ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

আয়োজন

  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

ফারজানা কাশেমী : পুঁজিবাদী অর্থনীতি এক বুনিয়াদি গঠনতান্ত্রিক মুক্ত বাজার বাণিজ্য। পুরো আকাশ যেন তার দিগন্তসম বিস্তৃত। অর্থনীতির অবকাঠামো নির্মাণ ও ভিত্তি প্রস্তর লাভজনক বিনিয়োগ ও বানিজ্যিক সম্প্রসারণের উদ্যোগে গঠিত হওয়া এক ক্রিয়া কৌশল। তাই মিশ্র বাজার বানিজ্যিক ধারা চলমান অর্থনীতির চালিকা শক্তি।
প্রযুক্তির উৎকর্ষ ও বিস্তারে অর্থনীতি স্বনির্ভর হয়ে তার কাক্ষিত লক্ষ্য ও মুনাফা অর্জনের ধারাবাহিকতায় ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির ধারা অব্যাহত রেখে বিস্তৃত হচ্ছে বানিজ্যিক ধারার পুজিবাদী গঠনতান্ত্রিক বহুমুখী বানিজ্যিক ধারার সম্প্রসারণ ও মুনাফা অর্জন। উন্নত বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রেখে গতানুগতিক সকল আয়োজন অনুভূতির প্রকাশ যেন অর্থনৈতিক মানদ-ে পরিমাণ করা যায়। হয়ত বর্হিবিশ্বে দিবস কেন্দ্রীক প্রচলন। চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাচ্যের গতানুগতিক ধারায় উন্নয়নশীল ও অনউন্নত দেশগুলো আজকাল দিবস কেন্দ্রীক ছোয়ায় অনেকটা তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলে। বানিজ্যিক সম্প্রসারণ ও মুনাফার লক্ষ্য অভিষ্ট থাকলেও কিছুটা আবেগ,অনুভূতির অনুরনে ছুয়ে যায়, সাধারণ মানুষের সাদামাটা দিনকে কিছুটা রঙিন আবরণ ছড়িয়ে দিতে।
শ্রদ্ধা, ভালবাসা, ত্যাগ দিবস কেন্দ্রীক মাপকাঠির ফ্রেমে বাধা যায়না। তবুও সার্বজনীন উৎসব মুখরতার এক অনিন্দ্য ধারায় উন্মুক্ত হয় অনুভূতির কোমল পেলবতা। স্পর্শ করে অন্তরের অন্তস্তলের কিছু উপলব্ধি। ছুয়ে যায় হাজারো অব্যক্ত অনুভূতির আলোরন।

হয়তো দিবসের ছুতোয় কিছুটা প্রকাশের আয়োজনে নিমজ্জিত হয় প্রকৃতি। সহায়ক ভূমিকা পালন করে সঞ্চারিত আবেগের আবেদন ব্যক্ত করতে। ভালো থাকার, ভালবাসার, ও ভালো লাগার মানুষ কে একান্ত অনুভূতি বিস্তৃত করতে। প্রতিটি দিবস যেন প্রতিটি মানুষ কে বিশেষত্ব দিয়ে অনুভব করতে শেখায়। বাবা জন্য সন্তানের অনুভূতি শুধু জন্মদানের কৃতজ্ঞতা নয়, ভাবতে শেখায় একটি নিদিষ্ট গন্ডি পেরিয়ে আরো বহুদূর। বাবা মানুষটার সাথে হয়তো সখ্যতা বা দুরুত্ব পরিমাপ করার জন্য দিনক্ষণ প্রয়োজন হয় না।তদোপুরি একটা বিশেষ দিন হয়তো অনেক সন্তানকে মনে করিয়ে দেয় বাবা নামক বট বৃক্ষের বির্সজনের মূর্ত মায়া। বাবা দিবসে হয়তো ঘটা করে বাবাকে ভালবাসার কথা বলা হয় না,তবুও মনের গভীরের উপলব্ধিতে স্পর্শ করে বাবার জন্য সুপ্ত ভালবাসা।
মা যেন সন্তানের জন্য সর্বদা নিবেদিত এক অন্তপ্রান।মায়াময় অনুভূতির এক পরম পরশ মা। জীবনের কঠিন দিনগুলোর যাদুর কাঠি হয়ে পাশে থাকা মানুষটি মা। হয়তো মায়ের প্রতি অনুভূতি,ভাললাগার প্রকাশ অব্যক্ত থেকে যায় অজানা কারণে। মা দিবসে মায়ের অজস্র ত্যাগের বিনিময়ে সন্তানের জীবনের চালিকাশক্তি অর্জিত হবার সত্যনিষ্ঠ উপলব্ধি অনুভূত হয় আয়োজনের স্পন্দনে। মুখ ফুটে হয়তো বলা হয় ভালবাসি মা। প্রিয়জন এক অস্পর্শ অনুভূতির এক অপার মায়া। হাজারো রঙে রাঙানো স্বপ্নের এক ঝাক আলোক ছটা। কিছুটা আয়োজনে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা অর্পন করা এক অশেষ ভাললাগার অনুভূতির সঞ্চারণ। সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষ আয়োজনের মাত্রায় ক্ষুদ্রতা পরিলক্ষিত হলেও অনুরনে ছুয়ে যায় শ্বেত পায়রার শুভ্রতা।
ভালবাসার জন্য দিন, তারিখ, মাস ও নিদিষ্ট বছরের প্রয়োজন নেই। বিশেষ দিনে ভালবাসার স্পষ্টত ব্যক্তকরনে স্বচ্ছতা পায় ভালবাসি শব্দের জটিলতম সমীকরন। ক্ষুদ্র গোলাপ ফুলে স্পষ্টত হয় ভালবাসার গভীরতার নির্যাস।
লেখক: আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ

 

 

 

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আয়োজন

আপডেট সময় : ১০:৫৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ফারজানা কাশেমী : পুঁজিবাদী অর্থনীতি এক বুনিয়াদি গঠনতান্ত্রিক মুক্ত বাজার বাণিজ্য। পুরো আকাশ যেন তার দিগন্তসম বিস্তৃত। অর্থনীতির অবকাঠামো নির্মাণ ও ভিত্তি প্রস্তর লাভজনক বিনিয়োগ ও বানিজ্যিক সম্প্রসারণের উদ্যোগে গঠিত হওয়া এক ক্রিয়া কৌশল। তাই মিশ্র বাজার বানিজ্যিক ধারা চলমান অর্থনীতির চালিকা শক্তি।
প্রযুক্তির উৎকর্ষ ও বিস্তারে অর্থনীতি স্বনির্ভর হয়ে তার কাক্ষিত লক্ষ্য ও মুনাফা অর্জনের ধারাবাহিকতায় ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির ধারা অব্যাহত রেখে বিস্তৃত হচ্ছে বানিজ্যিক ধারার পুজিবাদী গঠনতান্ত্রিক বহুমুখী বানিজ্যিক ধারার সম্প্রসারণ ও মুনাফা অর্জন। উন্নত বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রেখে গতানুগতিক সকল আয়োজন অনুভূতির প্রকাশ যেন অর্থনৈতিক মানদ-ে পরিমাণ করা যায়। হয়ত বর্হিবিশ্বে দিবস কেন্দ্রীক প্রচলন। চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাচ্যের গতানুগতিক ধারায় উন্নয়নশীল ও অনউন্নত দেশগুলো আজকাল দিবস কেন্দ্রীক ছোয়ায় অনেকটা তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলে। বানিজ্যিক সম্প্রসারণ ও মুনাফার লক্ষ্য অভিষ্ট থাকলেও কিছুটা আবেগ,অনুভূতির অনুরনে ছুয়ে যায়, সাধারণ মানুষের সাদামাটা দিনকে কিছুটা রঙিন আবরণ ছড়িয়ে দিতে।
শ্রদ্ধা, ভালবাসা, ত্যাগ দিবস কেন্দ্রীক মাপকাঠির ফ্রেমে বাধা যায়না। তবুও সার্বজনীন উৎসব মুখরতার এক অনিন্দ্য ধারায় উন্মুক্ত হয় অনুভূতির কোমল পেলবতা। স্পর্শ করে অন্তরের অন্তস্তলের কিছু উপলব্ধি। ছুয়ে যায় হাজারো অব্যক্ত অনুভূতির আলোরন।

হয়তো দিবসের ছুতোয় কিছুটা প্রকাশের আয়োজনে নিমজ্জিত হয় প্রকৃতি। সহায়ক ভূমিকা পালন করে সঞ্চারিত আবেগের আবেদন ব্যক্ত করতে। ভালো থাকার, ভালবাসার, ও ভালো লাগার মানুষ কে একান্ত অনুভূতি বিস্তৃত করতে। প্রতিটি দিবস যেন প্রতিটি মানুষ কে বিশেষত্ব দিয়ে অনুভব করতে শেখায়। বাবা জন্য সন্তানের অনুভূতি শুধু জন্মদানের কৃতজ্ঞতা নয়, ভাবতে শেখায় একটি নিদিষ্ট গন্ডি পেরিয়ে আরো বহুদূর। বাবা মানুষটার সাথে হয়তো সখ্যতা বা দুরুত্ব পরিমাপ করার জন্য দিনক্ষণ প্রয়োজন হয় না।তদোপুরি একটা বিশেষ দিন হয়তো অনেক সন্তানকে মনে করিয়ে দেয় বাবা নামক বট বৃক্ষের বির্সজনের মূর্ত মায়া। বাবা দিবসে হয়তো ঘটা করে বাবাকে ভালবাসার কথা বলা হয় না,তবুও মনের গভীরের উপলব্ধিতে স্পর্শ করে বাবার জন্য সুপ্ত ভালবাসা।
মা যেন সন্তানের জন্য সর্বদা নিবেদিত এক অন্তপ্রান।মায়াময় অনুভূতির এক পরম পরশ মা। জীবনের কঠিন দিনগুলোর যাদুর কাঠি হয়ে পাশে থাকা মানুষটি মা। হয়তো মায়ের প্রতি অনুভূতি,ভাললাগার প্রকাশ অব্যক্ত থেকে যায় অজানা কারণে। মা দিবসে মায়ের অজস্র ত্যাগের বিনিময়ে সন্তানের জীবনের চালিকাশক্তি অর্জিত হবার সত্যনিষ্ঠ উপলব্ধি অনুভূত হয় আয়োজনের স্পন্দনে। মুখ ফুটে হয়তো বলা হয় ভালবাসি মা। প্রিয়জন এক অস্পর্শ অনুভূতির এক অপার মায়া। হাজারো রঙে রাঙানো স্বপ্নের এক ঝাক আলোক ছটা। কিছুটা আয়োজনে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা অর্পন করা এক অশেষ ভাললাগার অনুভূতির সঞ্চারণ। সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষ আয়োজনের মাত্রায় ক্ষুদ্রতা পরিলক্ষিত হলেও অনুরনে ছুয়ে যায় শ্বেত পায়রার শুভ্রতা।
ভালবাসার জন্য দিন, তারিখ, মাস ও নিদিষ্ট বছরের প্রয়োজন নেই। বিশেষ দিনে ভালবাসার স্পষ্টত ব্যক্তকরনে স্বচ্ছতা পায় ভালবাসি শব্দের জটিলতম সমীকরন। ক্ষুদ্র গোলাপ ফুলে স্পষ্টত হয় ভালবাসার গভীরতার নির্যাস।
লেখক: আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ