ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

আমি সৎ, লজ্জার কী আছে : তাকসিম এ খান

  • আপডেট সময় : ০২:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। তিনি বলেছেন, ঢাকা ওয়াসায় এক টাকাও দুর্নীতি হয়নি। জীবনে এক টাকাও হারাম খাইনি। এখন আমার বিরুদ্ধে যতই অভিযোগ আসুক, ভয় নেই। যেহেতু আমি জানি আমি সৎ, তাহলে আমার ভয় বা লজ্জারই কী আছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তাকসিম এ খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা পুরোপুরি অসত্য। এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি ছিল না। আল্লাহর রহমতে হাইকোর্ট সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, অনিয়ম এবং দুর্নীতির দায়ে যাদের ওয়াসা থেকে চাকরিচ্যুত করেছি, তারাই আজ আমার পিছু লেগেছেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। তারা চান, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে ওয়াসার এমডির চেয়ার থেকে সরাতে। তখন তারা আবার চাকরি ফিরে পাবেন। ওয়াসায় দুর্নীতি চালিয়ে যেতে পারবেন। কোনো একটা জায়গায় অবৈধ কাজ হলে তা বৈধতা বা বিরত রাখতে শুধু বক্তব্যে কাজ হয় না জানিয়ে ওয়াসার এমডি বলেন, বহিষ্কৃত কর্মকর্তারা ওয়াসাকে জিম্মি করে রেখেছিলেন। তাই তারা যে কাজটা করতেন, সেই কাজের পদ্ধতিটা আমি পরিবর্তন করে দিয়েছি। ওয়াসার সব লেনদেন অনলাইন ভিত্তিক করেছি। যাতে তারা তা (দুর্নীতি) করতে না পারে। এখন আমরা ওয়াসাকে করপোরেট গভর্নেন্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
ওয়াসার এমডি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করেন- আপনার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তাকসিম এ খান বলেন, আমি যদি দুর্নীতিবাজদের সহযোগিতা করতাম, তা হলে বিগত সময়ে দুর্নীতিবাজদের কেন চাকরিচ্যুত করলাম। আমিতো তাহলে তাদের সঙ্গে নিয়েই থাকতাম। আমার বিরুদ্ধে যে তথ্যগুলো বাইরে যাচ্ছে, তা ওয়াসা ভবন থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় দেখি ওয়াসার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে। বাইরে থেকেতো ওয়াসার কাজের মূল্যায়ন করার সুযোগ নেই। তার মানে ওয়াসার দুর্নীতিবাজরা চায় না আমি এই চেয়ারে থাকি।
গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান ও কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিভিন্ন প্রকল্পের নামে ও অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক জানায়, ঢাকা ওয়াসার আওতাধীন ৫ থেকে ৬টি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত নথি ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও নথি ও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে অভিযোগের তদন্ত চলছে এবং এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের কাজও চলমান রয়েছে। এর আগে, গত রোববার ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রিট খারিজ করে দেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আমি সৎ, লজ্জার কী আছে : তাকসিম এ খান

আপডেট সময় : ০২:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। তিনি বলেছেন, ঢাকা ওয়াসায় এক টাকাও দুর্নীতি হয়নি। জীবনে এক টাকাও হারাম খাইনি। এখন আমার বিরুদ্ধে যতই অভিযোগ আসুক, ভয় নেই। যেহেতু আমি জানি আমি সৎ, তাহলে আমার ভয় বা লজ্জারই কী আছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তাকসিম এ খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা পুরোপুরি অসত্য। এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি ছিল না। আল্লাহর রহমতে হাইকোর্ট সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, অনিয়ম এবং দুর্নীতির দায়ে যাদের ওয়াসা থেকে চাকরিচ্যুত করেছি, তারাই আজ আমার পিছু লেগেছেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। তারা চান, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে ওয়াসার এমডির চেয়ার থেকে সরাতে। তখন তারা আবার চাকরি ফিরে পাবেন। ওয়াসায় দুর্নীতি চালিয়ে যেতে পারবেন। কোনো একটা জায়গায় অবৈধ কাজ হলে তা বৈধতা বা বিরত রাখতে শুধু বক্তব্যে কাজ হয় না জানিয়ে ওয়াসার এমডি বলেন, বহিষ্কৃত কর্মকর্তারা ওয়াসাকে জিম্মি করে রেখেছিলেন। তাই তারা যে কাজটা করতেন, সেই কাজের পদ্ধতিটা আমি পরিবর্তন করে দিয়েছি। ওয়াসার সব লেনদেন অনলাইন ভিত্তিক করেছি। যাতে তারা তা (দুর্নীতি) করতে না পারে। এখন আমরা ওয়াসাকে করপোরেট গভর্নেন্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
ওয়াসার এমডি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করেন- আপনার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তাকসিম এ খান বলেন, আমি যদি দুর্নীতিবাজদের সহযোগিতা করতাম, তা হলে বিগত সময়ে দুর্নীতিবাজদের কেন চাকরিচ্যুত করলাম। আমিতো তাহলে তাদের সঙ্গে নিয়েই থাকতাম। আমার বিরুদ্ধে যে তথ্যগুলো বাইরে যাচ্ছে, তা ওয়াসা ভবন থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় দেখি ওয়াসার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে। বাইরে থেকেতো ওয়াসার কাজের মূল্যায়ন করার সুযোগ নেই। তার মানে ওয়াসার দুর্নীতিবাজরা চায় না আমি এই চেয়ারে থাকি।
গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান ও কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিভিন্ন প্রকল্পের নামে ও অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক জানায়, ঢাকা ওয়াসার আওতাধীন ৫ থেকে ৬টি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত নথি ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও নথি ও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে অভিযোগের তদন্ত চলছে এবং এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের কাজও চলমান রয়েছে। এর আগে, গত রোববার ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রিট খারিজ করে দেন।