ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

আরও ২ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি

  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সরকার বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য আরও ২ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ২ লাখ চার হাজার টন এবং আতপ চাল ৪২ হাজার টন।
গত সোমবার এসব প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানির অনুমতি-সংক্রান্ত সম্মতিপত্র ইস্যুর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এই চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙাদানা থাকতে পারবে। এর আগে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ ৯ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে। জানা গেছে, বরাদ্দ পাওয়া এসব আমদানিকারকদের আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাত করার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এ প্রেক্ষাপটে দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানিতে মোট করভার ৬২ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশে নামলো। নতুন শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। চাল আমদানির জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নাবালক ছেলেকে বিমানবন্দরে ফেলেই ফ্লাইটে উঠে পড়লেন দম্পতি!

আরও ২ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি

আপডেট সময় : ০২:৫৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সরকার বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য আরও ২ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ২ লাখ চার হাজার টন এবং আতপ চাল ৪২ হাজার টন।
গত সোমবার এসব প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানির অনুমতি-সংক্রান্ত সম্মতিপত্র ইস্যুর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এই চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙাদানা থাকতে পারবে। এর আগে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ ৯ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে। জানা গেছে, বরাদ্দ পাওয়া এসব আমদানিকারকদের আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাত করার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এ প্রেক্ষাপটে দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানিতে মোট করভার ৬২ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশে নামলো। নতুন শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। চাল আমদানির জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবে।