অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : নভেম্বর মাসজুড়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর তথ্যসেবা মাস উদ্বোধন করেছে। কর অঞ্চলগুলোর প্রতিটি সার্কেল কার্যালয়ে করসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েই এ তথ্যসেবা মাস। করোনা পরবর্তীসময়ের গত দুই বছরের মতো এ বছরও কর মেলার পরিবর্তে এ তথ্যসেবা মাস মেলার আদলে চলছে। এদিকে তথ্যসেবা শুরুর সপ্তাহ পার হলেও রিটার্ন জমায় তেমন আগ্রহ নেই।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন কর অঞ্চল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। মেলার আদলে হওয়া আয়কর তথ্যসেবার বুথ ঘুরে দেখা যায়, করদাতারা বিভিন্ন পরামর্শ নিতে আসছেন। কেউ কেউ এসেছেন রিটার্ন জমা দিতে। তবে রিটার্ন জমা দেওয়ার সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় খুবই কম। কর কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছরে প্রায় ৪০টি সেবা নিতে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে অর্থবছরের শুরু থেকেই রিটার্ন দিয়ে আসছেন করদাতারা। এ কারণে এখন তেমন আগ্রহ নেই তাদের। যারা বাকি রয়েছেন তাদের অনেকেই এখন পরামর্শের জন্য আসছেন। তাদের ভুল-ত্রুটি থাকলে এখন আমরা বুথ থেকেই সমাধান দিচ্ছি। আবার অনেককেই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তারা হয়তো মাসের মাঝামাঝি বা শেষ দিকে আসবেন রিটার্ন জমা দিতে।
নাজমুল হুসানাই নামে একজন রিটার্ন জমা দেবেন। তার আগে তিনি এসেছেন পরামর্শ নিতে। কর অঞ্চল-১০ এর একজন কর্মকর্তা (অনিক) তাকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, বছরের অন্য সময়ে পরামর্শ নিতে এসে নানা প্রশ্ন বা অনেকের ব্যস্ততার মধ্যে পড়তে হয়। মেলায় সেই ভোগান্তি নেই।
সাবিহা নামে এক নারী রিটার্ন জমা দিতে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি শুরুতে এসেছিলাম কীভাবে করবো এ বিষয়ে পরামর্শ নিতে। এরপর আমি বাসায় বসেই আমার কাজ সম্পন্ন করেছি। আজ শুধু জমা দিতে এসেছি। কোনো ধরনের বাড়তি সময় বা ভোগান্তি ছাড়াই রিটার্ন দাখিল করেছি। গত ১ নভেম্বর রাজধানীর সেগুন বাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে করসেবা মাসের উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ববোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম। ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন বুথে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন করদাতারা ইটিআইএন রেজিস্ট্রেশন এবং বর্তমান করদাতারা রি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন।
আয়কর তথ্যসেবায় ঢিলেঢালাভাব
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ