ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

আরও বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

  • আপডেট সময় : ১১:৪১:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা : বাজারে আরও বেড়েছে অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে নতুন করে দাম বেড়েছে এমন পণ্যের সংখ্যা অন্তত ২০টি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত আটা কেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা কেজি দরের আটা শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি প্যাকেট আটার দাম বেড়েছে প্রায় চার শতাংশের মতো। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত ময়দা কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ৫৮ টাকা কেজি দরের ময়দা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি প্যাকেট ময়দার দাম বেড়েছে প্রায় দুই শতাংশের মতো। বাজারের তথ্য বলছে, শুক্রবার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭২ টাকা লিটার দরে। গত সপ্তাহে এই সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৫২ টাকা প্রতি লিটার। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে লিটারে ১০ টাকা। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এ সপ্তাহে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন। শুক্রবার ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৭৪৫ টাকা থেকে ৭৫০ দিয়ে। আর এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন কিনতে হচ্ছে ১৭০ টাকায়। দুই লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা দরে। যদিও সম্প্রতি সয়াবিন তেলের উৎপাদন, খুচরা ও এমনকি আমদানি পর্যায়ে সরকার মোট ৩০ শতাংশ কর ছাড় দিয়েছে ব্যবসায়ীদের। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সয়াবিনের দাম কিছুটা কমে আসে। কিন্তু এক মাস না যেতেই আবারও বাড়তে শুরু করেছে সয়াবিন তেলের দাম। খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৫৮ টাকা লিটার। গত সপ্তাহে এই সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৪৮ টাকা লিটার। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা পাম অয়েলের দাম বেড়েছে লিটারে ১০ টাকা। বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে ২৫ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ ক্রেতাদেরকে এ সপ্তাহে কিনতে হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকার মতো। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। গরুর মাংসের দাম আবারও বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস পাওয়া গেলেও এই সপ্তাহে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। গরুর মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে মুরগির মাংসের দামও। ৫৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ রসুনের মতো বেড়েছে শুকনো মরিচের দামও। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ১৬০ টাকা কেজি দরের শুকনা মরিচ এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি দেশি শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে ২৬০ টাকা কেজি দরের শুকনা মরিচ এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে হলুদের দামও বেড়ে গেছে। এই পণ্যটি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে। এই সপ্তাহে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ২২০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে দেশি হলুদের দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে এলাচের দাম বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। এই পণ্যটি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩২০০ টাকা কেজি দরে। এই সপ্তাহে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৩৬০০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০০ টাকার মতো। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে এলাচের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে তেজপাতার দামও বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি তেজপাতার দাম ছিল ১৯০ টাকা কেজি। এই সপ্তাহে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ২০০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে তেজপাতার দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। নতুন করে গুঁড়ো দুধের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ডানো। ব্যবসায়ীরা ৭০০ টাকা কেজি দরের ডানো দুধ বিক্রি করছেন ৭১০ টাকা কেজি দরে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে ফের আপিল শুনবেন সর্বোচ্চ আদালত

আরও বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

আপডেট সময় : ১১:৪১:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

বিশেষ সংবাদদাতা : বাজারে আরও বেড়েছে অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে নতুন করে দাম বেড়েছে এমন পণ্যের সংখ্যা অন্তত ২০টি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত আটা কেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা কেজি দরের আটা শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি প্যাকেট আটার দাম বেড়েছে প্রায় চার শতাংশের মতো। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত ময়দা কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ৫৮ টাকা কেজি দরের ময়দা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি প্যাকেট ময়দার দাম বেড়েছে প্রায় দুই শতাংশের মতো। বাজারের তথ্য বলছে, শুক্রবার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭২ টাকা লিটার দরে। গত সপ্তাহে এই সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৫২ টাকা প্রতি লিটার। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে লিটারে ১০ টাকা। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এ সপ্তাহে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন। শুক্রবার ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৭৪৫ টাকা থেকে ৭৫০ দিয়ে। আর এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন কিনতে হচ্ছে ১৭০ টাকায়। দুই লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা দরে। যদিও সম্প্রতি সয়াবিন তেলের উৎপাদন, খুচরা ও এমনকি আমদানি পর্যায়ে সরকার মোট ৩০ শতাংশ কর ছাড় দিয়েছে ব্যবসায়ীদের। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সয়াবিনের দাম কিছুটা কমে আসে। কিন্তু এক মাস না যেতেই আবারও বাড়তে শুরু করেছে সয়াবিন তেলের দাম। খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৫৮ টাকা লিটার। গত সপ্তাহে এই সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৪৮ টাকা লিটার। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা পাম অয়েলের দাম বেড়েছে লিটারে ১০ টাকা। বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে ২৫ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ ক্রেতাদেরকে এ সপ্তাহে কিনতে হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকার মতো। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। গরুর মাংসের দাম আবারও বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস পাওয়া গেলেও এই সপ্তাহে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। গরুর মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে মুরগির মাংসের দামও। ৫৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ রসুনের মতো বেড়েছে শুকনো মরিচের দামও। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ১৬০ টাকা কেজি দরের শুকনা মরিচ এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি দেশি শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে ২৬০ টাকা কেজি দরের শুকনা মরিচ এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে হলুদের দামও বেড়ে গেছে। এই পণ্যটি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে। এই সপ্তাহে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ২২০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে দেশি হলুদের দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে এলাচের দাম বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। এই পণ্যটি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩২০০ টাকা কেজি দরে। এই সপ্তাহে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৩৬০০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০০ টাকার মতো। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে এলাচের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে তেজপাতার দামও বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি তেজপাতার দাম ছিল ১৯০ টাকা কেজি। এই সপ্তাহে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ২০০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে তেজপাতার দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। নতুন করে গুঁড়ো দুধের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ডানো। ব্যবসায়ীরা ৭০০ টাকা কেজি দরের ডানো দুধ বিক্রি করছেন ৭১০ টাকা কেজি দরে।