচড়ায় শক্ত হয়ে যায় তবে আপনিও যোগ দিয়েছেন গেঁটেবাত-রোগীদের দলে। বয়সের সঙ্গে এই রোগের তীব্রতা বাড়ে। আর এর কোনো চিকিৎসা নেই। তবে হ্যাঁ, যন্ত্রণা ও রোগের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণের উপায় আছে। সেই উপায়গুলোর অধিকাংশই হল দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় নানান স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনা। যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ সিডনি গ্রিন ‘ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “কিছু নির্দিষ্ট খাবার বাতের ব্যথা ও অস্বস্তি কমায়। এই খাবারগুলোতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলো প্রধান উপকারটা করে। এছাড়াও সার্বিক খাদ্যাভ্যাসও স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি।” খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর হলেই খাবার থেকে পরিপূর্ণ পুষ্টি গ্রহণ করা যায়। গেঁটেবাত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে অভ্যাসটি রপ্ত না করে কোনো উপায় নেই সেটি হল প্রচুর সবুজ সবজি খাওয়া। সবুজ পত্রল শাকসবজি যেমন- ব্রকলি, সবুজ শাক, ‘ব্রাসেলস স্প্রাউট’, অ্যাসপারাগাস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ ও ‘ফাইটোকেমিকাল থাকে, যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন’ জানায়, “পালংশাকসহ সবুজ পত্রল শাকসবজি শরীরের প্রতিটি কোষ মুক্তমৌলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচায়। কারণ এগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’, ভিটামিন এ, সি এবং কে।
‘দ্য আমেরিকান জার্নাল অফ লাইফস্টাইল মেডিসিন’য়ে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, “গাঢ় সবুজ রংয়ের পাতাবহুল সবজি শরীরে ‘বেটা-ক্যারোটিন’ নামক একটি ‘পিগমেন্ট’য়ের মাত্রা বাড়ায় যা পরে পরিণত হয় ভিটামিন এ’তে। ‘সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন (সিআরপি)’ নামক এক ধরনের প্রোটিন শরীর বেশি থাকলে শরীরের দূরারোগ্য প্রদাহ দেখা দেয়। এই উপাদানটির মাত্রা কমাতে পারে গাঢ় সবুজ রংয়ের সবজি। অর্থাৎ কমে গেল প্রদাহ থেকে সৃষ্টি হতে পারে এমন রোগের আশঙ্কা। গবেষকরা এই খাদ্যাভ্যাসকে নাম দিয়েছেন ‘লো ইনফ্লামাটরি ফুড এভ্রিডে’ বা ‘লাইফ ডায়েট’। এই খাদ্যাভ্যাসে আছে পালংশাক, কেল, কলার্ড গ্রিন্স, সুইড চার্ড, বক চয় ইত্যাদি। তবে মোদ্দাকথা হল- গেঁটেবাত থেকে দূরে থাকতে হলে কিংবা তার তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাকসবজি খেতেই হবে।