ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

আরও ৭৪টি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আসছে

  • আপডেট সময় : ১০:২২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : আরও ৭৪টি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সেবাদাতার (আইএসপি) লাইসেন্স পাচ্ছে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা বা থানা পর্যায়-এই তিন ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স পাচ্ছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে। যদিও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি নতুন করে ৭৪টি আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া যৌক্তিক নয় বলে মনে করছে। জানা গেছে, সরকারিভাবে আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া কখনও বন্ধ ছিল না। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি গঠিত কমিটি যাচাই-বাছাই করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছে। জানা যায়, ১০টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ডিভিশনাল আইএসপি, ১৩টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জেলা ও ৫১টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে উপজেলা বা থানা পর্যায়ের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, যাদের লাইসেন্স দেওয়া যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে, যাদের সক্ষমতা আছে তারা যোগ্যতা অনুযায়ী লাইসেন্স পাবে। এর আগে সর্বশেষ গত বছর ১৫৫টি আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া হয়। গত বছরের শেষ দিকে দেওয়া লাইসেন্সগুলোর মধ্যে বিভাগীয় ক্যাটাগরিতে চার, জেলা ক্যাটাগরিতে ৩০ এবং উপজেলা বা থানা ক্যাটাগরিতে ১২১টি নতুন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, দেশে চার ক্যাটাগরিতে ২ হাজারের বেশি আইএসপি লাইসেন্স রয়েছে। নেশনওয়াইড, বিভাগীয়, জেলা ও থানা পর্যায়ে আইএসপি অপারেটররা সেবা দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে লাইসেন্সবিহীন অপারেটরের সংখ্যা লাইসেন্সড অপারেটরের দ্বিগুণ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, এই মুহূর্তে আইএসপির নতুন লাইসেন্স দেওয়া যৌক্তিক নয়। যারা এখন মার্কেটে আছে তারা রীতিমতো স্ট্রাগল করছে। তিনি জানান, আরবান বা শহুরে এলাকায় নতুন লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। তিনি মনে করেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে যথেষ্ট আইএসপি রয়েছে। নতুন লাইসেন্স দিলে থানা পর্যায়ে দেওয়া যেতে পারে। কোনও থানায় একটা বা দুটো লাইসেন্স থাকলে সেখানে আরেকটা দেওয়া যেতে পারে, তাহলে প্রতিযোগিতা হবে। গ্রাহকরা বেশি সুবিধা ভোগ করবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আরও ৭৪টি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আসছে

আপডেট সময় : ১০:২২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : আরও ৭৪টি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সেবাদাতার (আইএসপি) লাইসেন্স পাচ্ছে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা বা থানা পর্যায়-এই তিন ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স পাচ্ছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে। যদিও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি নতুন করে ৭৪টি আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া যৌক্তিক নয় বলে মনে করছে। জানা গেছে, সরকারিভাবে আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া কখনও বন্ধ ছিল না। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি গঠিত কমিটি যাচাই-বাছাই করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছে। জানা যায়, ১০টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ডিভিশনাল আইএসপি, ১৩টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জেলা ও ৫১টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে উপজেলা বা থানা পর্যায়ের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, যাদের লাইসেন্স দেওয়া যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে, যাদের সক্ষমতা আছে তারা যোগ্যতা অনুযায়ী লাইসেন্স পাবে। এর আগে সর্বশেষ গত বছর ১৫৫টি আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া হয়। গত বছরের শেষ দিকে দেওয়া লাইসেন্সগুলোর মধ্যে বিভাগীয় ক্যাটাগরিতে চার, জেলা ক্যাটাগরিতে ৩০ এবং উপজেলা বা থানা ক্যাটাগরিতে ১২১টি নতুন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, দেশে চার ক্যাটাগরিতে ২ হাজারের বেশি আইএসপি লাইসেন্স রয়েছে। নেশনওয়াইড, বিভাগীয়, জেলা ও থানা পর্যায়ে আইএসপি অপারেটররা সেবা দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে লাইসেন্সবিহীন অপারেটরের সংখ্যা লাইসেন্সড অপারেটরের দ্বিগুণ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, এই মুহূর্তে আইএসপির নতুন লাইসেন্স দেওয়া যৌক্তিক নয়। যারা এখন মার্কেটে আছে তারা রীতিমতো স্ট্রাগল করছে। তিনি জানান, আরবান বা শহুরে এলাকায় নতুন লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। তিনি মনে করেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে যথেষ্ট আইএসপি রয়েছে। নতুন লাইসেন্স দিলে থানা পর্যায়ে দেওয়া যেতে পারে। কোনও থানায় একটা বা দুটো লাইসেন্স থাকলে সেখানে আরেকটা দেওয়া যেতে পারে, তাহলে প্রতিযোগিতা হবে। গ্রাহকরা বেশি সুবিধা ভোগ করবে।