ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

আরসা প্রধানের ভাই এনআইডি নিয়েছেন চট্টগ্রামের ঠিকানায়

  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি : মিয়ানমারে নিষিদ্ধ ঘোষিত সশস্ত্র সংগঠন আরসা প্রধান আতাউল্লাহর ভাই শাহ আলী চট্টগ্রামের ঠিকানায় বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এসআই মোহাম্মদ রুহুল আজমের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজারের জয়নব কলোনির ঠিকানা ব্যবহার করে তিনি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।
গত রোববার ভোররাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ শাহ আলীকে (৫৫) আটক করে এপিবিএন সদস্যরা। এ সময় আটক শাহ আলীর হেফাজত থেকে দেশে তৈরি একটি বন্দুক, একটি বড় আকারের ছোরা ও এক হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সোমবার সকালে গ্রেপ্তার আসামিকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান। সঞ্জুর মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় রোববার রাতে উখিয়া থানায় শাহ আলীসহ দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১০ ব্লকের বাসিন্দা মৃত গোলাম মোহাম্মদের ছেলে শাহ আলী (৫৫) এবং একই ক্যাম্পের এ-১১ ব্লকের বাসিন্দা মৃত আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ জোবাইর (২৫)। এদের মধ্যে শাহ আলীর কাছ থেকে উদ্ধার করা বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজারের জয়নব কলোনি। তার জাতীয় পরিচয়পত্র [এনআইডি] নম্বর- ১৯৭১১৫৯৪ ১২০০০০০১৮।
ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, উখিয়ার ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনীর ভাই শাহ আলীকে আটকের ঘটনায় পৃথক আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে মোহাম্মদ সালেহ (২৮) নামের এক যুবক বাদী হয়ে অপহরণ ঘটনায় একটি এবং ১৪ এপিবিএন-এর এসআই মোহাম্মদ রুহুল আজম বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক অপর দুইটি মামলা দায়ের করেন। এপিবিএনের মামলার বরাতে ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ আরও বলেন, শাহ আলী ২০১৯ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীর হাজারীবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা রয়েছে। এই মামলায় তিনি হাই কোর্টের জামিনে আছেন।
শাহ আলীকে আটকের পর এপিবিএন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, উখিয়ার কুতুপালং ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকায় বড় ধরনের অপরাধ সংঘটনের জন্য কতিপয় সশস্ত্র দুর্বৃত্ত অবস্থানের খবরে এপিবিএন ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার এবং শাহ আলীকে আটক করে। পরে তার হেফাজতে থাকা অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংগঠনের প্রতি উমামার কমিটমেন্ট ছিল কি না, প্রশ্ন রিফাতের

আরসা প্রধানের ভাই এনআইডি নিয়েছেন চট্টগ্রামের ঠিকানায়

আপডেট সময় : ০১:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২

কক্সবাজার প্রতিনিধি : মিয়ানমারে নিষিদ্ধ ঘোষিত সশস্ত্র সংগঠন আরসা প্রধান আতাউল্লাহর ভাই শাহ আলী চট্টগ্রামের ঠিকানায় বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এসআই মোহাম্মদ রুহুল আজমের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজারের জয়নব কলোনির ঠিকানা ব্যবহার করে তিনি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।
গত রোববার ভোররাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ শাহ আলীকে (৫৫) আটক করে এপিবিএন সদস্যরা। এ সময় আটক শাহ আলীর হেফাজত থেকে দেশে তৈরি একটি বন্দুক, একটি বড় আকারের ছোরা ও এক হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সোমবার সকালে গ্রেপ্তার আসামিকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান। সঞ্জুর মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় রোববার রাতে উখিয়া থানায় শাহ আলীসহ দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১০ ব্লকের বাসিন্দা মৃত গোলাম মোহাম্মদের ছেলে শাহ আলী (৫৫) এবং একই ক্যাম্পের এ-১১ ব্লকের বাসিন্দা মৃত আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ জোবাইর (২৫)। এদের মধ্যে শাহ আলীর কাছ থেকে উদ্ধার করা বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজারের জয়নব কলোনি। তার জাতীয় পরিচয়পত্র [এনআইডি] নম্বর- ১৯৭১১৫৯৪ ১২০০০০০১৮।
ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, উখিয়ার ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনীর ভাই শাহ আলীকে আটকের ঘটনায় পৃথক আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে মোহাম্মদ সালেহ (২৮) নামের এক যুবক বাদী হয়ে অপহরণ ঘটনায় একটি এবং ১৪ এপিবিএন-এর এসআই মোহাম্মদ রুহুল আজম বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক অপর দুইটি মামলা দায়ের করেন। এপিবিএনের মামলার বরাতে ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ আরও বলেন, শাহ আলী ২০১৯ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীর হাজারীবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা রয়েছে। এই মামলায় তিনি হাই কোর্টের জামিনে আছেন।
শাহ আলীকে আটকের পর এপিবিএন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, উখিয়ার কুতুপালং ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকায় বড় ধরনের অপরাধ সংঘটনের জন্য কতিপয় সশস্ত্র দুর্বৃত্ত অবস্থানের খবরে এপিবিএন ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার এবং শাহ আলীকে আটক করে। পরে তার হেফাজতে থাকা অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।