ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

আমি নিজের রঙের জন্য কোনদিনও ক্ষমা চাইব না : রাশফোর্ড

  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ইতালির বিপক্ষে পেনাল্টিতে ৩-২ ব্যবধানে পরাস্ত হয়ে ইউরো কাপ জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের। টাইব্রেকারে তিনটি পেনাল্টি মিস করেন রাশফোর্ড, স্যাঞ্চো এবং সাকা। ম্যাচ হারের পর তিন ফুটবলারের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবাদমূলক মন্তব্য করেন একদল ইংরেজ সমর্থক। এসব মোটেও পছন্দ হয়নি রাশফোর্ডের। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই সব সমর্থকদের জবাব দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ তারকা। তিনি লিখেন, ‘আমি নিশ্চিত নই আমি কিভাবে শুরু করবো। কোথায় গিয়ে থামবো। আমি এখন কেমন অনুভব করছি সেটা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না।’ ‘এই মৌসুমটা আমার ভালো কাটেনি, সেটা সকলেই জানে। আমি বরাবরই পেনাল্টি নিতে আত্মবিশ্বাসী থাকি, তবে ফাইনালে আমার আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। আমি জানি আমি আমার সতীর্থ এবং গোটা দেশকে হতাশ করেছি। এই সময়ে আমার অনুভূতি প্রকাশের কোন ভাষা নেই। সবশেষ আমি শুধুমাত্র ক্ষমাই চাইতে পারি।’
‘দৌড়ানোর সময় আমার মাথায় ঘুরেছে গোল করতে হবে। দল আমার থেকে শুধুমাত্র একটা পেনাল্টিই চেয়েছিল। আমি ঘুমের ভেতরেও পেনাল্টি নিতে পারব। তাহলে এখানে কেন পারবো না? ৫৫ বছর অপেক্ষার পর একটি ফাইনাল। একটা গোল। নতুন ইতিহাস তৈরি করে দিত। কিন্তু সুযোগটি আমি হারিয়েছি।’ নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা শুনতে রাজি হলেও রাশফোর্ড নিজের পরিচয় নিয়ে সমালোচনা সহ্য করবেন না তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার পারফরম্যান্সের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। কিন্তু নিজের রঙ বা আমি যেখান থেকে এসছি, তার জন্য আমি কোনদিনও ক্ষমা চাইব না। আমার কাছে কিছু না থাকলেও আমি ২৩ বছর বয়সী উইদিংটন বসবাসকারী একজন মানুষ। এই পরিচয়টা কেউ আমার থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।’ বর্তমানে গোটা বিশ্বে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে হাঁটু গেড়ে বসা। সবার মুখে একটাই স্লোগান, ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটার।’ রাশফোর্ডরা এ ঘটনায় পাশে পেয়েছে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে, অধিনায়ক ক্যারি কেনকে এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে। প্রত্যেকেই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আমি নিজের রঙের জন্য কোনদিনও ক্ষমা চাইব না : রাশফোর্ড

আপডেট সময় : ১১:৪৯:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : ইতালির বিপক্ষে পেনাল্টিতে ৩-২ ব্যবধানে পরাস্ত হয়ে ইউরো কাপ জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের। টাইব্রেকারে তিনটি পেনাল্টি মিস করেন রাশফোর্ড, স্যাঞ্চো এবং সাকা। ম্যাচ হারের পর তিন ফুটবলারের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবাদমূলক মন্তব্য করেন একদল ইংরেজ সমর্থক। এসব মোটেও পছন্দ হয়নি রাশফোর্ডের। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই সব সমর্থকদের জবাব দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ তারকা। তিনি লিখেন, ‘আমি নিশ্চিত নই আমি কিভাবে শুরু করবো। কোথায় গিয়ে থামবো। আমি এখন কেমন অনুভব করছি সেটা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না।’ ‘এই মৌসুমটা আমার ভালো কাটেনি, সেটা সকলেই জানে। আমি বরাবরই পেনাল্টি নিতে আত্মবিশ্বাসী থাকি, তবে ফাইনালে আমার আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। আমি জানি আমি আমার সতীর্থ এবং গোটা দেশকে হতাশ করেছি। এই সময়ে আমার অনুভূতি প্রকাশের কোন ভাষা নেই। সবশেষ আমি শুধুমাত্র ক্ষমাই চাইতে পারি।’
‘দৌড়ানোর সময় আমার মাথায় ঘুরেছে গোল করতে হবে। দল আমার থেকে শুধুমাত্র একটা পেনাল্টিই চেয়েছিল। আমি ঘুমের ভেতরেও পেনাল্টি নিতে পারব। তাহলে এখানে কেন পারবো না? ৫৫ বছর অপেক্ষার পর একটি ফাইনাল। একটা গোল। নতুন ইতিহাস তৈরি করে দিত। কিন্তু সুযোগটি আমি হারিয়েছি।’ নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা শুনতে রাজি হলেও রাশফোর্ড নিজের পরিচয় নিয়ে সমালোচনা সহ্য করবেন না তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার পারফরম্যান্সের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। কিন্তু নিজের রঙ বা আমি যেখান থেকে এসছি, তার জন্য আমি কোনদিনও ক্ষমা চাইব না। আমার কাছে কিছু না থাকলেও আমি ২৩ বছর বয়সী উইদিংটন বসবাসকারী একজন মানুষ। এই পরিচয়টা কেউ আমার থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।’ বর্তমানে গোটা বিশ্বে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে হাঁটু গেড়ে বসা। সবার মুখে একটাই স্লোগান, ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটার।’ রাশফোর্ডরা এ ঘটনায় পাশে পেয়েছে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে, অধিনায়ক ক্যারি কেনকে এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে। প্রত্যেকেই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।