ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫

আরব নেতাদের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে আরব নেতাদের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইচ্ছা, গাজার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উৎখাত করে এলাকাটিকে একটি মার্কিন মালিকানাধীন ‘রিভিয়েরা’ (সমুদ্রতীরবর্তী বিলাসবহুল পর্যটন অঞ্চল) হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ বলেন, বর্তমান প্রস্তাবটি গাজার বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নেয়নি। এটি এখন বসবাসের অনুপযোগী এবং ধ্বংসস্তূপ ও অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের মধ্যে মানুষের মানবিকভাবে বসবাস করা অসম্ভব। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজাকে হামাসমুক্ত করে পুনর্গঠনের পরিকল্পনায় অটল। আমরা অঞ্চলটিতে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে আরও আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি। গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী এই পরিকল্পনা মিসরের নেতৃত্বে প্রস্তাব করা হয়, যাতে হামাসকে অন্তর্র্বতী প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না সংস্কারকৃত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) এর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারে।

তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে এর মূল পার্থক্য হলো, এটি গাজার প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে সেখানে থাকার অনুমতি দেয়।
২০৩০ সালের মধ্যে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা

আরব দেশগুলোর প্রস্তাবিত ৫৩ বিলিয়ন ডলারের এই পরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে গাজাকে পুনর্গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় থাকা অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ অপসারণ ও প্রায় পাঁচ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জর্ডানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আরব দেশগুলোর পরিকল্পনা অনুসারে, গাজায় আধুনিক শপিং মল, একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র এবং পাঁচ বছরের মধ্যে একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে। এছাড়া, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে উপকূলবর্তী অঞ্চলে রিসোর্ট গড়ে তোলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পরিকল্পনা সংক্রান্ত নথিতে স্বীকার করা হয়েছে, গাজার বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এতে বলা হয়েছে, মূল সমস্যাগুলো দূর করা এবং একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চালু করা ছাড়া এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। সূত্র: সিএনএন

 

 

 

 

 

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আরব নেতাদের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে আরব নেতাদের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইচ্ছা, গাজার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উৎখাত করে এলাকাটিকে একটি মার্কিন মালিকানাধীন ‘রিভিয়েরা’ (সমুদ্রতীরবর্তী বিলাসবহুল পর্যটন অঞ্চল) হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ বলেন, বর্তমান প্রস্তাবটি গাজার বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নেয়নি। এটি এখন বসবাসের অনুপযোগী এবং ধ্বংসস্তূপ ও অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের মধ্যে মানুষের মানবিকভাবে বসবাস করা অসম্ভব। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজাকে হামাসমুক্ত করে পুনর্গঠনের পরিকল্পনায় অটল। আমরা অঞ্চলটিতে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে আরও আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি। গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী এই পরিকল্পনা মিসরের নেতৃত্বে প্রস্তাব করা হয়, যাতে হামাসকে অন্তর্র্বতী প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না সংস্কারকৃত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) এর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারে।

তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে এর মূল পার্থক্য হলো, এটি গাজার প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে সেখানে থাকার অনুমতি দেয়।
২০৩০ সালের মধ্যে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা

আরব দেশগুলোর প্রস্তাবিত ৫৩ বিলিয়ন ডলারের এই পরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে গাজাকে পুনর্গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় থাকা অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ অপসারণ ও প্রায় পাঁচ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জর্ডানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আরব দেশগুলোর পরিকল্পনা অনুসারে, গাজায় আধুনিক শপিং মল, একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র এবং পাঁচ বছরের মধ্যে একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে। এছাড়া, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে উপকূলবর্তী অঞ্চলে রিসোর্ট গড়ে তোলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পরিকল্পনা সংক্রান্ত নথিতে স্বীকার করা হয়েছে, গাজার বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এতে বলা হয়েছে, মূল সমস্যাগুলো দূর করা এবং একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চালু করা ছাড়া এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। সূত্র: সিএনএন