ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

আরও ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস

  • আপডেট সময় : ০৮:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আরও তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। ১৫ মাসের গাজা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে গত মাসে করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা হলেন ইলাই শরাবি (৫২), অর লেভি (৩৪) এবং ওহাদ বেন এমি (৫৬)। গতকাল শনিবার গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দিয়ের এল-বালা থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। হামাস এই জম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পর রেডক্রসের সদস্যরা তাদের নিয়ে যায়।

রেডক্রসের কাছে তাদের হস্তান্তরের জন্য হামাস দিয়ের এল-বালায় একটি মঞ্চ স্থাপন করে। মঞ্চে ও এর আশপাশে মুখোশ পরা হামাসের বহু সশস্ত্র যোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। এই জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি থাকা ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিচ্ছে। হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর সময় এসব জিম্মিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আটকে রেখেছিল। বন্দি হওয়ার ১৬ মাস পর তারা মুক্তি পেল। ইলাই শরাবিকে ইসরায়েলের বেরি এলাকা থেকে তার ভাই ইয়োসিকেসহ ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। ইয়োসির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। আর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় সময় শরাবির স্ত্রী ও দুই কিশোরী কন্যা নিহত হয়েছিল। ওহাদ বিন এমিকেও বেরি এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল হামাসের যোদ্ধারা।

তার সঙ্গে তার স্ত্রী রাজও ছিল। নভেম্বর ২০২৩ সালে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় রাজকে মুক্তি দেওয়া হয়। বেন এমি পেশায় একজন হিসাবরক্ষক। কম্পিউটার প্রোগ্রামার অর লেভিকে রিশন লেজিওন শহরের নোভা সঙ্গীত উৎসব থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই উৎসবে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় লেভির ৩২ বছরের স্ত্রী আয়নাভ নিহত হয়। তাদের দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। হামাস এর আগে যে ১৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে তাদের তুলনায় এই তিন বন্দি অনেক শুকনা, দুর্বল ও বিবর্ণ ছিল। মুক্তি পাওয়ার পর এই তিন জিম্মিকে রেডক্রস গাজায় অবস্থান করা ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।

এদের বিনিময়ে ইসরায়েল যে ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে তাদের মধ্যে ১৮ জন আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। অপর ১১১ জনকে গাজা যুদ্ধ চলার সময় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে হামাস জানিয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আরও ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস

আপডেট সময় : ০৮:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আরও তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। ১৫ মাসের গাজা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে গত মাসে করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা হলেন ইলাই শরাবি (৫২), অর লেভি (৩৪) এবং ওহাদ বেন এমি (৫৬)। গতকাল শনিবার গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দিয়ের এল-বালা থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। হামাস এই জম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পর রেডক্রসের সদস্যরা তাদের নিয়ে যায়।

রেডক্রসের কাছে তাদের হস্তান্তরের জন্য হামাস দিয়ের এল-বালায় একটি মঞ্চ স্থাপন করে। মঞ্চে ও এর আশপাশে মুখোশ পরা হামাসের বহু সশস্ত্র যোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। এই জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি থাকা ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিচ্ছে। হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর সময় এসব জিম্মিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আটকে রেখেছিল। বন্দি হওয়ার ১৬ মাস পর তারা মুক্তি পেল। ইলাই শরাবিকে ইসরায়েলের বেরি এলাকা থেকে তার ভাই ইয়োসিকেসহ ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। ইয়োসির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। আর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় সময় শরাবির স্ত্রী ও দুই কিশোরী কন্যা নিহত হয়েছিল। ওহাদ বিন এমিকেও বেরি এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল হামাসের যোদ্ধারা।

তার সঙ্গে তার স্ত্রী রাজও ছিল। নভেম্বর ২০২৩ সালে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় রাজকে মুক্তি দেওয়া হয়। বেন এমি পেশায় একজন হিসাবরক্ষক। কম্পিউটার প্রোগ্রামার অর লেভিকে রিশন লেজিওন শহরের নোভা সঙ্গীত উৎসব থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই উৎসবে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় লেভির ৩২ বছরের স্ত্রী আয়নাভ নিহত হয়। তাদের দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। হামাস এর আগে যে ১৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে তাদের তুলনায় এই তিন বন্দি অনেক শুকনা, দুর্বল ও বিবর্ণ ছিল। মুক্তি পাওয়ার পর এই তিন জিম্মিকে রেডক্রস গাজায় অবস্থান করা ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।

এদের বিনিময়ে ইসরায়েল যে ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে তাদের মধ্যে ১৮ জন আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। অপর ১১১ জনকে গাজা যুদ্ধ চলার সময় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে হামাস জানিয়েছে।