ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

আরো এক বছর জামিনে থাকবেন সাবেক সেনাপ্রধান হারুন

  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেসটিনির গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নি¤œ আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক সেনাপ্রধান, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদের জামিনের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক বছর পর আপিল শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গতকাল রোববার বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে হারুনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু ও অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শাহীন। তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আল মামুন সারোয়ার। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। এর আগে গত বছরের ৩০ আগস্ট ডেসটিনির গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নি¤œ আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত হারুন-অর-রশিদকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ৩ মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন আদালত। গত বছরের ৯ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ডেসটিনির গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নি¤œ আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নি¤œ আদালত থেকে তার মামলার নথি তলব করেন। পরে গত ২৯ জুন ৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে ১২ বছর কারাদ- দেওয়া হয়। কিন্তু একই মামলায় কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে চার বছরের কারাদ- দেওয়া হয়। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের’ কথা বিবেচনায় নিয়ে আদালত তার সাজা কমিয়ে দেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়ার পাশাপাশি ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রায় ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় মামলা করেছিল দুদক। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে আদালত আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২০০০ সালে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড নামে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি দিয়ে এই গ্রুপের যাত্রা শুরু।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আরো এক বছর জামিনে থাকবেন সাবেক সেনাপ্রধান হারুন

আপডেট সময় : ০১:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেসটিনির গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নি¤œ আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক সেনাপ্রধান, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদের জামিনের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক বছর পর আপিল শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গতকাল রোববার বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে হারুনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু ও অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শাহীন। তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আল মামুন সারোয়ার। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। এর আগে গত বছরের ৩০ আগস্ট ডেসটিনির গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নি¤œ আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত হারুন-অর-রশিদকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ৩ মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন আদালত। গত বছরের ৯ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ডেসটিনির গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নি¤œ আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নি¤œ আদালত থেকে তার মামলার নথি তলব করেন। পরে গত ২৯ জুন ৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে ১২ বছর কারাদ- দেওয়া হয়। কিন্তু একই মামলায় কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে চার বছরের কারাদ- দেওয়া হয়। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের’ কথা বিবেচনায় নিয়ে আদালত তার সাজা কমিয়ে দেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়ার পাশাপাশি ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রায় ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় মামলা করেছিল দুদক। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে আদালত আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২০০০ সালে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড নামে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি দিয়ে এই গ্রুপের যাত্রা শুরু।