ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আরাকান আর্মির ছাড়া পেয়ে টেকনাফে কার্গো জাহাজ

  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে আটক পণ্যবাহী একটি কার্গো বোট ১৬ দিন পর ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে পণ্যবাহী জাহাজটি টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে এসে পৌঁছেছে। এর আগে ২০ জানুয়ারি আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা দুটি কার্গো বোট টেকনাফ স্থলবন্দরের পৌঁছেছে। পণ্যবাহী জাহাজ ঘাটে পৌঁছার তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, এর আগে পণ্যবাহী দুটি কার্গো জাহাজ আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। ওই জাহাজগুলো মালামাল খালাস করে ইয়াংগুনে ফিরে গেছে। তিনি বলেন, ১৬ দিন পর আরাকান আর্মির হাতে আটক অপর জাহাজটিও ছাড়া পেয়েছে। সেটি ঘাটে নোঙরে আছে। কার্যক্রম শেষে, মালামাল খালাস করা হবে। এর আগে ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মিয়ানমারের ইয়াংগুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনায় আটক করা হয় পণ্যবাহী তিনটি কার্গো। এসব কার্গোতে ৫০ হাজার বস্তা শুঁটকি, সুপারি, কপিসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। এর মধ্য গত ২০ জানুয়ারি দুটি বোট ছেড়ে দিয়েছিল আরাকান আর্মি।

সেখানে ২৭ হাজার ৭২২ বস্তা মালামাল ছিল। টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ১৬ দিন পর আটকে থাকা পণ্যবাহী কার্গো বোট ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি। এতে জাহাজটি ঘাটে পৌঁছেছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে এসব পণ্যবাহী জাহাজ আটকে রাখার পর ইয়াংগুন থেকে আর কোনো পণ্যবাহী বোট আসেনি। স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৬ জানুয়ারি শনিবার ইয়াংগুন থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ীর পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়।

পরের বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নাফ নদের মোহনায় সে দেশের জলসীমানার নাক্ষ্যংকদিয়া এলাকায় তল্লাশির নামে পণ্যবাহী তিনটি জাহাজ আটকে দিয়েছিল আরাকান আর্মি। এর মধ্যে আচার, শুঁটকি, সুপারি, কপিসহ ৫০ হাজারের বেশি বস্তা পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো. আয়াছ, এম এ হাসেম, মো. ওমর ওয়াহিদ, আবদুর শুক্কুর সাদ্দামসহ অনেকের। সর্বশেষ গত সোমবার সকালে সাতুরু এবং এমভি হারিকিউলেছ নামে পণ্যবাহী দুটি জাহাজ ফেরত এলেও একটি কার্গো জাহাজ আরাকান আর্মির হেফাজতে ছিল।

সেটিও গতকাল শনিবার ছেড়ে দিয়েছে। এই জাহাজে ৩০ হাজারের বেশি বস্তা মালামাল রয়েছে। এ বিষয়ে আমদানিকারক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘আরাকান আর্মির হাত থেকে ১৬ দিন পর পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ ঘাটে পৌঁছেছে। সেখানে আমাদের ১৬শ বস্তা শুঁটকি রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, আরাকান আর্মি থেকে ছাড়া পেয়ে আরও একটি পণ্যবাহী কার্গো ঘাটে পৌঁছেছে। তাদের পরবর্তী কার্যক্রম চলছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আরাকান আর্মির ছাড়া পেয়ে টেকনাফে কার্গো জাহাজ

আপডেট সময় : ০৭:২৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে আটক পণ্যবাহী একটি কার্গো বোট ১৬ দিন পর ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে পণ্যবাহী জাহাজটি টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে এসে পৌঁছেছে। এর আগে ২০ জানুয়ারি আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা দুটি কার্গো বোট টেকনাফ স্থলবন্দরের পৌঁছেছে। পণ্যবাহী জাহাজ ঘাটে পৌঁছার তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, এর আগে পণ্যবাহী দুটি কার্গো জাহাজ আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। ওই জাহাজগুলো মালামাল খালাস করে ইয়াংগুনে ফিরে গেছে। তিনি বলেন, ১৬ দিন পর আরাকান আর্মির হাতে আটক অপর জাহাজটিও ছাড়া পেয়েছে। সেটি ঘাটে নোঙরে আছে। কার্যক্রম শেষে, মালামাল খালাস করা হবে। এর আগে ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মিয়ানমারের ইয়াংগুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনায় আটক করা হয় পণ্যবাহী তিনটি কার্গো। এসব কার্গোতে ৫০ হাজার বস্তা শুঁটকি, সুপারি, কপিসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। এর মধ্য গত ২০ জানুয়ারি দুটি বোট ছেড়ে দিয়েছিল আরাকান আর্মি।

সেখানে ২৭ হাজার ৭২২ বস্তা মালামাল ছিল। টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ১৬ দিন পর আটকে থাকা পণ্যবাহী কার্গো বোট ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি। এতে জাহাজটি ঘাটে পৌঁছেছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে এসব পণ্যবাহী জাহাজ আটকে রাখার পর ইয়াংগুন থেকে আর কোনো পণ্যবাহী বোট আসেনি। স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৬ জানুয়ারি শনিবার ইয়াংগুন থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ীর পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়।

পরের বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নাফ নদের মোহনায় সে দেশের জলসীমানার নাক্ষ্যংকদিয়া এলাকায় তল্লাশির নামে পণ্যবাহী তিনটি জাহাজ আটকে দিয়েছিল আরাকান আর্মি। এর মধ্যে আচার, শুঁটকি, সুপারি, কপিসহ ৫০ হাজারের বেশি বস্তা পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো. আয়াছ, এম এ হাসেম, মো. ওমর ওয়াহিদ, আবদুর শুক্কুর সাদ্দামসহ অনেকের। সর্বশেষ গত সোমবার সকালে সাতুরু এবং এমভি হারিকিউলেছ নামে পণ্যবাহী দুটি জাহাজ ফেরত এলেও একটি কার্গো জাহাজ আরাকান আর্মির হেফাজতে ছিল।

সেটিও গতকাল শনিবার ছেড়ে দিয়েছে। এই জাহাজে ৩০ হাজারের বেশি বস্তা মালামাল রয়েছে। এ বিষয়ে আমদানিকারক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘আরাকান আর্মির হাত থেকে ১৬ দিন পর পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ ঘাটে পৌঁছেছে। সেখানে আমাদের ১৬শ বস্তা শুঁটকি রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, আরাকান আর্মি থেকে ছাড়া পেয়ে আরও একটি পণ্যবাহী কার্গো ঘাটে পৌঁছেছে। তাদের পরবর্তী কার্যক্রম চলছে।