ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি ছুটির পরও বুয়েটে চলছে পরীক্ষা বর্জন, আইনি লড়াইয়ে প্রশাসন টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ভোটের আগে ভারতের নির্দেশে রাজনৈতিক পোস্ট ব্লক করল এক্স ঋণ পেতে মরদেহ নিয়ে ব্যাংকে এলেন নারী প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আবেদন প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন ভারতের জাতীয় নির্বাচন আজ শুরু নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‌্যাব মুখপাত্র মঈন বোতলজাত সয়াবিনের লিটারে দাম বাড়ল ৪ টাকা ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব প্রতিবেদক : থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে

আমে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান

  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় হওয়ায় আমকে ফলের রাজা বলা হয়। পাকা ও কাঁচা উভয় আমেই রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। কাঁচা বা পাকা দুই ধরনের আমই শরীরের জন্য ভালো। আম খেলে শুধু রসনার তৃপ্তিই নয় এর গুণাগুণও রয়েছে। আমের উপকারিতা নিয়ে রইল কিছু তথ্য। শরীরের হাড়কে শক্ত ও ক্যানসার প্রতিরোধ করতে আম সহায়ক। আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস উপাদান রয়েছে, যা কোলন, প্রোস্টেট, লিউকেমিয়া প্রভৃতি ক্যানসার থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমে ২৭৪০ মাইক্রো গ্রাম ক্যারোটিন থাকে। আম শ্বেতসারের ভালো উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ২০ গ্রাম শ্বেতসার পাওয়া যায়। রয়েছে ১০৭ ক্যালরি, ৩ গ্রাম আঁশ, ২৪ গ্রাম শর্করা। এছাড়া এতে রয়েছে ২৫৭ মি.গ্রা. পটাসিয়াম, ০.২ মি.গ্রা ভিটামিন বি-৬।
এতে ১.৩ গ্রাম আয়রণ, ১৪ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ১৬ মি.গ্রা. ফসফরাস, ১৬ মি.গ্রা. ভিটামিন সি, ০.৯ মি.গ্রা. রিভোফ্লেভিন এবং ০.০৮ মি.গ্রা. থায়ামিন থাকে। এছাড়াও পাকা আমে রয়েছে ভিটামিন বি-১ ও বি-২। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ০.১ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-১ ও ০.০৭ মি.গ্রা. বি-২ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আম ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম, আমের হলুদ এবং কমলা অংশে বিটা কেরোটিন পাওয়া যায়। আমের সন্ধান পাওয়া বিটা ক্যারোটিনে অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। আমে থাকা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমের পলিফেনল স্তন ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়। এছাড়া কোলন ক্যান্সার, রক্তস্বল্পতা ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা রক্তনালী এবং স্বাস্থ্যকর কোলাজেন বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও ভিটামিন সি শরীরের ক্ষত কমাতে সহায়ক। আমে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পেকটিন, ভিটামিন ‘সি’ কোলেস্টেরল লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। ত্বকের জন্য আম খুবই উপকারী। ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য অনেক সমস্যা প্রতিরোধ করে আম।
চিকিৎসকদের মতে, আম হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সক্ষম, দেহের হার্ট সম্পর্কিত সিস্টেম অর্থাৎ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকেও সমর্থন করে। আম ম্যাগনেসিয়াম এবং ইন পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। আম পাচনতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখে, ফলে হজম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে, আমের উপস্থিতিতে অ্যামাইলেস যৌগ এবং ডায়েটারি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও কাজ করে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রমাণিত, আম দ্রুত ওজন কমাতে সহায়ক। আম চোখের পক্ষে ভাল, আমে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা প্রায় এক আম ভিটামিন এ এর দৈনিক প্রয়োজনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করতে পারে এই ভিটামিনগুলি আমাদের শরীরকে সহায়তা করে। গবেষণায় প্রমাণিত, আমের খোসা শরীরের ফ্যাটি টিস্যুগুলির বৃদ্ধিও রোধ করতে পারে, আমে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। আমে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কপার এবং ফোলাট। আর চর্বির পরিমাণ মাত্র এক শতাংশ। আর এই ফল হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখার পাশাপাশি এর ভোজ্য আঁশ হৃদরোগ ও টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি ছুটির পরও বুয়েটে চলছে পরীক্ষা বর্জন, আইনি লড়াইয়ে প্রশাসন

আমে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান

আপডেট সময় : ১১:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় হওয়ায় আমকে ফলের রাজা বলা হয়। পাকা ও কাঁচা উভয় আমেই রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। কাঁচা বা পাকা দুই ধরনের আমই শরীরের জন্য ভালো। আম খেলে শুধু রসনার তৃপ্তিই নয় এর গুণাগুণও রয়েছে। আমের উপকারিতা নিয়ে রইল কিছু তথ্য। শরীরের হাড়কে শক্ত ও ক্যানসার প্রতিরোধ করতে আম সহায়ক। আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস উপাদান রয়েছে, যা কোলন, প্রোস্টেট, লিউকেমিয়া প্রভৃতি ক্যানসার থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমে ২৭৪০ মাইক্রো গ্রাম ক্যারোটিন থাকে। আম শ্বেতসারের ভালো উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ২০ গ্রাম শ্বেতসার পাওয়া যায়। রয়েছে ১০৭ ক্যালরি, ৩ গ্রাম আঁশ, ২৪ গ্রাম শর্করা। এছাড়া এতে রয়েছে ২৫৭ মি.গ্রা. পটাসিয়াম, ০.২ মি.গ্রা ভিটামিন বি-৬।
এতে ১.৩ গ্রাম আয়রণ, ১৪ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ১৬ মি.গ্রা. ফসফরাস, ১৬ মি.গ্রা. ভিটামিন সি, ০.৯ মি.গ্রা. রিভোফ্লেভিন এবং ০.০৮ মি.গ্রা. থায়ামিন থাকে। এছাড়াও পাকা আমে রয়েছে ভিটামিন বি-১ ও বি-২। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ০.১ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-১ ও ০.০৭ মি.গ্রা. বি-২ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আম ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম, আমের হলুদ এবং কমলা অংশে বিটা কেরোটিন পাওয়া যায়। আমের সন্ধান পাওয়া বিটা ক্যারোটিনে অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। আমে থাকা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমের পলিফেনল স্তন ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়। এছাড়া কোলন ক্যান্সার, রক্তস্বল্পতা ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা রক্তনালী এবং স্বাস্থ্যকর কোলাজেন বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও ভিটামিন সি শরীরের ক্ষত কমাতে সহায়ক। আমে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পেকটিন, ভিটামিন ‘সি’ কোলেস্টেরল লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। ত্বকের জন্য আম খুবই উপকারী। ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য অনেক সমস্যা প্রতিরোধ করে আম।
চিকিৎসকদের মতে, আম হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সক্ষম, দেহের হার্ট সম্পর্কিত সিস্টেম অর্থাৎ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকেও সমর্থন করে। আম ম্যাগনেসিয়াম এবং ইন পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। আম পাচনতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখে, ফলে হজম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে, আমের উপস্থিতিতে অ্যামাইলেস যৌগ এবং ডায়েটারি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও কাজ করে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রমাণিত, আম দ্রুত ওজন কমাতে সহায়ক। আম চোখের পক্ষে ভাল, আমে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা প্রায় এক আম ভিটামিন এ এর দৈনিক প্রয়োজনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করতে পারে এই ভিটামিনগুলি আমাদের শরীরকে সহায়তা করে। গবেষণায় প্রমাণিত, আমের খোসা শরীরের ফ্যাটি টিস্যুগুলির বৃদ্ধিও রোধ করতে পারে, আমে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। আমে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কপার এবং ফোলাট। আর চর্বির পরিমাণ মাত্র এক শতাংশ। আর এই ফল হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখার পাশাপাশি এর ভোজ্য আঁশ হৃদরোগ ও টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।