ঢাকা ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

আর্থিক অভাবে আটকে গেল আয়ারল্যান্ডের হোম সিরিজ

  • আপডেট সময় : ০৮:০০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক: আর্থিক কারণে আটকে গেল আয়ারল্যান্ডের হোম সিরিজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলতি গ্রীষ্মে মাল্টি ফরম্যাট সিরিজ আয়োজনের কথা থাকলেও তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। এবারের গ্রীষ্মে তাদের ব্যস্ত সময়সূচির মধ্যে ইংল্যান্ডের পুরুষদের টি-টোয়েন্টি দল এবং জিম্বাবুয়ে নারী দলের ঐতিহাসিক সফর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড মঙ্গলবার তাদের আন্তর্জাতিক সূচি প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত সূচিতে নারীদের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে।

এই ম্যাচগুলো ৯ থেকে ১৮ এপ্রিলের মাঝে অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। এছাড়া, আয়ারল্যান্ড নারী দল বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার লক্ষ্যে পাকিস্তানে ৫ ও ৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে।
এদিকে আয়ারল্যান্ড পুরুষ দল মে ও জুন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওডিআই ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। আর সেপ্টেম্বরে তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করবে। ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম বা এফটিপি অনুসারে, আয়ারল্যান্ড আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট, তিনটি ওডিআই ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল। তবে এই সাতটি ম্যাচই বাতিল করা হয়েছে। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রোম বলেছেন, ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নয়, বরং আর্থিক কারণে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আর্থিক কারণে একটি পূর্ব পরিকল্পিত সিরিজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সেটি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ। এই সিদ্ধান্ত আমাদের স্বল্পমেয়াদী বাজেট ব্যবস্থাপনার একটি অংশ। আমাদের বোর্ডের কৌশলগত বিনিয়োগের ভারসাম্য বজায় রাখার নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ার পর থেকে আয়ারল্যান্ড মাত্র ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে শুধু দুটি নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের প্রথম টেস্ট জয় আসে। এরপর গত বছর জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এবং গত মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে আরও দুটি টেস্ট জয় পায়। ২০২৩ সালে, আয়ারল্যান্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে “হোম” সিরিজ খেলেছিল। তখন ডিউট্রোম বলেছিলেন যে, আয়ারল্যান্ডের নিজস্ব স্থায়ী স্টেডিয়ামের অভাব ও সাময়িক অবকাঠামো স্থাপনের উচ্চ ব্যয় তাদের বিদেশে ম্যাচ খেলতে বাধ্য করছে।

উল্লেখ্য, গতবছর আগস্ট মাসে আয়ারল্যান্ড সরকার ডাবলিনে একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং হাই পারফরম্যান্স সেন্টার তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। প্রথম ধাপে ৪,০০০ আসনের মূল স্টেডিয়াম ও পারফরম্যান্স সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এই প্রকল্পটি ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ২০৩০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সহ-আয়োজনে ব্যবহার করা হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আর্থিক অভাবে আটকে গেল আয়ারল্যান্ডের হোম সিরিজ

আপডেট সময় : ০৮:০০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

ক্রীড়া প্রতিবেদক: আর্থিক কারণে আটকে গেল আয়ারল্যান্ডের হোম সিরিজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলতি গ্রীষ্মে মাল্টি ফরম্যাট সিরিজ আয়োজনের কথা থাকলেও তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। এবারের গ্রীষ্মে তাদের ব্যস্ত সময়সূচির মধ্যে ইংল্যান্ডের পুরুষদের টি-টোয়েন্টি দল এবং জিম্বাবুয়ে নারী দলের ঐতিহাসিক সফর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড মঙ্গলবার তাদের আন্তর্জাতিক সূচি প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত সূচিতে নারীদের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে।

এই ম্যাচগুলো ৯ থেকে ১৮ এপ্রিলের মাঝে অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। এছাড়া, আয়ারল্যান্ড নারী দল বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার লক্ষ্যে পাকিস্তানে ৫ ও ৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে।
এদিকে আয়ারল্যান্ড পুরুষ দল মে ও জুন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওডিআই ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। আর সেপ্টেম্বরে তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করবে। ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম বা এফটিপি অনুসারে, আয়ারল্যান্ড আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট, তিনটি ওডিআই ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল। তবে এই সাতটি ম্যাচই বাতিল করা হয়েছে। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রোম বলেছেন, ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নয়, বরং আর্থিক কারণে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আর্থিক কারণে একটি পূর্ব পরিকল্পিত সিরিজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সেটি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ। এই সিদ্ধান্ত আমাদের স্বল্পমেয়াদী বাজেট ব্যবস্থাপনার একটি অংশ। আমাদের বোর্ডের কৌশলগত বিনিয়োগের ভারসাম্য বজায় রাখার নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ার পর থেকে আয়ারল্যান্ড মাত্র ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে শুধু দুটি নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের প্রথম টেস্ট জয় আসে। এরপর গত বছর জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এবং গত মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে আরও দুটি টেস্ট জয় পায়। ২০২৩ সালে, আয়ারল্যান্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে “হোম” সিরিজ খেলেছিল। তখন ডিউট্রোম বলেছিলেন যে, আয়ারল্যান্ডের নিজস্ব স্থায়ী স্টেডিয়ামের অভাব ও সাময়িক অবকাঠামো স্থাপনের উচ্চ ব্যয় তাদের বিদেশে ম্যাচ খেলতে বাধ্য করছে।

উল্লেখ্য, গতবছর আগস্ট মাসে আয়ারল্যান্ড সরকার ডাবলিনে একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং হাই পারফরম্যান্স সেন্টার তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। প্রথম ধাপে ৪,০০০ আসনের মূল স্টেডিয়াম ও পারফরম্যান্স সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এই প্রকল্পটি ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ২০৩০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সহ-আয়োজনে ব্যবহার করা হবে।